'ট্রেনে কোনও ডাক্তার আছেন...?' বন্দে ভারতের C9 কামরায় আচমকা অসুস্থ প্যাসেঞ্জার, পরমুহূর্তেই যা ঘটল, চমকে গেল সবাই!

Last Updated:
Vande Bharat: হঠাৎই ট্রেনের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। ব্লাড প্রেসার নামতে নামতে পৌঁছয় ৯০ বাই ৭০ -এ। একইসঙ্গে পালস রেট অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যেতে থাকে। ‌এরপর বারবার তিনি বমি করতে থাকেন। একসময় ‌বাথরুমের সামনে মাথা ঘুরতে শুরু করে তাঁর। বিপাকে পড়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। মুমূর্ষ রোগীর প্রাণ বাঁচাতে কী করলেন পুরুলিয়া ভূমিকন্যা ঐশ্বর্য রায়?
1/9
মানুষের সেবায় নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে থাকেন চিকিৎসকেরা। যে কোনও পরিস্থিতিতেই রোগীর প্রাণ বাঁচানোই তাদের জীবনের মূল ব্রত। সম্প্রতি , চলন্ত বন্দে ভারত ট্রেনে মুমূর্ষ এক বৃদ্ধ যাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে মানবিকতার অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন পুরুলিয়ার ভূমিকন্যা ঐশ্বর্য রায়। ‌
মানুষের সেবায় নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে থাকেন চিকিৎসকেরা। যে কোনও পরিস্থিতিতেই রোগীর প্রাণ বাঁচানোই তাদের জীবনের মূল ব্রত। সম্প্রতি , চলন্ত বন্দে ভারত ট্রেনে মুমূর্ষ এক বৃদ্ধ যাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে মানবিকতার অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন পুরুলিয়ার ভূমিকন্যা ঐশ্বর্য রায়। ‌
advertisement
2/9
ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংবাদ মাধ্যম সর্বত্রই চর্চিত তিনি। পুরুলিয়া শহরের রেনি রোডের দেবীমালার বাসিন্দা ঐশ্বর্য। তিনি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের একজন অভিজ্ঞ শল্য চিকিৎসক।
ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংবাদ মাধ্যম সর্বত্রই চর্চিত তিনি। পুরুলিয়া শহরের রেনি রোডের দেবীমালার বাসিন্দা ঐশ্বর্য। তিনি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের একজন অভিজ্ঞ শল্য চিকিৎসক।
advertisement
3/9
গত মঙ্গলবার, নিউ জলপাইগুড়ি-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে তিনি যাত্রা করছিলেন। ‌সেই ট্রেনেই যাত্রা করছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরের বাসিন্দা ৭০ বছর বয়সি অমল কুমার। পরিবার-সহ তিনি দার্জিলিং বেড়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ট্রেনেই এমন ঘটনা ঘটে যায় মুহূর্তে যা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি।
গত মঙ্গলবার, নিউ জলপাইগুড়ি-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে তিনি যাত্রা করছিলেন। ‌সেই ট্রেনেই যাত্রা করছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরের বাসিন্দা ৭০ বছর বয়সি অমল কুমার। পরিবার-সহ তিনি দার্জিলিং বেড়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ট্রেনেই এমন ঘটনা ঘটে যায় মুহূর্তে যা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি।
advertisement
4/9
হঠাৎই ট্রেনের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। ব্লাড প্রেসার নামতে নামতে পৌঁছয় ৯০ বাই ৭০ -এ। একইসঙ্গে পালস রেট অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যেতে থাকে। ‌এরপর বারবার তিনি বমি করতে থাকেন। একসময় ‌বাথরুমের সামনে মাথা ঘুরতে শুরু করে তাঁর। বিপাকে পড়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। ‌
হঠাৎই ট্রেনের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। ব্লাড প্রেসার নামতে নামতে পৌঁছয় ৯০ বাই ৭০ -এ। একইসঙ্গে পালস রেট অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যেতে থাকে। ‌এরপর বারবার তিনি বমি করতে থাকেন। একসময় ‌বাথরুমের সামনে মাথা ঘুরতে শুরু করে তাঁর। বিপাকে পড়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। ‌
advertisement
5/9
তখনই ট্রেনের কামরায় মাইকের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়, সি নাইন কামড়ায় একজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ট্রেনের মধ্যে যদি কোনও চিকিৎসক থাকেন অনুগ্রহ করে যেন এগিয়ে আসেন।
তখনই ট্রেনের কামরায় মাইকের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়, সি নাইন কামড়ায় একজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ট্রেনের মধ্যে যদি কোনও চিকিৎসক থাকেন অনুগ্রহ করে যেন এগিয়ে আসেন।
advertisement
6/9
ওই ট্রেনের সি এইট কামড়ায় ছিলেন চিকিৎসক ঐশ্বর্য রায়। তিনি তৎক্ষণাৎ ট্রেনের সি নাইন কামড়ায় পৌঁছে যান। ভাগ্যক্রমে তাঁর ট্রাভেল ব্যাগে চিকিৎসার প্রাথমিক সরঞ্জাম মজুদ ছিল। কালবিলম্ব না করে ওই বৃদ্ধের চিকিৎসা শুরু করেন তরুণী চিকিৎসক। প্রয়োজনীয় ওষুধ দেন ওই বৃদ্ধকে। ধীরে, ধীরে তার অবস্থার উন্নতি হয়। ‌
ওই ট্রেনের সি এইট কামড়ায় ছিলেন চিকিৎসক ঐশ্বর্য রায়। তিনি তৎক্ষণাৎ ট্রেনের সি নাইন কামড়ায় পৌঁছে যান। ভাগ্যক্রমে তাঁর ট্রাভেল ব্যাগে চিকিৎসার প্রাথমিক সরঞ্জাম মজুদ ছিল। কালবিলম্ব না করে ওই বৃদ্ধের চিকিৎসা শুরু করেন তরুণী চিকিৎসক। প্রয়োজনীয় ওষুধ দেন ওই বৃদ্ধকে। ধীরে, ধীরে তার অবস্থার উন্নতি হয়। ‌
advertisement
7/9
এরপর রাত দশটা নাগাদ ট্রেন হাওড়া স্টেশনে প্রবেশ করার আগে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন ওই বৃদ্ধ। অমল বাবু নিজে উঠে দাঁড়িয়ে চিকিৎসক ঐশ্বর্য রায়কে ধন্যবাদ জানান। ‌
এরপর রাত দশটা নাগাদ ট্রেন হাওড়া স্টেশনে প্রবেশ করার আগে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন ওই বৃদ্ধ। অমল বাবু নিজে উঠে দাঁড়িয়ে চিকিৎসক ঐশ্বর্য রায়কে ধন্যবাদ জানান। ‌
advertisement
8/9
এ বিষয়ে চিকিৎসক ঐশ্বর্য রায় বলেন, এই ঘটনা তাঁর কাছে চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তবে একইসঙ্গে তিনি বলেন ডাক্তার হিসেবে তাঁর কর্তব্য রোগীর প্রাণ বাঁচানো। তিনি সেই কাজই করেছেন। তিনি মনে করেন তাঁর জায়গায় অন্য কোনও চিকিৎসক থাকলেও সেই একই কাজ করতেন। তবুও জেলার মানুষ তাঁকে যেভাবে ভালোবাসা দিচ্ছেন এতে তিনি খুবই গর্বিত বোধ করছেন। তাঁর ভীষণই ভাল লাগছে।
এ বিষয়ে চিকিৎসক ঐশ্বর্য রায় বলেন, এই ঘটনা তাঁর কাছে চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তবে একইসঙ্গে তিনি বলেন ডাক্তার হিসেবে তাঁর কর্তব্য রোগীর প্রাণ বাঁচানো। তিনি সেই কাজই করেছেন। তিনি মনে করেন তাঁর জায়গায় অন্য কোনও চিকিৎসক থাকলেও সেই একই কাজ করতেন। তবুও জেলার মানুষ তাঁকে যেভাবে ভালোবাসা দিচ্ছেন এতে তিনি খুবই গর্বিত বোধ করছেন। তাঁর ভীষণই ভাল লাগছে।"
advertisement
9/9
এই ঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষ, আরপিএফ এবং ট্রেনের অন্যান্য যাত্রীরা চিকিৎসক ঐশ্বর্য রায়ের মানবিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। জেলার নাম উজ্জ্বল করেছেন এই চিকিৎসক। তাই গর্বে বুক ভরে আছে আপ্লুত জেলাবাসীরও। ‌ ‌শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়
এই ঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষ, আরপিএফ এবং ট্রেনের অন্যান্য যাত্রীরা চিকিৎসক ঐশ্বর্য রায়ের মানবিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। জেলার নাম উজ্জ্বল করেছেন এই চিকিৎসক। তাই গর্বে বুক ভরে আছে আপ্লুত জেলাবাসীরও। ‌ ‌
শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়
advertisement
advertisement
advertisement