Sundarban : সুন্দরবনের রাজার খাবারে ভাগ বসাচ্ছে অন্য কেউ! ট্রাপ ক্যামেরায় ধরা পড়ল ছবি, অবাক হয়ে যাবেন দেখে আপনিও

বাঘের ছবি তোলার জন্য বন দফতরের তরফে জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করা হয়েছে। মাংসের টুকরো কাঠের দণ্ডের মাথায় বেঁধে ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিশেষ ধরনের রাসায়নিক। মাংসের সঙ্গে বিশেষ ধরনের এই রাসায়নিকের মিশ্রণের ফলে তার দুর্গন্ধ এতটাই বেড়ে যায় যে নদী পেরিয়ে তা পৌঁছে যায় এক জঙ্গল থেকে আরেক জঙ্গলে। (তথ্য ছবি সুমন সাহা)

বাতাসের সঙ্গে মিশে গিয়ে এই গন্ধে সুন্দরবনের রয়‍্যাল বেঙ্গল টাইগার চলে আসে নির্দিষ্ট জায়গায়। তাই সেখানে আগে থেকেই বসিয়ে রাখা হয় ক্যামেরা। যে ক্যামেরাগুলো দিনে রাতে বাঘের ছবি তুলতে বসানো হয়েছে তবে এবার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এক অন্য ছবি। (তথ্য ছবি সুমন সাহা)

বাঘের পাশাপাশি মাংসের লোভে দিনে বাজপাখি, রাতে প্যাঁচাও এসে মাংস খাচ্ছে ঠুকরে ঠুকরে। এর মধ্যেই বেশ কয়েকটি ক্যামেরায় মাংস খাওয়া অবস্থায় ধরা পড়েছে বাজপাখির ছবি। বাঘের জন্য রাখা মাংসে ভাগ বসাচ্ছে বাজপাখি আর পেঁচা। উল্লেখ্য, নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে সুন্দরবনে শুরু হয়েছে বাঘ গণনার কাজ। (তথ্য ছবি সুমন সাহা)

দক্ষিণরায়ের ছবি তুলতে ১৪৮৪টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে সুন্দরবনের বাঘের সারাক্ষণের গতিবিধি নজরবন্দি করছে এই ক্যামেরা। এক মাসের বেশি সময় ধরে বাঘের ছবি নেওয়া হবে। তবে এবার শুধু বাঘদের গতিবিধি নয়, তাদের খাদ্যের জোগান কেমন তাও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। (তথ্য ছবি সুমন সাহা)

জঙ্গলে তৃণভোজী যেমন হরিণ বা বুনো শুয়োর সহ অন্যান্য প্রাণী যাদের বাঘ শিকার করে খায়, তাদের উপস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। এবারই প্রথম এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এসব কাজ পর্যালোচনা করার জন্য ১টি অ্যাপও তৈরি করা হয়েছে। (তথ্য ছবি সুমন সাহা)

সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের এক আধিকারিক বলেন, '৪২ দিনের জন্য ক্যামেরা বসানোর এই প্রক্রিয়ার মধ্যে ব্যাটারির পরিবর্তন করতে হয়। প্রতিটি ক্যামেরা ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা তা দেখার জন্য কর্মীরা মাঝেমধ্যে সেসব পর্যবেক্ষণ করে আসেন জঙ্গলে গিয়ে। ক্যামেরা যখন তোলা হবে তখনই সব ছবি পর্যবেক্ষণ করা হবে।(তথ্য ছবি সুমন সাহা)