সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মা-মেয়ে, সেকেন্ডের সিদ্ধান্তে প্রাণ বাঁচালেন কনস্টেবল! হিরোর মতো অনিমেষ কী করলেন জানুন

Last Updated:
Police Constable Saves Life: বৃহস্পতিবার ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের চিনপাই বাইপাসে দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত হন মা-মেয়ে। কনস্টেবল অনিমেষ সাহার তৎপরতায় দু'জনেরই প্রাণ বাঁচল
1/5
বীরভূম জেলার সদাইপুরে এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার পর অসাধারণ তৎপরতা ও মানবিকতার নজির। এই দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সদাইপুর থানার জুনিয়র কনস্টেবল অনিমেষ সাহা। তাঁর দ্রুত পদক্ষেপেই বাঁচল এক মা ও তাঁর দু'ই বছরের শিশুকন্যার জীবন। (ছবি ও তথ্যঃ সুদীপ্ত গড়াই)
বীরভূম জেলার সদাইপুরে এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার পর অসাধারণ তৎপরতা ও মানবিকতার নজির। এই দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সদাইপুর থানার জুনিয়র কনস্টেবল অনিমেষ সাহা। তাঁর দ্রুত পদক্ষেপেই বাঁচল এক মা ও তাঁর দু'ই বছরের শিশুকন্যার জীবন। <strong>(ছবি ও তথ্যঃ সুদীপ্ত গড়াই)</strong>
advertisement
2/5
বৃহস্পতিবার ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের চিনপাই বাইপাসে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার মেজিয়া থেকে সিউড়ি যাচ্ছিলেন স্নেহাশিস ধারা, তাঁর স্ত্রী রূপা ছেত্রী ধারা ও দুই বছরের কন্যা সোহিষ্ক। হঠাৎ পিছন থেকে একটি পিক আপ ভ্যান তাঁদের মোটরবাইককে ধাক্কা মারে। তিনজনই ছিটকে পড়েন। মাথায় হেলমেট না থাকায় গুরুতর চোট পান মা ও মেয়ে, শুরু হয় প্রচুর রক্তক্ষরণ।
বৃহস্পতিবার ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের চিনপাই বাইপাসে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার মেজিয়া থেকে সিউড়ি যাচ্ছিলেন স্নেহাশিস ধারা, তাঁর স্ত্রী রূপা ছেত্রী ধারা ও দুই বছরের কন্যা সোহিষ্ক। হঠাৎ পিছন থেকে একটি পিক আপ ভ্যান তাঁদের মোটরবাইককে ধাক্কা মারে। তিনজনই ছিটকে পড়েন। মাথায় হেলমেট না থাকায় গুরুতর চোট পান মা ও মেয়ে, শুরু হয় প্রচুর রক্তক্ষরণ।
advertisement
3/5
ঘটনাস্থলের কাছেই চিনপাই-তাপাসপুর ট্রাফিক পয়েন্টে ডিউটিতে ছিলেন কনস্টেবল অনিমেষ সাহা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে তিনি এক মুহূর্তও নষ্ট করেননি। আশেপাশের লোকজনের সাহায্য নিয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে একটি কেন্দ্রীয় বাহিনীর অফিসারের গাড়ি থামিয়ে আহত মা-মেয়েকে দ্রুত সিউড়ি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
ঘটনাস্থলের কাছেই চিনপাই-তাপাসপুর ট্রাফিক পয়েন্টে ডিউটিতে ছিলেন কনস্টেবল অনিমেষ সাহা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে তিনি এক মুহূর্তও নষ্ট করেননি। আশেপাশের লোকজনের সাহায্য নিয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে একটি কেন্দ্রীয় বাহিনীর অফিসারের গাড়ি থামিয়ে আহত মা-মেয়েকে দ্রুত সিউড়ি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
advertisement
4/5
উন্নত চিকিৎসার জন্য সিউড়ি হাসপাতাল থেকে আহতদের বর্ধমানে রেফার করা হয়। বর্তমানে মা ও মেয়ে দু'জনেই বিপদমুক্ত বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য সিউড়ি হাসপাতাল থেকে আহতদের বর্ধমানে রেফার করা হয়। বর্তমানে মা ও মেয়ে দু'জনেই বিপদমুক্ত বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
advertisement
5/5
সদাইপুর থানার ওসি জয়ন্ত দাস অনিমেষের এই কাজের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। তাঁর কথায়,
সদাইপুর থানার ওসি জয়ন্ত দাস অনিমেষের এই কাজের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। তাঁর কথায়, "দুর্ঘটনার পর তৎক্ষণাৎ সঠিক পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারত। কনস্টেবল অনিমেষ সাহা সত্যিই মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।" এই ঘটনা প্রমাণ করে, পুলিশ শুধু আইন রক্ষক নয়, বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোও তাঁদের অন্যতম দায়িত্ব। <strong>(ছবি ও তথ্যঃ সুদীপ্ত গড়াই)</strong>
advertisement
advertisement
advertisement