New Body New Trolly Bag: ঘোলার সুটকেস কাণ্ড নিজেদের বুদ্ধিতে নয়, মধ্যমগ্রামের মা-মেয়ের থেকেই কীভাবে তৈরি হয়েছিল ব্লু প্রিন্ট, চাঞ্চল্যকর মোড়
- Published by:Debalina Datta
- hyperlocal
- Reported by:Rudra Narayan Roy
Last Updated:
New Body New Trolly Bag: নীল ট্রলিতেই আবারও দেহ পাচার! মধ্যমগ্রাম থেকেই কি প্ল্যান মাথায়! ঘোলার ঘটনায় উঠে আসল চাঞ্চল্যকর তথ্য
উত্তর ২৪ পরগনা: ক্যাবে বসে আর দশ জন যাত্রীদের মতই ভাড়ার টাকা মিটিয়ে ছিলেন এই দুই যাত্রী। তবে হঠাৎ গন্তব্যহীন শুনশান কল্যাণী এক্সপ্রেস এর ধারে হঠাৎ দাঁড়াতে বলায় কিছুটা হলেও সন্দেহ ডানা বেঁধে ছিল ক্যাব চালক রাহুল অধিকারীর। এরপর, যাত্রীরা গাড়ি থেকে নেমে যাওয়ায় ডিকি খুলে লাগেজ নামাতে গিয়ে সন্দেহটা পরিণত হয় ভয়ে। কারণ ওই যুবকদের সঙ্গে থাকা ট্রলি ব্যাগটি এতটাই ভারি ছিল যে দুজনে মিলে সেই ব্যাগ নামাতেও রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছিল তারা। অন্ধকারে নির্জন হাইওয়ের ধারে এই ঘটনায় তাদের আশঙ্কা করেই যাত্রীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, কি আছে চলিতে! এত ভারি কেন! ক্যাব চালকের মুখে এই কথা শুনতেই ঘাবড়ে যায় অভিযুক্ত দুই যুবক করণ সিং ও কৃষ্ণ পাল সিং।
advertisement
তারা তখন ওই ক্যাব চালককে জানান, ট্রলিতে রয়েছে কুর্তি(মেয়েদের জামাকাপড়)। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতির সঙ্গে মিল না থাকায়, বিষয়টি নিয়ে বচসা শুরু হয় ক্যাবচালক ও ওই অভিযুক্ত যাত্রী যুবকদের মধ্যে। আর এর জেরেই ট্রলিতে দেহ পাচারের হাতেনাতে ধরা পরে তারা। পুলিশের হাতে ঘটনাস্থলেই করণ সিং গ্রেপ্তার হয়, অপর অভিযুক্ত যুবক কৃষ্ণ পাল সিং পালিয়ে গেলেও কয়েক ঘন্টার মধ্যে টাওয়ার লোকেশন ধরে কলকাতার মুক্তারাম বাবু স্ট্রিট থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঘোলা থানার পুলিশ। তবে এরপরই উঠে আসে ঘটনার চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রে মারফত জানা গিয়েছে, ৮ লক্ষ টাকা নিয়ে অশান্তির জেরেই ভাগারামকে খুনের ছক কষেছিল কৃষ্ণ পাল সিং ও করণ সিং। পরিকল্পনামাফিক ভাগারামের কফিতে বিষ মিশিয়ে দেয় অভিযুক্তরা।
advertisement
advertisement
কলকাতার গিরিশ পার্ক এলাকার রমেশ প্রজাপতির বাড়িতে ভাড়া থাকতেন মৃত যুবক সহ অভিযুক্ত ২ যুবকও। সেখানেই খুন করা হয়েছে ভাগা রামকে বলেই মনে করছে পুলিশ। এরপর, নিপুণভাবে দেহ পাচারের ছক কষে করণ ও কৃষ্ণ অভিযুক্ত দুই যুবক। অভিযুক্ত বছর ৩৫ এর কোটায় দুই যুবক এর পারি রাজস্থানের জালোর জেলায় বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। করণ ও কৃষ্ণপালের থেকে চুড়িদারের পিস কিনতেন ব্যবসায়ী ভাগারাম। ধৃতদের দাবি, ৮ লক্ষ টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল ভাগারামের। দীর্ঘদিন ধরে টাকা চাইলেও দিচ্ছিলেন না ভাগারাম।
advertisement
সেই টাকাকে কেন্দ্র করেই সমস্যার সূত্রপাত। এরপর রাগের বসেই ভাড়া বাড়িতে ভাগারামকে খুনের ছক কষে অভিযুক্তরা। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে কফির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় যুবককে। ভাগারাম অচৈতন্য হলে তাঁকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এরপর গলার নলি কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে অভিযুক্তরা। খুনের পর দেহ রেখেই গোটাদিন ব্যবসা করে করণ ও কৃষ্ণপাল। সকালে মধ্যমগ্রাম কাণ্ডে মা মেয়ে গঙ্গায় দেহ পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছিল সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই, পরিকল্পনা ছিল রাতে সকলের অলক্ষে দেহ পাচারের। সেই মতো প্রথমে ট্রলিতে দেহ ভরে প্রথমে তারা নাগেরবাজারে পৌঁছন। সেখান থেকেই বুক করা হয়েছিল এই অ্যাপ-ক্যাব। পরিকল্পনা ছিল, কল্যাণী এক্সপ্রেস ওয়ের ধার নির্জন জায়গায় দেখে দেহ ফেলে চম্পট দেওয়ার। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
advertisement
অ্যাপ ক্যাবের চালকের সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হতে হয় তাদের। ভোলা থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করলেও ইতিমধ্যে গিরিশ পার্ক থানা পুলিশ আধিকারিক এরাও এসে পৌঁছেছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রয়োজনে অভিযুক্তদের সেখানেও নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে পুলিশ সূত্রে। টাকার কারণেই কি খুন! নাকি এর পিছনে রয়েছে আরও অন্য কোনও রহস্য তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। Input- Rudra Narayan Roy