পেশায় বই বিক্রেতা, তবে নেশায়...! সখের বশে কী না করেন! জানলে চমকে যাবেন
- Published by:Madhab Das
- hyperlocal
- Reported by:Madan Maity
Last Updated:
কাঁথির বাসিন্দা অপু শ্যামল। তিনি পেশায় একজন বই বিক্রেতা হলেও তার নেশা একেবারেই আলাদা। সখের বসে তিনি সংগ্রহ করেছেন প্রায় আড়াই হাজার দুষ্প্রাপ্য বই।
কাঁথির বাসিন্দা অপু শ্যামল। তিনি পেশায় একজন বই বিক্রেতা হলেও তার নেশা একেবারেই আলাদা। সখের বসে তিনি সংগ্রহ করেছেন প্রায় আড়াই হাজার দুষ্প্রাপ্য বই। শুধু বই সংগ্রহ করায় নয়, সেই বই পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ায় তার লক্ষ্য। বইপ্রেমে ভর করে তিনি নিজের ঘরকে বানিয়েছিলেন এক অমূল্য ভাণ্ডার, যা আজ অনেকের কাছে বিস্ময়ের বিষয়। তার এই উদ্যোগ প্রমাণ করে বইয়ের প্রতি টানই মানুষকে প্রকৃত অর্থে সমৃদ্ধ করে। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
advertisement
অপু শ্যামল নিজের সংগ্রহ থেকে আড়াই হাজার দুষ্প্রাপ্য বই কাঁথি ক্লাব মহকুমা গ্রন্থাগারে দান করেছেন। যে বইগুলো সহজে পাওয়া যায় না, সেই সব বই পাঠকদের হাতে পৌঁছে দেওয়াই তার একমাত্র উদ্দেশ্য। তিনি বিশ্বাস করেন, বই কেবল নিজের কাছে রাখলে নয়, অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিলেই জ্ঞান ছড়িয়ে পড়ে। তাই নিজের সংগ্রহকে লুকিয়ে না রেখে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।
advertisement
শুধু বই নয়, অপু শ্যামলের আরেকটি অদ্ভুত নেশা হল দুষ্প্রাপ্য মুদ্রা সংগ্রহ করা। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি সংগ্রহ করেছেন নানা যুগের মুদ্রা। সেই সব মুদ্রাও তিনি কাঁথি গ্রন্থাগারের সংগ্রহ শালায় দান করেছেন। তার এই উদ্যোগে পাঠক এবং ইতিহাসপ্রেমী উভয়েই উপকৃত হবেন। বইয়ের পাশাপাশি মুদ্রার প্রদর্শন নতুন প্রজন্মের কাছে অতীতকে চিনে নেওয়ার দরজা খুলে দেবে।
advertisement
অপু শ্যামলের এই বিরল দানকে স্বীকৃতি জানাতে কাঁথি গ্রন্থাগারের পক্ষ থেকে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা। সেখানে অপু বাবুকে সম্মানিত করা হয় বইপ্রেমী হিসেবে। এই সম্মান কেবল তার জন্য নয়, সমাজের জন্যও এক বড় দৃষ্টান্ত। কারণ তিনি দেখিয়েছেন নিজের নেশাকে কীভাবে অন্যদের কল্যাণে কাজে লাগান যায়।
advertisement
advertisement
অপু শ্যামল বলেন, “আমার নেশা বই আর মুদ্রা সংগ্রহ করা। তবে একা পড়ার আনন্দের চেয়ে সবাই মিলে পড়ার আনন্দ অনেক বড়। তাই আমি চাই আমার সংগ্রহ থেকে পাঠকরা উপকৃত হোন। আজকের দিনে অনেকেই বই থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। আমি চাই আমার এই ছোট প্রচেষ্টা দেখে নতুন প্রজন্ম বই পড়ার দিকে আগ্রহী হোক।” তার এই বার্তা সমাজে বইপ্রেম জাগিয়ে তুলবে।