East Bardhaman News: কাটোয়ার মাটিতে নারী শিক্ষার আলো জ্বালিয়েছিলেন এক সাহেব, ইতিহাসে উজ্জ্বল উইলিয়াম কেরির অবদান!

Last Updated:
East Bardhaman News: বহু বছর আগে কাটোয়া শহরে নারী শিক্ষার বীজ পুঁতেছিলেন সমাজসংস্কারক জুনিয়র উইলিয়াম কেরি।
1/5
বহু বছর আগে কাটোয়া শহরে নারী শিক্ষার বীজ পুঁতেছিলেন সমাজসংস্কারক জুনিয়র উইলিয়াম কেরি। শোনা যায়, ঊনিশ শতকে হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের ব্যাপটিস্ট মিশনারির ধর্মযাজক হিসেবে ভারতে আসেন তিনি। পরে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে কাটোয়া শহরে এসে পা রাখেন জুনিয়র কেরি। অল্প সময়ের মধ্যেই পরাধীন দেশের সামাজিক বাস্তবতা উপলব্ধি করে তিনি কেবল ধর্মযাজকের কাজেই সীমাবদ্ধ না থেকে সমাজ সংস্কারের পথে এগিয়ে যান। (তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
বহু বছর আগে কাটোয়া শহরে নারী শিক্ষার বীজ পুঁতেছিলেন সমাজসংস্কারক জুনিয়র উইলিয়াম কেরি। শোনা যায়, ঊনিশ শতকে হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের ব্যাপটিস্ট মিশনারির ধর্মযাজক হিসেবে ভারতে আসেন তিনি। পরে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে কাটোয়া শহরে এসে পা রাখেন জুনিয়র কেরি। অল্প সময়ের মধ্যেই পরাধীন দেশের সামাজিক বাস্তবতা উপলব্ধি করে তিনি কেবল ধর্মযাজকের কাজেই সীমাবদ্ধ না থেকে সমাজ সংস্কারের পথে এগিয়ে যান। (তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
advertisement
2/5
তৎকালীন রক্ষণশীল বাঙালি সমাজে নারী শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন জুনিয়র উইলিয়াম কেরি। সেই সময় অখণ্ড বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরেই মেয়েদের জন্য তিনি দু’টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে এলাকার মেয়েরা ইংরেজি শিক্ষার সুযোগ পেতেন, যা সেই সময়ের সমাজব্যবস্থায় ছিল অত্যন্ত ব্যতিক্রমী ও যুগান্তকারী উদ্যোগ।
তৎকালীন রক্ষণশীল বাঙালি সমাজে নারী শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন জুনিয়র উইলিয়াম কেরি। সেই সময় অখণ্ড বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরেই মেয়েদের জন্য তিনি দু’টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে এলাকার মেয়েরা ইংরেজি শিক্ষার সুযোগ পেতেন, যা সেই সময়ের সমাজব্যবস্থায় ছিল অত্যন্ত ব্যতিক্রমী ও যুগান্তকারী উদ্যোগ।
advertisement
3/5
নারী সমাজের কুসংস্কার দূরীকরণে স্বামীকে সমানভাবে সহায়তা করেছিলেন জুনিয়র উইলিয়াম কেরির স্ত্রী মেরি কিন্সি। তিনি পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে মেয়েদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার কাজ করেন। পাশাপাশি কেরি দম্পতি কাটোয়া শহরে একটি নিখরচায় দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করেছিলেন। সেই চিকিৎসালয়ে জলবাহিত রোগে আক্রান্ত বহু মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পেয়ে সুস্থ হয়ে উঠতেন।
নারী সমাজের কুসংস্কার দূরীকরণে স্বামীকে সমানভাবে সহায়তা করেছিলেন জুনিয়র উইলিয়াম কেরির স্ত্রী মেরি কিন্সি। তিনি পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে মেয়েদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার কাজ করেন। পাশাপাশি কেরি দম্পতি কাটোয়া শহরে একটি নিখরচায় দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করেছিলেন। সেই চিকিৎসালয়ে জলবাহিত রোগে আক্রান্ত বহু মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পেয়ে সুস্থ হয়ে উঠতেন।
advertisement
4/5
বর্তমানে কবিরাজপাড়া এলাকায় অবস্থিত সেই দাতব্য চিকিৎসালয়ের আর অস্তিত্ব নেই। একইভাবে নারী শিক্ষার জন্য তৈরি করা স্কুলগুলিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থান ও নাম বদলে শহরের অন্য প্রান্তে নতুন রূপে গড়ে উঠেছে। তবে কাটোয়া শহরের ইতিহাসে নারী শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে জুনিয়র উইলিয়াম কেরির অবদান আজও স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।
বর্তমানে কবিরাজপাড়া এলাকায় অবস্থিত সেই দাতব্য চিকিৎসালয়ের আর অস্তিত্ব নেই। একইভাবে নারী শিক্ষার জন্য তৈরি করা স্কুলগুলিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থান ও নাম বদলে শহরের অন্য প্রান্তে নতুন রূপে গড়ে উঠেছে। তবে কাটোয়া শহরের ইতিহাসে নারী শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে জুনিয়র উইলিয়াম কেরির অবদান আজও স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।
advertisement
5/5
আরও জানা যায়, কাটোয়া পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় জুনিয়র উইলিয়াম কেরি ও তাঁর আত্মীয়স্বজনেরা বসবাস করতেন। সেই কারণেই এলাকাটি আজও ‘সাহেব বাগান’ নামে পরিচিত। ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যু হয় এবং সাহেব বাগান এলাকাতেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। একই স্থানে তাঁর স্ত্রী মেরি কিন্সি ও তাঁদের পোষ্য হাতিরও সমাধি রয়েছে। প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর কাটোয়া পৌরসভার উদ্যোগে এই স্থানে একটি স্মরণানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এবছরও সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, পুরসভার চেয়ারম্যান কমলাকান্ত চক্রবর্তী-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
আরও জানা যায়, কাটোয়া পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় জুনিয়র উইলিয়াম কেরি ও তাঁর আত্মীয়স্বজনেরা বসবাস করতেন। সেই কারণেই এলাকাটি আজও ‘সাহেব বাগান’ নামে পরিচিত। ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যু হয় এবং সাহেব বাগান এলাকাতেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। একই স্থানে তাঁর স্ত্রী মেরি কিন্সি ও তাঁদের পোষ্য হাতিরও সমাধি রয়েছে। প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর কাটোয়া পৌরসভার উদ্যোগে এই স্থানে একটি স্মরণানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এবছরও সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, পুরসভার চেয়ারম্যান কমলাকান্ত চক্রবর্তী-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। (তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
advertisement
advertisement
advertisement