Durga Puja Parking Guide: দমদম পার্ক, শ্রীভূমি-সহ লেকটাউন বাগুইআটি, গাড়ি নিয়ে প্যান্ডেল হপিং? কোথায় পার্কিং জানেন?

এবারের পুজোয় কার পার্কিং নিয়ে আর পড়তে হবে না ঝামেলায়! পুজোকে কেন্দ্র করে ভিড় সামলাতে এবং যানজট এড়াতে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে বিধাননগর পুলিশ। উল্টোডাঙা থেকে দমদম পার্কের মধ্যে মোট সাতটি নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য।

এর মধ্যে রয়েছে ক্যানেল সাইট পার্কিং, ঘোলাঘাট পার্কিং, বাঙুর পার্কিং ও ক্লক টাওয়ার পার্কিং। পাশাপাশি লিঙ্ক রোড, দমদম পার্ক ভিআইপি ক্রসিং, কেষ্টপুর, বাগুইআটি ফ্লাইওভারের সার্ভিস রোডেও শতাধিক গাড়ি রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

বিধাননগর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দুপুর তিনটের পর থেকে এই এলাকা গুলিতে বিশেষ যান নিয়ন্ত্রণ  করা হবে। লেকটাউন সহ দমদম এলাকায় প্রায় ৭০০ ট্রাফিক আধিকারিক মোতায়েন থাকবেন পরিস্থিতি সামাল দিতে।

এছাড়া লেকটাউন হনুমান মন্দির ও ক্লক টাওয়ারের একটি লেনও পার্কিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। শ্রীভূমি, ভারতচক্র, যুবক বৃন্দ, তরুণ সংঘ, তরুণ দল, লেকটাউন অধিবাসীবৃন্দ, দক্ষিণ দাড়ি ইউথ এবং বাগুইআটির জনপ্রিয় কয়েকটি পুজো ঘুরে দেখার জন্য দর্শনার্থীরা এই পার্কিং ব্যবস্থার সুবিধা নিতে পারবেন।

সব পার্কিং স্পট থেকে বড় পুজোগুলির দূরত্ব এক থেকে দেড় কিলোমিটার হওয়ায় দর্শনার্থীদের হাঁটতে কোনও অসুবিধা হবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বিধাননগর স্টেশন ও ফ্লাইওভার সংলগ্ন কিছু সার্ভিস রোডেও পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পাশাপাশি শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসার জন্য আইএলএস হসপিটাল, ড্যাফোডিল হসপিটাল, টিউলিপ নার্সিংহোম, রেনেসা হসপিটাল ও সাউথ দমদম মিউনিসিপ্যাল হসপিটাল নিকটেই রয়েছে।

ঠাকুর দেখার ফাকে পেট পুজো করতে চাইলে কাছাকাছি চলে যেতে পারেন সিমলা বিরিয়ানি, আরসালান, বার্গার কিং কিংবা আউদ সহ জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট গুলিতে। বাগুইআটি ও লেকটাউন ক্লক টাওয়ারের কাছে আছে পে-অ্যান্ড-ইউস টয়লেট।

বিধাননগর পুলিশের ডিসিপি ট্রাফিক নিমা ভুটিয়া জানান, দর্শনার্থীরা কোনো সমস্যায় পড়লে পুলিশের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন কিংবা ব্যবহার করতে পারবেন বিশেষ মোবাইল অ্যাপ।

কলকাতা-সহ আশপাশের জেলাগুলি থেকে আগত মানুষের পরিবার-পরিজন নিয়ে নির্বিঘ্নে পুজো উপভোগ করার জন্য সমস্তরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে পুজোর কদিন। ফলে যানবাহন যত্রতত্র রেখে, যানজট সৃষ্টি ও ফাইনের ভয় এই সব কিছু এড়িয়ে নিশ্চিন্তে পরিবার পরিজনদের নিয়ে ঠাকুর দেখতে পারবেন দর্শনার্থীরা। (তথ্য-রুদ্র নারায়ণ রায়)