Durga Puja 2021: মূর্তি ছাড়াই দুর্গাপুজো! কীর্ণাহারের রায় চৌধুরী বাড়ির ঠাকুরদালানে এক অন্য 'গল্প', রইল তার হদিস...

Last Updated:
Durga Puja 2021: দুর্গাপুজোর প্রতিটি ঘটে আলাদা আলাদা তাৎপর্য (Bangla News) আর আলাদা আলাদা কাহিনী। শুনবেন?
1/7
বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবে আলাদা ঐতিহ্য বহন করে বীরভূমের কীর্ণাহারের রায় চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজো। তিন শতাধিক বছরের প্রাচীন এই দুর্গাপুজোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল বোধনের দিন আনা হয় ঘট এবং এখানে মূর্তি পুজোর নিয়মই নেই। তবে মুর্তি পূজো না হলেও মহাষষ্ঠীর দিন থেকেই দুর্গা, লক্ষ্মী ও সরস্বতীকে তুলে ধরা হয় পটচিত্রে।
বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবে আলাদা ঐতিহ্য বহন করে বীরভূমের কীর্ণাহারের রায় চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজো। তিন শতাধিক বছরের প্রাচীন এই দুর্গাপুজোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল বোধনের দিন আনা হয় ঘট এবং এখানে মূর্তি পুজোর নিয়মই নেই। তবে মুর্তি পূজো না হলেও মহাষষ্ঠীর দিন থেকেই দুর্গা, লক্ষ্মী ও সরস্বতীকে তুলে ধরা হয় পটচিত্রে।
advertisement
2/7
তিন শতাধিক বছরের এই রায় চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজোয় বিশেষ ঐতিহ্য হল বোধনের দিন ঘট আনার মধ্য দিয়েই শুরু হয়ে যায় দেবীর আরাধনা। সেইমতো শুক্রবার ঠাকুর বাড়ির অদূরে পুকুর থেকে আনা হয় ঘট। শোভাযাত্রার মাধ্যমে এদিন এই ঘট আনা হয়। ঘট আনাকে কেন্দ্র করে এই পরিবারের সদস্যরা দূর-দূরান্তে থাকলেও হাজির হন রীতি মেনে। এও দেখার মতো এক উৎসব।
তিন শতাধিক বছরের এই রায় চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজোয় বিশেষ ঐতিহ্য হল বোধনের দিন ঘট আনার মধ্য দিয়েই শুরু হয়ে যায় দেবীর আরাধনা। সেইমতো শুক্রবার ঠাকুর বাড়ির অদূরে পুকুর থেকে আনা হয় ঘট। শোভাযাত্রার মাধ্যমে এদিন এই ঘট আনা হয়। ঘট আনাকে কেন্দ্র করে এই পরিবারের সদস্যরা দূর-দূরান্তে থাকলেও হাজির হন রীতি মেনে। এও দেখার মতো এক উৎসব।
advertisement
3/7
তবে শুধু বোধনের দিন নয়, এর পাশাপাশি চতুর্থী এবং মহাসপ্তমীর দিনেও ঘট আনার রীতি রয়েছে। নানুরের কীর্ণাহারের এই দুর্গা পুজো সম্পর্কে পরিবারের সদস্যদের থেকে জানা গিয়েছে, প্রাচীন রীতিনীতি অনুসারেই এখানে মুর্তি পূজো হয় না। পরিবর্তে মহাসপ্তমীর দিন পটচিত্রে তুলে ধরা হয় দেবী দুর্গা, মা লক্ষ্মী এবং মা সরস্বতীকে।
তবে শুধু বোধনের দিন নয়, এর পাশাপাশি চতুর্থী এবং মহাসপ্তমীর দিনেও ঘট আনার রীতি রয়েছে। নানুরের কীর্ণাহারের এই দুর্গা পুজো সম্পর্কে পরিবারের সদস্যদের থেকে জানা গিয়েছে, প্রাচীন রীতিনীতি অনুসারেই এখানে মুর্তি পূজো হয় না। পরিবর্তে মহাসপ্তমীর দিন পটচিত্রে তুলে ধরা হয় দেবী দুর্গা, মা লক্ষ্মী এবং মা সরস্বতীকে।
advertisement
4/7
এই পুজোয় রয়েছে সন্ধিপুজো এবং অন্নভোগ দেওয়ার রীতিও। আগে বোধনের দিন থেকেই দিনে পাঁচটি করে বলি দেওয়ার রীতি ছিল। যদিও বর্তমানে তা বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে কেবলমাত্র মহাষ্টমীতে বলি প্রথা রয়েছে।
এই পুজোয় রয়েছে সন্ধিপুজো এবং অন্নভোগ দেওয়ার রীতিও। আগে বোধনের দিন থেকেই দিনে পাঁচটি করে বলি দেওয়ার রীতি ছিল। যদিও বর্তমানে তা বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে কেবলমাত্র মহাষ্টমীতে বলি প্রথা রয়েছে।
advertisement
5/7
রায় চৌধুরী পরিবারের সদস্য তৃপ্তি রায় চৌধুরী বলছিলেন পুজোর রীতিনীতি। জানালেন, বোধনের দিন একটি নয়, দু'টি ঘট আনা হয়। একটি মাটির ঘট এবং একটি পিতলের ঘট। মাটির ঘটটি বোধনের আট দিন পর নয় দিনের দিন বিসর্জন দেওয়া হয়। অন্যদিকে পিতলের ঘটটি পুজো হওয়ার পর বিসর্জন হয় বিজয়া দশমীর আট দিন পর নয় দিনের দিন।
রায় চৌধুরী পরিবারের সদস্য তৃপ্তি রায় চৌধুরী বলছিলেন পুজোর রীতিনীতি। জানালেন, বোধনের দিন একটি নয়, দু'টি ঘট আনা হয়। একটি মাটির ঘট এবং একটি পিতলের ঘট। মাটির ঘটটি বোধনের আট দিন পর নয় দিনের দিন বিসর্জন দেওয়া হয়। অন্যদিকে পিতলের ঘটটি পুজো হওয়ার পর বিসর্জন হয় বিজয়া দশমীর আট দিন পর নয় দিনের দিন।
advertisement
6/7
চতুর্থীর দিন চতুর্থী ঠাকুরানী নামে একটি ঘট আনা হয় এবং তার পুজো দিয়ে পঞ্চমীর দিন বিসর্জন দেওয়া হয়। আবার মহা সপ্তমীর দিন দুটি ঘট আনা হয়। একটি মাটির এবং একটি পিতলের। সেই দুটি ঘট আবার বিসর্জন হয় আট দিন পর।
চতুর্থীর দিন চতুর্থী ঠাকুরানী নামে একটি ঘট আনা হয় এবং তার পুজো দিয়ে পঞ্চমীর দিন বিসর্জন দেওয়া হয়। আবার মহা সপ্তমীর দিন দুটি ঘট আনা হয়। একটি মাটির এবং একটি পিতলের। সেই দুটি ঘট আবার বিসর্জন হয় আট দিন পর।
advertisement
7/7
বছরের পর বছর ধরে এই ভাবেই কীর্ণাহারের রায়চৌধুরী পরিবারের দুর্গা পুজো হয়ে আসছে। তবে গত বছরের মতো এই বছরও করোনাকালে কিছুটা হলেও ফিকে হয়েছে আনন্দ। অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগও চিন্তায় ফেলেছে এই পরিবারকে। তবে আসার দোলাচলে সকলেই। মনের কোণে একটাই প্রার্থনা, দুর্যোগ থেকে অতিমারী, মা নিশ্চই সব ঠিক করে দেবেন।
বছরের পর বছর ধরে এই ভাবেই কীর্ণাহারের রায়চৌধুরী পরিবারের দুর্গা পুজো হয়ে আসছে। তবে গত বছরের মতো এই বছরও করোনাকালে কিছুটা হলেও ফিকে হয়েছে আনন্দ। অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগও চিন্তায় ফেলেছে এই পরিবারকে। তবে আসার দোলাচলে সকলেই। মনের কোণে একটাই প্রার্থনা, দুর্যোগ থেকে অতিমারী, মা নিশ্চই সব ঠিক করে দেবেন।
advertisement
advertisement
advertisement