Digha: দিঘার সমুদ্রে 'বিপর্যয়', থিকথিক করছে ...! দলা-দলা এসব কী? পায়ের তলার একবার লাগলেই..., হুলস্থুল কাণ্ড!

বাংলা ও বাঙালির জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র দিঘা। দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর সমুদ্রকেন্দ্রিক এই পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটনে নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে। জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমাচ্ছে দিঘায়।

পর্যটকের ভিড়ে দিঘাকে সুন্দরভাবে তুলে ধরতে বিন্দুমাত্র কুন্ঠিত নয় প্রশাসন। কিন্তু তারপরও দিঘা পর্যটনকেন্দ্র জুড়ে সৌন্দর্য বিপর্যয়ের মুখে। বিশেষ করে সৈকত সরণী বা দিঘার রাস্তায় সাধারণ মানুষের চলাফেরা করাই দায় হয়ে যাচ্ছে। যার অন্যতম কারণ গবাদি পশু।

দিঘার রাস্তা বা সৈকত সরনি জুড়ে চরে বেড়াচ্ছে গরু। আর তাতেই পরিবেশ নোংরা হচ্ছে তেমনই অনেক সময় পর্যটকদের বিপত্তির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। তাই এবার বিশেষ পদক্ষেপ করল প্রশাসন।

পর্যটকদের অভিযোগ, স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা নিজেদের গরু রাতের অন্ধকারে রাস্তায় ছেড়ে দেয়। এর ফলে সন্ধ্যার সময় সৈকত সরণী বা দিঘার রাস্তায় চলাচল করতে অনেক সময় বিপত্তির মুখে পড়তে হয় পর্যটকদের। অভিযোগ গরু চরে বেড়ানোর ফলে সমুদ্র সৈকত শহর নোংরা হচ্ছে। ফলে পর্যটনকেন্দ্রের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সাধারণ মানুষের চলাচলের অযোগ্য হচ্ছে এলাকা।

এ বিষয়ে রামনগর ১ নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক পূজা দেবনাথ বলেন, 'দিঘার সৌন্দর্যায়নের জন্য ও পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।' প্রসঙ্গত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দিঘার রূপ সৌন্দর্য আরও বেড়েছে।

ঝাঁ চকচকে রাস্তা থেকে মেরিন ড্রাইভ। সুন্দরভাবে সাজানো গোছানো পার্ক। রাতে রঙিন আলোকে উদ্ভাসিত দিঘা পর্যটকদের মনে বাড়তি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। কিন্তু সেই জায়গায় সন্ধে নামার পর সমুদ্র সৈকতে বাড়ছে গবাদি পশুর সংখ্যা। তাই বাড়তি পদক্ষেপ নিল প্রশাসন।'

আর এই অভিযোগ পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। তাজপুর থেকে ওল্ড দিঘা, নিউ দিঘা -সহ ওড়িশা বর্ডার পর্যন্ত বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে বলেই খবর। মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে। এবার কড়া নির্দেশ দেওয়া হল।

১ জুনের পর থেকে গরু চরানো বন্ধ করতে হবে, নাহলে কড়া পদক্ষেপ করবে প্রশাসন। রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।