অঙ্গনওয়াড়ি-আশাকর্মীদের লক্ষ্মীলাভ! উৎসবের মরশুমে অ্যাকাউন্টে ঢুকছে মোবাইল কেনার টাকা, কত করে দিচ্ছে সরকার?

Last Updated:
ASHA Workers: প্রশাসনের তরফে অঙ্গনওয়াড়ি ও আশাকর্মীদের জন্য সুখবর এসেছে। চলতি মাস থেকেই তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোবাইল কেনার টাকা জমা পড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্মার্টফোন কেনার জন্য তাঁরা অনুদান পাচ্ছেন।
1/5
রাজ্য সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণ। প্রশাসনের তরফে অঙ্গনওয়াড়ি ও আশাকর্মীদের জন্য সুখবর এসেছে। চলতি মাস থেকেই তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোবাইল কেনার টাকা জমা পড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কাজের সুবিধায় স্মার্টফোন কেনার জন্য প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি ও আশাকর্মী ১০,০০০ টাকা করে অনুদান পাচ্ছেন। সেই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তাও পৌঁছেছে তাঁদের হাতে। শুভেচ্ছাপত্রে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন,
রাজ্য সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণ। প্রশাসনের তরফে অঙ্গনওয়াড়ি ও আশাকর্মীদের জন্য সুখবর এসেছে। চলতি মাস থেকেই তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোবাইল কেনার টাকা জমা পড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কাজের সুবিধায় স্মার্টফোন কেনার জন্য প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি ও আশাকর্মী ১০,০০০ টাকা করে অনুদান পাচ্ছেন। সেই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তাও পৌঁছেছে তাঁদের হাতে। শুভেচ্ছাপত্রে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, "সুষ্ঠু কাজ ও উন্নততর পরিষেবার স্বার্থে এই সহায়তা।" (ছবি ও তথ্যঃ সুদীপ্ত গড়াই)
advertisement
2/5
বীরভূম জেলাতেই অঙ্গনওয়াড়ি ও আশাকর্মীর সংখ্যা প্রায় দশ হাজার। এতদিন ধরে তাঁরা নানা তথ্য সংগ্রহ, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরিষেবা, জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য নথিভুক্তকরণ সহ একাধিক দায়িত্ব পালন করলেও স্মার্টফোনের অভাব ছিল বড় বাধা। অনেকেই ব্যক্তিগত ফোন বা পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ব্যবহার করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। অবশেষে তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি আংশিকভাবে পূরণ হল।
বীরভূম জেলাতেই অঙ্গনওয়াড়ি ও আশাকর্মীর সংখ্যা প্রায় দশ হাজার। এতদিন ধরে তাঁরা নানা তথ্য সংগ্রহ, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরিষেবা, জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য নথিভুক্তকরণ সহ একাধিক দায়িত্ব পালন করলেও স্মার্টফোনের অভাব ছিল বড় বাধা। অনেকেই ব্যক্তিগত ফোন বা পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ব্যবহার করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। অবশেষে তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি আংশিকভাবে পূরণ হল।
advertisement
3/5
তবে খুশির পাশাপাশি একাধিক প্রশ্নও তুলছেন কর্মীরা। পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়নের বীরভূম জেলা উপদেষ্টা আয়েশা খাতুন বলেন,
তবে খুশির পাশাপাশি একাধিক প্রশ্নও তুলছেন কর্মীরা। পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়নের বীরভূম জেলা উপদেষ্টা আয়েশা খাতুন বলেন, "সরকার ১০,০০০ টাকা দিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু কিছু ব্লকে টাকা ঢুকেছে, কিছু ব্লকে এখনও আসেনি। শর্ত রাখা হয়েছে, ফোন কেনার পর বিল ও আইইএমআই নম্বর অফিসে জমা দিতে হবে। চাকরি ছেড়ে দিলে বা মারা গেলে ফোন ফেরত দিতে হবে। এটা কি যুক্তিসঙ্গত?"
advertisement
4/5
আয়েশা খাতুনের অভিযোগ,
আয়েশা খাতুনের অভিযোগ, "আমরা সরকারি কর্মচারী নই, অথচ সরকারি কর্মীর মতো কাজ করতে হয়। উৎসাহ ভাতা নামে সামান্য টাকায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ কাজ করানো হচ্ছে। সরকারি চাকরির স্বীকৃতি না দিয়েই আমাদের দিয়ে জনস্বাস্থ্যের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করানো হচ্ছে।" তিনি আরও বলেন, "এই সমাজে বেকারের সংখ্যা অনেক। তাই কেউ প্রতিবাদ করলেই বলা হয়, না করলে ছেড়ে দাও, অন্য কেউ করবে। এভাবে চাপে রেখে আমাদের দিয়ে সব কাজ করানো হচ্ছে। এটা স্বেচ্ছাশ্রম নয়, এটা বঞ্চনা।"
advertisement
5/5
যেখানে একদিকে মোবাইল কেনার টাকা মেলায় খুশি কর্মীরা, অন্যদিকে শর্ত ও দায়বদ্ধতার প্রশ্নে বাড়ছে অসন্তোষ। বহু কর্মীই মনে করছেন,
যেখানে একদিকে মোবাইল কেনার টাকা মেলায় খুশি কর্মীরা, অন্যদিকে শর্ত ও দায়বদ্ধতার প্রশ্নে বাড়ছে অসন্তোষ। বহু কর্মীই মনে করছেন, "দশ হাজার টাকায় ভাল ফোন কেনা সম্ভব নয়, আবার ফোন নষ্ট হলে বা অ্যাপ কাজ না করলে অফিস দায় নেবে কিনা, সেটাও স্পষ্ট নয়।" তবু অনেকেই বলছেন, "এই সহায়তা অন্তত শুরু, তাতে কিছুটা হলেও কাজের সুবিধা হবে।" প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধাপে ধাপে সব ব্লকের কর্মীদের কাছেই টাকা পৌঁছে যাবে। (ছবি ও তথ্যঃ সুদীপ্ত গড়াই)
advertisement
advertisement
advertisement