প্রাচীন মার্টিনবার্ন রেল...! স্মৃতির ইতিহাস ছুঁয়ে যায় বসিরহাটের পটভূমি... গায়ে কাঁটা দেয়!

Last Updated:
Basirhat Rail: স্থানীয় প্রবীণদের মতে, মার্টিন বার্ন রেলের ছোট্ট স্টিম ইঞ্জিনগুলো ধীর গতিতে ছুটত, আর গ্রামের ধারে শিশুদের দল হুড়োহুড়ি করে দেখতে যেত “ছক ছক্কা” ট্রেন। লোকমুখে বলা হতো ‘মার্টিন গাড়ি’ বা ‘ছোটগাড়ি’। কালো ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে কারও বাগান বা কারও উঠোনের সামনে দিয়ে চলত ছয় কামরার ট্রেন।
1/6
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট— আজকের দিনে এটি এক ব্যস্ত শহর, কিন্তু একসময় এই শহর ছিল এক ঐতিহাসিক রেলপথের সাক্ষী। সেই রেলপথের নাম মার্টিন বার্ন রেলওয়ে। ব্রিটিশ আমলে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা এই রেলপথ আজও স্থানীয় মানুষের স্মৃতিতে জেগে আছে।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট— আজকের দিনে এটি এক ব্যস্ত শহর, কিন্তু একসময় এই শহর ছিল এক ঐতিহাসিক রেলপথের সাক্ষী। সেই রেলপথের নাম মার্টিন বার্ন রেলওয়ে। ব্রিটিশ আমলে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা এই রেলপথ আজও স্থানীয় মানুষের স্মৃতিতে জেগে আছে।
advertisement
2/6
১৯০০ সালের প্রথম দিকেই কলকাতাভিত্তিক নামে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি পূর্ববঙ্গ ও দক্ষিণ বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে রেলওয়ে চালু করে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল গ্রামীণ এলাকাগুলিতে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন সহজ করা। এই রেলপথের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা ছিল বসিরহাট।
১৯০০ সালের প্রথম দিকেই কলকাতাভিত্তিক নামে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি পূর্ববঙ্গ ও দক্ষিণ বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে রেলওয়ে চালু করে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল গ্রামীণ এলাকাগুলিতে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন সহজ করা। এই রেলপথের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা ছিল বসিরহাট।
advertisement
3/6
প্রথমে কলকাতার শিয়ালদহ থেকে বসিরহাট পর্যন্ত সরু গেজের এই রেললাইনটি নির্মিত হয় প্রায়, পরবর্তীতে লাইনটি প্রসারিত হয় হাসনাবাদ পর্যন্ত। চাষবাসের পণ্য, বিশেষ করে চাল, পাট, মাছ এবং কৃষিজ দ্রব্য কলকাতায় পৌঁছে দিতে এই রেল ছিল একমাত্র ভরসা। বসিরহাট, টাকি, হাড়োয়া— এই সব জনপদ তখন রেলের আওতায় আসে, এবং বাণিজ্যিক উন্নতির নতুন দিগন্ত খুলে দেয়।
প্রথমে কলকাতার শিয়ালদহ থেকে বসিরহাট পর্যন্ত সরু গেজের এই রেললাইনটি নির্মিত হয় প্রায়, পরবর্তীতে লাইনটি প্রসারিত হয় হাসনাবাদ পর্যন্ত। চাষবাসের পণ্য, বিশেষ করে চাল, পাট, মাছ এবং কৃষিজ দ্রব্য কলকাতায় পৌঁছে দিতে এই রেল ছিল একমাত্র ভরসা। বসিরহাট, টাকি, হাড়োয়া— এই সব জনপদ তখন রেলের আওতায় আসে, এবং বাণিজ্যিক উন্নতির নতুন দিগন্ত খুলে দেয়।
advertisement
4/6
স্থানীয় প্রবীণদের মতে, মার্টিন বার্ন রেলের ছোট্ট স্টিম ইঞ্জিনগুলো ধীর গতিতে ছুটত, আর গ্রামের ধারে শিশুদের দল হুড়োহুড়ি করে দেখতে যেত “ছক ছক্কা” ট্রেন। লোকমুখে বলা হতো ‘মার্টিন গাড়ি’ বা ‘ছোটগাড়ি’। কালো ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে কারও বাগান বা কারও উঠোনের সামনে দিয়ে চলত ছয় কামরার ট্রেন।
স্থানীয় প্রবীণদের মতে, মার্টিন বার্ন রেলের ছোট্ট স্টিম ইঞ্জিনগুলো ধীর গতিতে ছুটত, আর গ্রামের ধারে শিশুদের দল হুড়োহুড়ি করে দেখতে যেত “ছক ছক্কা” ট্রেন। লোকমুখে বলা হতো ‘মার্টিন গাড়ি’ বা ‘ছোটগাড়ি’। কালো ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে কারও বাগান বা কারও উঠোনের সামনে দিয়ে চলত ছয় কামরার ট্রেন।
advertisement
5/6
পরবর্তীতে ভারতীয় রেলওয়ে সেই রুটকে আধুনিক করে নতুন ব্রডগেজ লাইনে পরিণত করে, যা আজকের শিয়ালদহ–হাসনাবাদ লাইন। তবে সেই প্রাচীন মার্টিন বার্ন রেলের স্মৃতি আজও স্থানীয় মানুষের মুখে মুখে ঘোরে— একসময়কার গ্রামের প্রাণস্পন্দন হয়ে।
পরবর্তীতে ভারতীয় রেলওয়ে সেই রুটকে আধুনিক করে নতুন ব্রডগেজ লাইনে পরিণত করে, যা আজকের শিয়ালদহ–হাসনাবাদ লাইন। তবে সেই প্রাচীন মার্টিন বার্ন রেলের স্মৃতি আজও স্থানীয় মানুষের মুখে মুখে ঘোরে— একসময়কার গ্রামের প্রাণস্পন্দন হয়ে।
advertisement
6/6
চব্বিশ পরগনা জেলার এই বর্ধিষ্ণু জনপদকে রেললাইনের মাধ্যমে যুক্ত করার এই প্রয়াস ছিল ঐতিহাসিক। ১৯০৫ সালে বারাসত থেকে বসিরহাট ২৬ মাইল দীর্ঘ এই রেলপথের সূচনা হয়। এর পর টাকি এবং ইছামতী-তীরবর্তী হাসনাবাদ পর্যন্ত দু’টি এক্সটেনশন লাইন যুক্ত করা হয়েছিল।
চব্বিশ পরগনা জেলার এই বর্ধিষ্ণু জনপদকে রেললাইনের মাধ্যমে যুক্ত করার এই প্রয়াস ছিল ঐতিহাসিক। ১৯০৫ সালে বারাসত থেকে বসিরহাট ২৬ মাইল দীর্ঘ এই রেলপথের সূচনা হয়। এর পর টাকি এবং ইছামতী-তীরবর্তী হাসনাবাদ পর্যন্ত দু’টি এক্সটেনশন লাইন যুক্ত করা হয়েছিল।
advertisement
advertisement
advertisement