১০ টাকার পর এবার বিনামূল্যে, পেটপুরে দু'বেলার খাবার! তাও আবার হোম ডেলিভারি, নয়া প্রকল্পের ঘোষণা বিধায়কের
- Published by:Madhab Das
- hyperlocal
- Reported by:Sayani Sarkar
Last Updated:
নজীরবিহীন ঘোষণা বিধায়কের, শহরে আর কেউ অভুক্ত থাকবে না, শুরু নয়া প্রকল্প। পাশাপাশি যারা বার্ধক্যজনিত কারণে বা অসুস্থতার কারণে খাবার খেতে আসতে পারবেন না তাদের জন্যও করা হচ্ছে বিশেষ চিন্তাভাবনা।
নজিরবিহীন ঘোষণা বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়কের, বর্ধমান শহরে আর কেউ অভুক্ত থাকবে না, শুরু নয়া প্রকল্প। পাশাপাশি যারা বার্ধক্যজনিত কারণে বা অসুস্থতার কারণে খাবার খেতে আসতে পারবেন না তাদের জন্যও বিশেষ চিন্তাভাবনা। তাদের জন্য থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা, যা শুরু হবে খুব শীঘ্রই। (চিত্র ও তথ্য সূত্র: সায়নী সরকার)
advertisement
advertisement
এবার কাঞ্চননগরের এই কঙ্কালেশ্বরী কালীমন্দির প্রাঙ্গণে চালু করছেন বিনামূল্যে রাতেও খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা। যেখানে বিনামূল্যে রাত্রি ৮ টা থেকে রাত্রি ১০-১১ টা পর্যন্ত খেতে পারবেন প্রত্যেকে। রাত্রে বিনামূল্যে খাবার দেওয়ার পাশাপাশি যেসব মানুষ বার্ধক্যজনিত কারণে বা অসুস্থতার কারণে খেতে আসতে পারবেন না তাদের জন্যও থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা। কোনও মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে সেজন্য খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে বিনামূল্যে বাড়ি বাড়ি খাবার দেওয়ার প্রকল্প।
advertisement
বিধায়ক জানান, "অনেক বাড়িতে অনেক রকমের মানুষ থাকেন। কেউ বার্ধক্যজনিত কারণে বা কেউ অসুস্থতার কারণে বাড়ি থেকে বার হতে পারেন না রাতের বেলায়। ফলে তাঁদের খাবার জোটে না। এবার আর তাঁদের না খেয়ে থাকতে হবে না। ইতিমধ্যেই তাঁর বিধানসভা এলাকা তথা বর্ধমান পুর এলাকার ৩৫টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলারদের নির্দেশ দিয়েছেন, কোথায় কোথায় এই ধরণের মানুষ আছে তার তালিকা তৈরী করতে এবং তাদের আধার কার্ডের জেরক্স নিতে। এই এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০০-রও বেশি নামের তালিকা তাঁরা পেয়েছেন। এই সমস্ত মানুষদের জন্য মাথাপিছু দুটি করে টিফিন বক্স তাঁরা বরাদ্দ করছেন। দুপুরে তাঁদের খাবার দেওয়া হবে এবং রাতেও খাবার দেওয়া হবে। এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা হবে। বিধায়ক জানিয়েছেন, এর ফলে বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা এলাকায় কেউই আর অভুক্ত থাকবেন না।"
advertisement
তিনি আরও জানান, "ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে কঙ্কালেশ্বরী কালীমন্দিরে বিনামূল্যে রাতে খাবার ব্যবস্থা এবং বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা শুরু হবে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই। যেহেতু ১০ টাকার বিনিময়ে খাওয়ার ব্যবস্থা ও রাতে বিনামূল্যে খাবার ব্যবস্থা কঙ্কালেশ্বরী কালী মন্দিরে করা হয় তাই নিরামিষ খাবার দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়ি বাড়ি দুপুরে ও রাত্রে খাবার দেওয়ার যে ব্যবস্থা শুরু হতে চলেছে তাতে আমিষ খাবারও দেওয়া হবে। কারণ সেইসব খাবার অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা খাবেন। সেই রান্না করা হবে আমাদের বৃদ্ধাশ্রমে। বৃদ্ধাশ্রমেও আমরা মাছ ও ডিম খাওয়াই। যারা রাতে ভাত খেতে চাইবেন তারা ভাত পাবেন এবং যারা রুটি খেতে চাইবেন তারা রুটি পাবেন।"