স্বাধীনতার স্বপ্নে মৃত্যুভয়কেও বশ করেছিলেন, ফাঁসির মঞ্চে ক্ষুদিরামের শেষ কথা চমকে দিয়েছিল সবাইকে

Last Updated:
জন্মের পরই ছেলের মৃত্যু হবে, এই অন্ধবিশ্বাসে ক্ষুদিরামের মা সন্ত্রস্ত ছিলেন। তাই তিনি তিন মুঠো খুদের বিনিময়ে তাঁকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন মাসির কাছে। সেই থেকেই তাঁর নাম ক্ষুদিরাম।
1/5
১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট। স্বাধীনতার স্বপ্নে যিনি মৃত্য়ুভয়কেও বশ করেছিলেন, সেই ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসির দিন। তাঁর ১১৩ বছরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বাঙালির মনে এখনও ক্ষুদিরাম বোসের উপস্থিতি অমলিন।
১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট। স্বাধীনতার স্বপ্নে যিনি মৃত্য়ুভয়কেও বশ করেছিলেন, সেই ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসির দিন। তাঁর ১১৩ বছরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বাঙালির মনে এখনও ক্ষুদিরাম বোসের উপস্থিতি অমলিন।
advertisement
2/5
১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল বিহারের মুজফ্ফরপুরে ইউরোপিয়ান ক্লাবের সামনে বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকির সঙ্গে ক্ষুদিরাম বোস বোমা ছুড়ে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন ব্রিটিশ বিচারক ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে। কিন্তু সেই গাড়িতে ছিলেন না কিংসফোর্ড। বোমার আঘাতে দুই ইংরেজ মহিলার মৃত্যু হয়।
১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল বিহারের মুজফ্ফরপুরে ইউরোপিয়ান ক্লাবের সামনে বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকির সঙ্গে ক্ষুদিরাম বোস বোমা ছুড়ে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন ব্রিটিশ বিচারক ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে। কিন্তু সেই গাড়িতে ছিলেন না কিংসফোর্ড। বোমার আঘাতে দুই ইংরেজ মহিলার মৃত্যু হয়।
advertisement
3/5
প্রফুল্ল চাকি আত্মহত্যা করেন। ব্রিটিশদের হাতে ধরা পড়েন ক্ষুদিরাম। ১৮ বছরের নির্ভীক স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষুদিরামের মৃত্যুর সাজা শুনিয়েছিলেন ব্রিটিশ বিচারক মি. কর্নডফ। সাজা ঘোষণার পরও ক্ষুদিরামের মুখে লেগে ছিল অমলিন হাসি। অবাক হয়েছিলেন কর্নডফ। তিনি ক্ষুদিরামকে প্রশ্ন করেন, তোমার ফাঁসি হবে। মৃত্যুর সাজা। বুঝেছো তো?
প্রফুল্ল চাকি আত্মহত্যা করেন। ব্রিটিশদের হাতে ধরা পড়েন ক্ষুদিরাম। ১৮ বছরের নির্ভীক স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষুদিরামের মৃত্যুর সাজা শুনিয়েছিলেন ব্রিটিশ বিচারক মি. কর্নডফ। সাজা ঘোষণার পরও ক্ষুদিরামের মুখে লেগে ছিল অমলিন হাসি। অবাক হয়েছিলেন কর্নডফ। তিনি ক্ষুদিরামকে প্রশ্ন করেন, তোমার ফাঁসি হবে। মৃত্যুর সাজা। বুঝেছো তো?
advertisement
4/5
জন্মের পরই ছেলের মৃত্যু হবে, এই অন্ধবিশ্বাসে ক্ষুদিরামের মা সন্ত্রস্ত ছিলেন। তাই তিনি তিন মুঠো খুদের বিনিময়ে তাঁকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন মাসির কাছে। সেই থেকেই তাঁর নাম ক্ষুদিরাম। ১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর মেদিনীপুর জেলার মোহবনী গ্রামে জন্মেছিলেন ক্ষুদিরাম বসু। তিনি ছিলেন বাবা-মার চতুর্থ সন্তান।
জন্মের পরই ছেলের মৃত্যু হবে, এই অন্ধবিশ্বাসে ক্ষুদিরামের মা সন্ত্রস্ত ছিলেন। তাই তিনি তিন মুঠো খুদের বিনিময়ে তাঁকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন মাসির কাছে। সেই থেকেই তাঁর নাম ক্ষুদিরাম। ১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর মেদিনীপুর জেলার মোহবনী গ্রামে জন্মেছিলেন ক্ষুদিরাম বসু। তিনি ছিলেন বাবা-মার চতুর্থ সন্তান।
advertisement
5/5
১০ আগস্ট ক্ষুদিরাম আইনজীবী সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তীকে বলেছিলেন, 'রাজপুত নারীরা যেমন নির্ভয়ে আগুনে ঝাঁপ দিয়া জওহরব্রত পালন করিত, আমিও তেমন নির্ভয়ে দেশের জন্য প্রাণ দিব। আগামীকাল আমি ফাঁসির আগে চতুর্ভুজার প্রসাদ খাইয়া যাইতে চাই।' ফাঁসির মঞ্চে ওঠার সময়ও ক্ষুদিরামের মুখে লেগে ছিল হাসি। যেন দেশের জন্য প্রাণ দিতে পেরে তিনি দারুন খুশি। ব্রিটিশ সরকারের চারজন পুলিশ তাঁকে ফাঁসির মঞ্চ পর্যন্ত নিয়ে আসে। ফাঁসি মঞ্চের সামনে থাকা আইনজীবীদের দিকে তাকিয়ে হাসেন ক্ষুদিরাম। গলায় ফাঁসির দড়ি পরানোর পর জল্লাদকে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন 'আচ্ছা, ফাঁসির দড়িতে মোম দেওয়া হয় কেন?' শহিদ ক্ষুদিরামের জীবনের শেষ কথা ছিল সেটাই। জল্লাদ বিস্ময়ে আর কিছু বলতে পারেননি। হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন ব্রিটিশ জেলারও।
১০ আগস্ট ক্ষুদিরাম আইনজীবী সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তীকে বলেছিলেন, 'রাজপুত নারীরা যেমন নির্ভয়ে আগুনে ঝাঁপ দিয়া জওহরব্রত পালন করিত, আমিও তেমন নির্ভয়ে দেশের জন্য প্রাণ দিব। আগামীকাল আমি ফাঁসির আগে চতুর্ভুজার প্রসাদ খাইয়া যাইতে চাই।' ফাঁসির মঞ্চে ওঠার সময়ও ক্ষুদিরামের মুখে লেগে ছিল হাসি। যেন দেশের জন্য প্রাণ দিতে পেরে তিনি দারুন খুশি। ব্রিটিশ সরকারের চারজন পুলিশ তাঁকে ফাঁসির মঞ্চ পর্যন্ত নিয়ে আসে। ফাঁসি মঞ্চের সামনে থাকা আইনজীবীদের দিকে তাকিয়ে হাসেন ক্ষুদিরাম। গলায় ফাঁসির দড়ি পরানোর পর জল্লাদকে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন 'আচ্ছা, ফাঁসির দড়িতে মোম দেওয়া হয় কেন?' শহিদ ক্ষুদিরামের জীবনের শেষ কথা ছিল সেটাই। জল্লাদ বিস্ময়ে আর কিছু বলতে পারেননি। হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন ব্রিটিশ জেলারও।
advertisement
advertisement
advertisement