Knowledge Story: কেন গোল হল চাঁদ...পৃথিবী, সূর্য সব? কেন হল না চৌকো বা চ্যাপ্টা? উত্তর জানেন...

Last Updated:
আচ্ছা, কখনও ভেবে দেখেছেন, এই চাঁদ, সূর্য, পৃথিবী বা অন্যান্য গ্রহ আকারে কেন শুধুই গোল৷ চৌকো, চ্যাপ্টা বা অন্যান্য আকৃতির নয়! এটা কিন্তু, কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়৷ এর কারণও ব্যাখ্যা করে বিজ্ঞান৷
1/7
 মহাবিশ্ব অনন্ত৷ তারই মাঝে ভেসে আছে গ্রহ, নক্ষত্র, উপগ্রহ৷ তারই মধ্যে সূর্যের পরিবার সৌরমণ্ডল৷ আচ্ছা, কখনও ভেবে দেখেছেন, এই চাঁদ, সূর্য, পৃথিবী বা অন্যান্য গ্রহ আকারে কেন শুধুই গোল৷ চৌকো, চ্যাপ্টা বা অন্যান্য আকৃতির নয়! এটা কিন্তু, কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়৷ এর কারণও ব্যাখ্যা করে বিজ্ঞান৷
মহাবিশ্ব অনন্ত৷ তারই মাঝে ভেসে আছে গ্রহ, নক্ষত্র, উপগ্রহ৷ তারই মধ্যে সূর্যের পরিবার সৌরমণ্ডল৷ আচ্ছা, কখনও ভেবে দেখেছেন, এই চাঁদ, সূর্য, পৃথিবী বা অন্যান্য গ্রহ আকারে কেন শুধুই গোল৷ চৌকো, চ্যাপ্টা বা অন্যান্য আকৃতির নয়! এটা কিন্তু, কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়৷ এর কারণও ব্যাখ্যা করে বিজ্ঞান৷
advertisement
2/7
উল্কাপিণ্ড বা গ্রহাণুর আকার অবশ্য বিভিন্ন হয়৷ তেমনই একেবারেই অন্যরকম হয় নীহারিকার গঠন৷ কিন্তু, গ্রহ, উপগ্রহ বা নক্ষত্রের কথা বলতে গেলে সামান্য এদিক ওদিক হলেও আকার মোটের উপর সেই গোল-ই হয়ে যায়৷ কিন্তু কেন?
উল্কাপিণ্ড বা গ্রহাণুর আকার অবশ্য বিভিন্ন হয়৷ তেমনই একেবারেই অন্যরকম হয় নীহারিকার গঠন৷ কিন্তু, গ্রহ, উপগ্রহ বা নক্ষত্রের কথা বলতে গেলে সামান্য এদিক ওদিক হলেও আকার মোটের উপর সেই গোল-ই হয়ে যায়৷ কিন্তু কেন?
advertisement
3/7
অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ সাদার্ন কুইন্সল্যান্ডের অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের অধ্যাপক জন্টি হর্নার এ বিষয়ে গবেষণা করেছেন৷ তিনি জানাচ্ছেন, এক্ষেত্রে অভিকর্ষ বলের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি৷ কীভাবে কাজ করে সেই বল? সেই বলের প্রভাবে কেন-ই বা গোল হয়ে ওঠে গ্রহ, উপগ্রহ?
অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ সাদার্ন কুইন্সল্যান্ডের অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের অধ্যাপক জন্টি হর্নার এ বিষয়ে গবেষণা করেছেন৷ তিনি জানাচ্ছেন, এক্ষেত্রে অভিকর্ষ বলের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি৷ কীভাবে কাজ করে সেই বল? সেই বলের প্রভাবে কেন-ই বা গোল হয়ে ওঠে গ্রহ, উপগ্রহ?
advertisement
4/7
ওই গবেষক জানাচ্ছেন, গ্রহ বা উপগ্রহ মূলত কঠিন, তরল এবং গ্যাসীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি৷ তাদের নির্দিষ্ট ভর রয়েছে৷ আর এদের রয়েছে অভিকর্ষ বলের কেন্দ্র৷ কেন্দ্রের এই অভিকর্ষ বলই এই কঠিন, তরল এবং গ্যাসীয় পদার্থগুলিকে কেন্দ্রের দিকে টেনে রাখে৷ যেহেতু, কোনও গ্রহের কেন্দ্র থেকে ৩৬০ ডিগ্রিতেই অভিকর্ষ বল কাজ করে, তাই গ্রহ বা উপগ্রহের আকার গোল হয়৷ তবে আছে আরও কারণ৷
ওই গবেষক জানাচ্ছেন, গ্রহ বা উপগ্রহ মূলত কঠিন, তরল এবং গ্যাসীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি৷ তাদের নির্দিষ্ট ভর রয়েছে৷ আর এদের রয়েছে অভিকর্ষ বলের কেন্দ্র৷ কেন্দ্রের এই অভিকর্ষ বলই এই কঠিন, তরল এবং গ্যাসীয় পদার্থগুলিকে কেন্দ্রের দিকে টেনে রাখে৷ যেহেতু, কোনও গ্রহের কেন্দ্র থেকে ৩৬০ ডিগ্রিতেই অভিকর্ষ বল কাজ করে, তাই গ্রহ বা উপগ্রহের আকার গোল হয়৷ তবে আছে আরও কারণ৷
advertisement
5/7
সূর্যে কিন্তু কোনও কঠিন কণা নেই৷ সূর্য হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসের একটি পিণ্ড৷ এটি গ্যাসীয় হওয়ার এর অভিকর্ষ বলের প্রভাবে গোলাকার রূপ নেওয়া আরওই সহজ৷
সূর্যে কিন্তু কোনও কঠিন কণা নেই৷ সূর্য হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসের একটি পিণ্ড৷ এটি গ্যাসীয় হওয়ার এর অভিকর্ষ বলের প্রভাবে গোলাকার রূপ নেওয়া আরওই সহজ৷
advertisement
6/7
তাছাড়া, গ্রহ, উপগ্রহের গোলাকার আকৃতির পিছনে এঁদের নিজের কক্ষের চারদিকে ঘোরার বিষয়টিকেও অন্যতম কারণ হিসাবে মনে করা হয়৷ ভর যত বাড়ে, ঘূর্ণন শক্তিও তত কার্যকর হয়৷
তাছাড়া, গ্রহ, উপগ্রহের গোলাকার আকৃতির পিছনে এঁদের নিজের কক্ষের চারদিকে ঘোরার বিষয়টিকেও অন্যতম কারণ হিসাবে মনে করা হয়৷ ভর যত বাড়ে, ঘূর্ণন শক্তিও তত কার্যকর হয়৷
advertisement
7/7
এই কারণে কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় পদার্থগুলি কেন্দ্রের চারপাশে ধীরে ধীরে ঘুরতে থাকে। তারপর ঘুরতে ঘুরতে ক্রমশ ধারণ করে গোলাকার আকৃতি। অর্থাৎ, গ্রহের আকৃতি নির্ধারণ করে মাধ্যাকর্ষণ বল এবং নিজের কেন্দ্রের চারপাশের এই ঘূর্ণন।
এই কারণে কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় পদার্থগুলি কেন্দ্রের চারপাশে ধীরে ধীরে ঘুরতে থাকে। তারপর ঘুরতে ঘুরতে ক্রমশ ধারণ করে গোলাকার আকৃতি। অর্থাৎ, গ্রহের আকৃতি নির্ধারণ করে মাধ্যাকর্ষণ বল এবং নিজের কেন্দ্রের চারপাশের এই ঘূর্ণন।
advertisement
advertisement
advertisement