World's Longest Traffic Jam: বিশ্বের সবথেকে দীর্ঘ ট্র্যাফিক জ্যাম! ১২ দিন ধরে বীভৎস যানজটে আটকে মানুষ, কোথায় বলুন তো!

World's Longest Traffic Jam: সকালে অফিস যাওয়া এবং সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফেরা। শনিবার এবং রবিবার ছাড়া সপ্তাহের অন্যান্য দিন এই অফিস টাইমে যেন কলকাতা শহরে যেন চলাফেরা করাই দায়।

World's Longest Traffic Jam: যানবাহনের জটে থমকে যায় গোটা শহর কলকাতা। হাতে তাই বাড়তি সময় নিয়ে বেরতে হয়। তবে যানজটের নিরিখে এই দেশের একাধিক শহরের কাছে কলকাতা যেন শিশু।

World's Longest Traffic Jam: মুম্বই, বেঙ্গালুরু, দিল্লি, চেন্নাইয়ের মতো মেট্রো সিটিগুলিতে ভোর অথবা মধ্যরাত ছাড়া যেন গাড়ি নড়েই না। একবার জ্যামে আটকে পড়লে বেশ কয়েক ঘণ্টা আপনি অচল।

World's Longest Traffic Jam: কিন্তু আপনি কি জানেন, একবার একটি দেশের নির্দিষ্ট এক শহরে বেশ কয়েক দিন ধরে স্থায়ী হয়েছিল ট্র্যাফিক জাম। বলা হয় সেটি বিশ্বের দীর্ঘতম ট্র্যাফিক জ্যাম।

World's Longest Traffic Jam: কোন দেশে, কবে, কতদিন ধরে, কতটা দৈর্ঘ জুড়ে হয়েছিল এই যানজট হয়েছিল জানেন কি? চমকে যাবেন এই সমস্ত তথ্য পেয়ে।

World's Longest Traffic Jam: ২০১০ সালের ১৪ অগস্ট, চিন দেশে হয়েছিল এই জ্যাম। মোট ১২ দিন ধরে এই যানজট চলেছিল। থমকে গিয়েছিল জনজীবন।

World's Longest Traffic Jam: ১০০ কিমি এলাকা জুড়ে এই জ্যাম ছড়িয়ে পড়েছিল। যা বিশ্বরেকর্ড করেছিল জ্যামের ইতিহাসে। চিনের জাতীয় মহাসড়ক ১১০-এ হাজার হাজার গাড়ি আটকে পড়েছিল।

World's Longest Traffic Jam: মঙ্গোলিয়া থেকে বেইজিং পর্যন্ত কয়লা ও নির্মাণ সামগ্রী বহনকারী ট্রাকের কারণে এই বীভৎস জ্যাম হয়েছিল। তার সঙ্গে বেইজিং ও তিব্বত সংযোগকারী মহাসড়কব সারাইয়ের কাজও চলছিল।

World's Longest Traffic Jam: সূত্রের দাবি, প্রতিটি গাড়ি প্রতিদিন গড়ে ১ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করেছে। কিছু গাড়ির কয়েকজন চালক ৫ দিন যানজটে আটকে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

World's Longest Traffic Jam: এর ফলে গাড়িগুলিই হয়ে গিয়েছিল পথচারীদের অস্থায়ী বাড়িঘর। ক্ষুধা এবং তৃষ্ণা সহ্য করে দিনের পর দিন কষ্ট করেছিলেন সকলে।

World's Longest Traffic Jam: দুর্ভোগের সুযোগ নিয়ে চড়া দামে খাবার ও জল বিক্রি শুরু করে দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফেরি করে করে জল ও খাবার বিক্রি করেন তাঁরা।

World's Longest Traffic Jam: কর্তৃপক্ষ রাতে আরও কিছু ট্রাক বেইজিংয়ে প্রবেশে অনুমতি দিয়ে যান চলাচলের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করে। ট্রাক কম্পানিগুলিকে অন্য রুট নিতে বলা হয়েছিল। অবশেষে ২৬ অগস্ট নাগাদ যানবাহনের ওই জট খুলে যায়।