World Happiest Countries: পৃথিবীর সেরা দশ সুখী দেশের তালিকায় কারা? তালিকায় কত নম্বরে রয়েছে ভারত?
- Published by:Soumendu Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
কোনও দেশের মানুষ সুখী কিনা তার মাপকাঠি শুধু ধনসম্পদ নয়। সুখী হতে প্রয়োজন উন্নত জীবনযাপন ব্যবস্থাও। যে জীবনে থাকবে না কোনও নিরাপত্তার অভাব। থাকবে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যপরিষেবা এবং শিক্ষা ব্যবস্থা।
advertisement
advertisement
advertisement
ফিনল্যান্ডষষ্ঠবারের মতো রাষ্ট্রপুঞ্জের সুখী দেশের তালিকায় প্রথম হয়েছে ফিনল্যান্ড। স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের এই ছোট্ট দেশের মানুষদের জীবনযাত্রার মান ভীষণ উন্নত। দেশটি সংস্কৃতিতেও সমৃদ্ধ। ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে ফিনল্যান্ডেই প্রতি বর্গ কিলোমিটারে রয়েছে সবথেকে বেশি বনভূমি। ফিনল্যান্ডের মানুষেরা অত্যন্ত প্রকৃতিপ্রেমী হন। প্রকৃতির সঙ্গে তাঁদের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। তাঁরা সাইকেল চালান, হাঁটতে যান। বিশ্বকে কীভাবে ভালবাসতে হয় তা যেন বারংবার শিখিয়ে দেন এই দেশের মানুষেরা। প্রতীকী ছবি
advertisement
advertisement
আইসল্যান্ডনাগরিকদের উন্নত জীবনমান নিয়ে নানা বিবেচনায় করা সব তালিকাতে সব সময়ই প্রথম সারিতে থাকে আরেক নর্ডিক দেশ আইসল্যান্ড। এ বছর রাষ্ট্রপুঞ্জের সুখী দেশের তালিকাতে আইসল্যান্ড তিন নম্বরে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের দেওয়া তথ্যানুযায়ী লিঙ্গ সমতা বিবেচনায় বিশ্বের সেরা দেশ আইসল্যান্ড। এ ছাড়া সবচেয়ে শান্তির দেশ হিসেবে টানা ১০ বছর শীর্ষে অবস্থান করছে আইসল্যান্ড। মনোমুগ্ধকর ভূপ্রকৃতির অধিকারী দেশটির নাগরিকদের খুব বেশি কর দিতে হয় না। সেখানে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়। শিক্ষাও সম্পূর্ণ অবৈতনিক। আইসল্যান্ডের তিন লাখ ৯০ হাজার বাসিন্দা বই পড়তে ভালোবাসেন। আর ভালোবাসেন প্রকৃতি।
advertisement
সুইডেনরাষ্ট্রপুঞ্জের সুখী দেশের তালিকায় গত বছর দুই ধাপ এগিয়ে চার নম্বরে উঠে এসেছে সুইডেন। সম্পদশালী এই দেশটির সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা খুবই শক্তিশালী। সুইডেনে সব প্রতিষ্ঠানেই স্বচ্ছতা রয়েছে। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশটিতে কর্মজীবনে ভারসাম্য আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে। অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় সুইডেনে একজন কর্মী বেতনসহ সবচেয়ে বেশি দিন ছুটি উপভোগ করতে পারেন। সেখানে বেতনসহ সর্বোচ্চ ৪১ দিন ছুটি কাটানো যায়। এ ছাড়া সুইডেনে সন্তান জন্মের পর তাকে লালন-পালনের জন্য বাবা-মা সর্বোচ্চ ৪৮০ দিন সবেতনে ছুটি নিতে পারেন। এই সময়ে তাদের বেতনের প্রায় ৮০ শতাংশ দেওয়া হয়। তবে দেশটিতে কর অনেক বেশি। সেখানে ব্যক্তিকে আয়ের প্রায় ৬০ শতাংশ কর দিতে হয়। অবশ্য সরকার এই রাজস্ব আয় জনগণের স্বার্থেই ব্যয় করে। সুইডেনে স্বাস্থ্য সেবা বিশ্বমানের, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত বিনা মূল্যে শিক্ষা দেওয়া হয়। লোকজনের দক্ষতা বাড়াতে সরকার থেকে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। যেন জনগণ চাকরির সুযোগ পান।
advertisement
advertisement
advertisement
নরওয়েনরওয়ের মানুষেরা ভীষণ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাঁরা সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমতায় বিশ্বাস রাখেন। তাদের বিশ্বাস গণতন্ত্রের অভাবেই আয় এবং লিঙ্গবৈষম্য দেখা দেয়। তাঁরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর আস্থাশীল। দেশটিতে মৃত্যুহার কম। কোভিড-১৯ মহামারির সময় লকডাউনজনিত অর্থনৈতিক ক্ষতি দারুণভাবে কাটিয়ে উঠেছে। নরওয়েতে বিনা মূল্যে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়।
advertisement
লুক্সেমবার্গদুর্গ, হ্রদ আর পাহাড়ের দেশ লুক্সেমবার্গ। মাত্র আট বছর আগেও সুখী দেশের তালিকায় ২০ নম্বরে ছিল দেশটি। ২০২০ সালে দেশটি শীর্ষ ১০ এ উঠে আসে। ছোট্ট এই দেশটিতে মাত্র সাত লাখ মানুষ বসবাস করেন। সেখানে মানুষ সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন, অন্যের ভালো থাকা বা অন্যকে ভালো রাখা তাদের কাছে গুরুত্ব পায়। জীবনে চলার পথ বেছে নেওয়া এবং সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার স্বাধীনতা দেশটির নাগরিকদের রয়েছে। লুক্সেমবার্গ বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর একটিও বটে। সেখানে শ্রমিকদের নূন্যতম বেতন মাসে ৭ হাজার ইউরো।
advertisement
সুইজারল্যান্ড২০১৫ সালে সুখী দেশের তালিকায় এক নম্বরে ছিল সুইজারল্যান্ড। তারপর থেকে দেশটি ধাপে ধাপে পিছিয়ে গেছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে দেশটির মানুষেরা দুঃখী হয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা এখনো দুঃখ থেকে অনেক দূরে থাকা সুখী মানুষ। সুইজারল্যান্ডের ভূপ্রকৃতি মনোমুগ্ধকর, বাতাস বিশুদ্ধ। দেশটিতে শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বমানের।
advertisement
অস্ট্রেলিয়া২০১৮ সালের পর আবার সুখী দেশের তালিকায় সেরা দশে উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। ইউরোপের বাইরে অস্ট্রেলিয়াই একমাত্র দেশ যারা সুখী দেশের তালিকায় সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছে।যদিও, জীবন মুল্যায়নে অস্ট্রেলিয়া গতবারের চেয়ে এবার কম নম্বর পেয়েছে। তবে উচ্চ বেতন, উচ্চ কর্মসংস্থান এবং উচ্চ জীবন প্রত্যাশা দেশটিকে এগিয়ে দিয়েছে। সেখানে কর্মজীবনে স্বাস্থ্যকর ভারসাম্য রয়েছে। দেশটিতে আছে শক্তিশালী স্বাস্থ্যসেবা খাত এবং উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা। অস্ট্রেলিয়ার প্রাকৃতিক পরিবেশও বৈচিত্র্যময়।
advertisement