The Burning City of India: ১০৮ বছর ধরে জ্বলছে ভারতের এই শহর! ১৯১৬ সাল থেকে আজও নেভেনি আগুন...কোন শহর জানেন? নামটা চমকে দেবে

Last Updated:
The Burning City of India: প্রতিদিন একটু একটু করে আগুনের করাল গ্রাসে পুড়ে খাক হচ্ছে আস্ত শহর। শতবর্ষ পেরিয়েও জ্বলতে থাকা আগুনের কারণে দুর্ভোগ বাড়ছে শহরবাসীদের জন‍্য।
1/11
আগুন লেগেছিল ১৯১৬ সাল নাগাদ। প্রায় ১০৮ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও নেভেনি সেই অগ্নিশিখা। ১০৮ বছর ধরে জ্বলছে ভারতের একটি শহর। শুনতে বিস্ময়কর লাগলেও, সত‍্যিই এমন একটি শহর রয়েছে এ দেশে। কীভাবে লাগল আগুন? এত বছরেও কেন নেভানো যায়নি? এই প্রতিবেদনে রইল ভারতের জ্বলন্ত শহরের কথা।
আগুন লেগেছিল ১৯১৬ সাল নাগাদ। প্রায় ১০৮ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও নেভেনি সেই অগ্নিশিখা। ১০৮ বছর ধরে জ্বলছে ভারতের একটি শহর। শুনতে বিস্ময়কর লাগলেও, সত‍্যিই এমন একটি শহর রয়েছে এ দেশে। কীভাবে লাগল আগুন? এত বছরেও কেন নেভানো যায়নি? এই প্রতিবেদনে রইল ভারতের জ্বলন্ত শহরের কথা।
advertisement
2/11
প্রতিদিন একটু একটু করে আগুনের করাল গ্রাসে পুড়ে খাক হচ্ছে আস্ত শহর। শতবর্ষ পেরিয়েও জ্বলতে থাকা আগুনের কারণে দুর্ভোগ বাড়ছে শহরবাসীদের জন‍্য।
প্রতিদিন একটু একটু করে আগুনের করাল গ্রাসে পুড়ে খাক হচ্ছে আস্ত শহর। শতবর্ষ পেরিয়েও জ্বলতে থাকা আগুনের কারণে দুর্ভোগ বাড়ছে শহরবাসীদের জন‍্য।
advertisement
3/11
ধোয়ার কারণে বাড়ছে শ্বাসের সমস‍্যা। শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের প্রভাবও বাড়ছে। সেইসঙ্গে বাড়ি ধস থেকে জমি ধস, হাজারো সমস‍্যা জীবন যাপনে।
ধোয়ার কারণে বাড়ছে শ্বাসের সমস‍্যা। শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের প্রভাবও বাড়ছে। সেইসঙ্গে বাড়ি ধস থেকে জমি ধস, হাজারো সমস‍্যা জীবন যাপনে।
advertisement
4/11
বাংলার পার্শবর্তী রাজ‍্য ঝাড়খণ্ডেই রয়েছে এই শহর। জ্বলতে থাকা ভারতের এই শহর হল ঝরিয়া। ঝরিয়ার নাম শুনলে প্রথমেই মাথায় আসে কয়লা খনির কথা।
বাংলার পার্শবর্তী রাজ‍্য ঝাড়খণ্ডেই রয়েছে এই শহর। জ্বলতে থাকা ভারতের এই শহর হল ঝরিয়া। ঝরিয়ার নাম শুনলে প্রথমেই মাথায় আসে কয়লা খনির কথা।
advertisement
5/11
এই অঞ্চলটি ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কয়লা খনির অঞ্চল এবং উচ্চ মানের কোকিং কয়লার জন্য বিখ্যাত, যা 'ইস্পাত উৎপাদনে' ব্যবহৃত হয়।
এই অঞ্চলটি ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কয়লা খনির অঞ্চল এবং উচ্চ মানের কোকিং কয়লার জন্য বিখ্যাত, যা 'ইস্পাত উৎপাদনে' ব্যবহৃত হয়।
advertisement
6/11
কিন্তু এই কয়লা খনিও কাল হয়েছে ঝরিয়ার জন‍্য। কয়লা খনিতে হওয়া অগ্নিকাণ্ডের জেরেই জ্বলছে এই শহর। ১৯১৬ সাল নাগাদই লেগেছিল এই আগুন।
কিন্তু এই কয়লা খনিও কাল হয়েছে ঝরিয়ার জন‍্য। কয়লা খনিতে হওয়া অগ্নিকাণ্ডের জেরেই জ্বলছে এই শহর। ১৯১৬ সাল নাগাদই লেগেছিল এই আগুন।
advertisement
7/11
তবে এই অগ্নিকাণ্ড প্রাকৃতিকভাবে ঘটেনি, বরং এর জন্য দায়ী ছিল অবৈজ্ঞানিক ও অনিরাপদ কয়লা খনির খনন প্রক্রিয়া। কয়লা খননের  সময় অনেক সময় খনি খোলা রাখা হয়, যার কারণে সেখানে উপস্থিত কয়লা বাতাসের সংস্পর্শে আসে। কয়লা বাতাসের সংস্পর্শে আসার পরে, এটি জারিত হয় এবং জ্বলতে শুরু করে।
তবে এই অগ্নিকাণ্ড প্রাকৃতিকভাবে ঘটেনি, বরং এর জন্য দায়ী ছিল অবৈজ্ঞানিক ও অনিরাপদ কয়লা খনির খনন প্রক্রিয়া। কয়লা খননের সময় অনেক সময় খনি খোলা রাখা হয়, যার কারণে সেখানে উপস্থিত কয়লা বাতাসের সংস্পর্শে আসে। কয়লা বাতাসের সংস্পর্শে আসার পরে, এটি জারিত হয় এবং জ্বলতে শুরু করে।
advertisement
8/11
এইভাবেই লাগে খনিতে আগুন। যা অনেক চেষ্টা করেও নেভানো যায়নি। ধীরে ধীরে এই আগুন 'আন্ডারগ্রাউন্ড মাইন’ বা মাটির নীচের খনিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং এখন এই আগুন কয়েকশ বর্গকিলোমিটারে ছড়িয়ে পড়েছে।
এইভাবেই লাগে খনিতে আগুন। যা অনেক চেষ্টা করেও নেভানো যায়নি। ধীরে ধীরে এই আগুন 'আন্ডারগ্রাউন্ড মাইন’ বা মাটির নীচের খনিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং এখন এই আগুন কয়েকশ বর্গকিলোমিটারে ছড়িয়ে পড়েছে।
advertisement
9/11
এই আগুন ঝরিয়ার পুরো এলাকাকে বিপজ্জনক এলাকায় পরিণত করেছে। ঝরিয়ার কয়লা খনিতে যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা কেবল এখানকার খনি শিল্পকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেনি, স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনযাত্রাকেও দুর্বিষহ করে তুলেছে।
এই আগুন ঝরিয়ার পুরো এলাকাকে বিপজ্জনক এলাকায় পরিণত করেছে। ঝরিয়ার কয়লা খনিতে যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা কেবল এখানকার খনি শিল্পকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেনি, স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনযাত্রাকেও দুর্বিষহ করে তুলেছে।
advertisement
10/11
ঝরিয়ার জ্বলন্ত খনি স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণে ঝরিয়ার জমি অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে, যার কারণে অনেক জায়গায় ভূমিধস ও মাটি ধসের ঘটনা ঘটছে। এতে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, ভবনের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
ঝরিয়ার জ্বলন্ত খনি স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণে ঝরিয়ার জমি অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে, যার কারণে অনেক জায়গায় ভূমিধস ও মাটি ধসের ঘটনা ঘটছে। এতে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, ভবনের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
advertisement
11/11
আগুন থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস ও ধোঁয়াও স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস এবং ফুসফুসের সংক্রমণের মতো শ্বাসযন্ত্রের রোগ এখানকার মানুষের মধ্যে সাধারণ হয়ে উঠেছে। বাতাসে উপস্থিত কার্বন মনোক্সাইড ও অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাস মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।
আগুন থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস ও ধোঁয়াও স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস এবং ফুসফুসের সংক্রমণের মতো শ্বাসযন্ত্রের রোগ এখানকার মানুষের মধ্যে সাধারণ হয়ে উঠেছে। বাতাসে উপস্থিত কার্বন মনোক্সাইড ও অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাস মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।
advertisement
advertisement
advertisement