Success Story: দিনে ব্যাঙ্কের চাকরি আর রাতে ইউপিএসসি-র পড়াশোনা; খুব শীঘ্রই আইএএস অফিসার পদে বসতে চলেছেন দিল্লির এই কন্যা
- Published by:Siddhartha Sarkar
- local18
Last Updated:
Srishti Dabas Success Story: ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছেন দিল্লির সৃষ্টি দাবাস। আর এই মুহূর্তে দিল্লির এই কন্যেকে নিয়ে শুরু হয়েছে হইচই। এক সাক্ষাৎকারে ইউপিএসসি-তে সফল হওয়ার পথে কঠোর পরিশ্রমের কথা নিজেই জানিয়েছিলেন সৃষ্টি। শুধু পড়াশোনাতেই নয়, শাস্ত্রীয় নৃত্যেও রয়েছে তাঁর দক্ষতা।
যাঁরা ইউপিএসসি সিএসই পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছিলেন, তাঁদের অপেক্ষার প্রহর সম্প্রতিই শেষ হয়েছে। আর এই পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হতেই চমক। জানা গিয়েছে যে, সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষা ২০২৩-এ শীর্ষ স্থান অধিকার করেছেন আদিত্য শ্রীবাস্তব। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন যথাক্রমে অনিমেষ প্রধান এবং দোনুরু অনন্যা রেড্ডি।
advertisement
advertisement
সৃষ্টি দাবাস আদতে দিল্লির বাসিন্দা। সেখানেই বেড়ে ওঠা। ফলে স্কুল এবং কলেজের পাঠ তাঁর দিল্লিতেই সম্পন্ন হয়েছে। সৃষ্টি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে, চাকরির সূত্রে মুম্বইয়ে থাকতেন তিনি। তখন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)-এ চাকরি করতেন। ব্যাঙ্কে চাকরির পাশাপাশি ইউপিএসসি-র জন্য প্রস্তুতি চালিয়ে গিয়েছিলেন সৃষ্টি। দিনে অফিস করতেন আর রাতে পড়াশোনা করতেন। আর এটাই ছিল তাঁর সাফল্যের চাবিকাঠি।
advertisement
আসলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্টেই কাজ করতেন সৃষ্টি দাবাস। কাজের পাশাপাশি শুরু করেন ইউপিএসসি-র প্রস্তুতি। তিনি আরও বলেন যে, বরাবরই সিভিল সার্ভিসে বসার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। তাই চাকরির মাঝেই পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ঠিক সময় বার করে নিতেন। এখানেই শেষ নয়, সৃষ্টি আরও জানিয়েছিলেন যে, কলেজে পড়াকালীনই স্বপ্নের চাকরির জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। তাই দিনের বেলায় কাজ করতেন, আর রাতে চলত পড়াশোনা। অবশেষে নিজের অধ্যবসায় এবং কঠোর পরিশ্রমের জোরে আজ সাফল্যের স্বাদ উপভোগ করছেন। সেই সঙ্গে ছোটবেলা থেকে যে স্বপ্ন দেখেছেন, সেই স্বপ্ন আজ প্রায় ছুঁয়েই ফেলেছেন সৃষ্টি।
advertisement
advertisement
চলতি বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত পরপর তিনটি পর্যায়ে বাছাই করা প্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিয়েছে ইউপিএসসি। প্রায় ২৯১৬ জন প্রার্থী ইউপিএসসি সিএসই মেইনসে সাফল্য লাভ করেছিলেন। ফলে তাঁদের ইন্টারভিউয়ে ডাকা হয়েছিল। প্রথম পর্বের ইন্টারভিউ অনুষ্ঠিত হয়েছে ২ জানুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। যেখানে অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রায় ১০২৬ জন প্রার্থী। আবার দ্বিতীয় পর্বের ইন্টারভিউ হয়েছে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত। যোগ দিয়েছিলেন প্রায় ১০০৩ জন প্রার্থী। তবে চূড়ান্ত এবং তৃতীয় পর্বের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে ১৮ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ৮৮৭ জন প্রার্থী।