রেলে আপ এবং ডাউন: রেলস্টেশনে নিশ্চয়ই শুনেছেন, ১ ( বা ২) নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটি আপ অমুক ট্রেন আসতে চলেছে৷ বা কখনও ঘোষণা করা হয়, অমুক নম্বর প্ল্যাটফর্মে তমুক ডাউন ট্রেন আসছে৷ আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁদের এই আপ অথবা ডাউন ট্রেনের মানে গুলিয়ে যায়৷ তাই অনেকেই ভুল দিকের ট্রেনে সওয়ার হয়ে পড়েন৷ চলে যান সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে৷ ভুল যখন ভাঙে তখন ফের হয়রানি৷
একটি ট্রেনের ক্ষেত্রে, আপ এবং ডাউনের গুরুত্ব শুধুমাত্র দিক নির্দেশ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। আসলে ট্রেনটি কোথা থেকে ছেড়েছে এবং কোথায় পৌঁছবে, এই গোটা বিষয়ের উপরে ব্যাপারটা নির্ভর করে৷ যেখান থেকে ট্রেন তার যাত্রা শুরু করে সেটা তার হোম স্টেশন৷ আর যে স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনটি যায়, তা হল তার ডেস্টিনেশন, বা শেষ স্টেশন৷
এখন ধরুন হাওড়া থেকে কোনও ট্রেন ব্যান্ডেল যাওয়ার জন্য ছেড়েছে৷ তখন সেই ট্রেনটি তার হোম স্টেশন থেকে ডেস্টিনেশনে যাচ্ছে৷ তাই সেই ট্রেনটিকে তখন ‘ডাউন হাওড়া-ব্যান্ডেল লোকাল’ বলা হবে৷ অন্যদিকে, ধরুন, সেই ট্রেনটিই যখন ব্যান্ডেল থেকে হাওড়া ফিরবে, অর্থাৎ, তার ডেস্টিনেশন থেকে হোমস্টেশনে ব্যাক করবে, তখন ট্রেনটি হয়ে যাবে আপ ট্রেন৷ অর্থাৎ, ‘আপ ব্যান্ডেল-হাওড়া লোকাল’৷
ট্রেন আপ বা ডাউন: আমরা যে ট্রেনে করে যাই তার ২ টো নম্বর হয়৷ গোটা সংখ্যাটা একই থাকে, নম্বর বদলায় শুধু শেষ সংখ্যায়। উদাহরণ স্বরূপ, দিল্লি থেকে রাজগীরগামী শ্রমজীবী এক্সপ্রেসের ২টি নম্বর রয়েছে - 12391 এবং 12392৷ দিল্লি থেকে রাজগীরের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার সময় এর নম্বর হবে 12391। একই নম্বর আপনার রিজার্ভেশন টিকিটে থাকবে। মানে যখন শ্রমজীবী এক্সপ্রেস যখন 12391 হিসাবে চলছে, তখন এটি ডাউন ট্রেন। একইভাবে, ট্রেনটি যখন রাজগীর থেকে দিল্লিতে ফিরে আসবে, তখন তার নম্বর হবে 12392 এবং তখন তাকে বলা হবে আপ ট্রেন।