No Mans Land: পৃথিবীর একমাত্র জায়গা, যার এখনও কোনও মালিক নেই! নিজেকে রাজা দাবি এক ভারতীয়র

Last Updated:
No Mans Land: এই ভূখণ্ডের নাম বির তাউইল। মিশর এবং সুদানের সীমান্তে ২০৬০ বর্গকিলোমিটার এই ভূখণ্ডকে কোনও দেশই নিজেদের বলে দাবি করে না।
1/8
সুদূর আফ্রিকায় প্রায় দু'হাজার বর্গ কিলোমিটার জুড়ে জায়গার এখনও কোনও দাবিদার নেই। এই জায়গাটি কোনও দেশের সঙ্গেও যুক্ত নয়।
সুদূর আফ্রিকায় প্রায় দু'হাজার বর্গ কিলোমিটার জুড়ে জায়গার এখনও কোনও দাবিদার নেই। এই জায়গাটি কোনও দেশের সঙ্গেও যুক্ত নয়।
advertisement
2/8
 এই ভূখণ্ডের নাম বির তাউইল। মিশর এবং সুদানের সীমান্তে ২০৬০ বর্গকিলোমিটার এই ভূখণ্ডকে কোনও দেশই নিজেদের বলে দাবি করে না। মিশর, সুদান তো বটেই কোনও দেশই এই ভূখণ্ডকে নিজেদের কব্জায় নিতে চায় না। ফলে এটি ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ হিসেবেই পড়ে রয়েছে।
এই ভূখণ্ডের নাম বির তাউইল। মিশর এবং সুদানের সীমান্তে ২০৬০ বর্গকিলোমিটার এই ভূখণ্ডকে কোনও দেশই নিজেদের বলে দাবি করে না। মিশর, সুদান তো বটেই কোনও দেশই এই ভূখণ্ডকে নিজেদের কব্জায় নিতে চায় না। ফলে এটি ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ হিসেবেই পড়ে রয়েছে।
advertisement
3/8
১৮৯৯ সালে তৎকালীন যুক্তরাজ্য অধুনা ব্রিটেন সুদান এবং মিশরের সীমান্ত নির্ধারণ করে দিয়েছিল। কিন্তু তার পরেও বির তাউইল কোনও দেশই নিজেদের বলে স্বীকার করতে চায়নি। ফলে সেই সময় থেকেই ‘বেওয়ারিশ’ হয়ে পড়ে রয়েছে বির তাউইল।
১৮৯৯ সালে তৎকালীন যুক্তরাজ্য অধুনা ব্রিটেন সুদান এবং মিশরের সীমান্ত নির্ধারণ করে দিয়েছিল। কিন্তু তার পরেও বির তাউইল কোনও দেশই নিজেদের বলে স্বীকার করতে চায়নি। ফলে সেই সময় থেকেই ‘বেওয়ারিশ’ হয়ে পড়ে রয়েছে বির তাউইল।
advertisement
4/8
মিশর এবং সুদান সীমান্তের মধ্যে অবস্থিত বির তাউইল। পাহাড়-পর্বতে ঘেরা পাথুরে মাটি। কোনও রাস্তা নেই। জনপদের চিহ্নমাত্র নেই। কিন্তু কেন এই এলাকাটিকে এখনও দখল করেনি কোনও দেশ?
মিশর এবং সুদান সীমান্তের মধ্যে অবস্থিত বির তাউইল। পাহাড়-পর্বতে ঘেরা পাথুরে মাটি। কোনও রাস্তা নেই। জনপদের চিহ্নমাত্র নেই। কিন্তু কেন এই এলাকাটিকে এখনও দখল করেনি কোনও দেশ?
advertisement
5/8
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চিনের মতো শক্তিধর রাষ্ট্রগুলি যখন সূচাগ্র মেদিনীর জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, সেখানে এই এলাকাটিকে কেউ নিতে চাইছে না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চিনের মতো শক্তিধর রাষ্ট্রগুলি যখন সূচাগ্র মেদিনীর জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, সেখানে এই এলাকাটিকে কেউ নিতে চাইছে না।
advertisement
6/8
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই এলাকাটি কোনওভাবেই উর্বর নয়। খনিজ সম্পদও নেই বললেই চলে। পাথুরে, ক্ষরাপ্রবণ এলাকায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহী নয় কোনও দেশই। এখানকার যা আবহাওয়া তাতে মৃত্যু অনিবার্য। এই চরম পরিবেশের জন্য কোনও বাসস্থান তো দূর অস্ত্, জীবজন্তুরও বেঘোরে প্রাণ যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই এলাকাটি কোনওভাবেই উর্বর নয়। খনিজ সম্পদও নেই বললেই চলে। পাথুরে, ক্ষরাপ্রবণ এলাকায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহী নয় কোনও দেশই। এখানকার যা আবহাওয়া তাতে মৃত্যু অনিবার্য। এই চরম পরিবেশের জন্য কোনও বাসস্থান তো দূর অস্ত্, জীবজন্তুরও বেঘোরে প্রাণ যায়।
advertisement
7/8
কোনও দেশ না হলেও দুই ব্যক্তি এই ভূখণ্ডকে নিজের বলে দাবি করার সাহস দেখিয়েছিলেন। এক জন আমেরিকান, অন্য জন ভারতীয়। ২০১৪-তে ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা বির তাউইল ঝান্ডা লাগিয়ে নিজেকে সেখানকার গভর্নর বলে ঘোষণা করেন। আবার ২০১৭-তে সুযশ দীক্ষিত নামে এক ভারতীয় নিজেকে এই ভূখণ্ডের রাজা বলে ঘোষণা করেছিলেন।
কোনও দেশ না হলেও দুই ব্যক্তি এই ভূখণ্ডকে নিজের বলে দাবি করার সাহস দেখিয়েছিলেন। এক জন আমেরিকান, অন্য জন ভারতীয়। ২০১৪-তে ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা বির তাউইল ঝান্ডা লাগিয়ে নিজেকে সেখানকার গভর্নর বলে ঘোষণা করেন। আবার ২০১৭-তে সুযশ দীক্ষিত নামে এক ভারতীয় নিজেকে এই ভূখণ্ডের রাজা বলে ঘোষণা করেছিলেন।
advertisement
8/8
তার নতুন সাম্রাজ্যের নাম দেন কিংডম অব দীক্ষিত। ‘নতুন দেশের’ একটি পতাকাও বানান সুযশ। শুধু তাই নয়, একটি ওয়েবসাইট খুলে তাঁর দেশের নাগরিকতা নেওয়ার জন্য এবং বিনিয়োগ করার জন্য বিশ্ববাসীকে আহ্বানও জানান। বির তাউইল নিজের বলে দাবি করলেও সেখানে বেশি দিন টিকতে পারেননি সুযশ। পরে আর সেখানে ফিরেও যাননি তিনি।
তার নতুন সাম্রাজ্যের নাম দেন কিংডম অব দীক্ষিত। ‘নতুন দেশের’ একটি পতাকাও বানান সুযশ। শুধু তাই নয়, একটি ওয়েবসাইট খুলে তাঁর দেশের নাগরিকতা নেওয়ার জন্য এবং বিনিয়োগ করার জন্য বিশ্ববাসীকে আহ্বানও জানান। বির তাউইল নিজের বলে দাবি করলেও সেখানে বেশি দিন টিকতে পারেননি সুযশ। পরে আর সেখানে ফিরেও যাননি তিনি।
advertisement
advertisement
advertisement