Mega Viral News: প্রেমে-টেম দূরে থাক! সঙ্গমের পরে হিংস্র হয়ে নিজেদেরই মেরে ফেলে অক্টোপাস? নতুন সমীক্ষায় বড় ধাক্কা!
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Mega Viral News: আপনি কি জানেন যে অক্টোপাস ডিম পাড়ার পরে নিজেরাই নিজেদের উপর অত্যাচার চালায়? হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনছেন। এই প্রাণীটি নিজেই নিজেকে শেষ করে দেয় সঙ্গম ও সন্তান পাওয়ার পরে।
পৃথিবীতে খুব অদ্ভুত প্রাণীর দেখা মেলে, যেগুলোকে প্রকৃতি এতটাই অনন্য করে সৃষ্টি করেছে যে মানুষ যখন তাদের সম্পর্কে জানতে পারে, তখন তারা হতবাক হয়ে যায়। তেমনই একটি প্রাণী হল অক্টোপাস।
advertisement
সমুদ্রের গর্ভে বসবাসকারী এই প্রাণীটির সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক অদ্ভুত তথ্যই বিখ্যাত, তবে আজ আমরা আপনাকে অক্টোপাসের এমনই একটি গোপন কথা বলতে যাচ্ছি যা উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।
advertisement
আপনি কি জানেন যে অক্টোপাস ডিম পাড়ার পরে নিজেরাই নিজেদের উপর অত্যাচার চালায়? হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনছেন। এই প্রাণীটি নিজেই নিজেকে শেষ করে দেয় সঙ্গম ও সন্তান পাওয়ার পরে। কিন্তু এর পেছনের অদ্ভুত কারণটি কী?
advertisement
যে কোনও জীবের জন্য আত্মহত্যা করাটাই বড় ব্যাপার। আর সন্তান ও সঙ্গমের মতো পরিতৃপ্তির পরে এই কাজ করার পেছনে কী কারণ থাকতে পারে? অনেক দিন ধরেই বিজ্ঞানীরা এই অদ্ভুত রহস্য ভেদ করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। ইউনিলাড ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার অবশেষে এই রহস্য থেকে পর্দা উঠল।
advertisement
গবেষণায় উঠে এসেছে, অক্টোপাসের বাচ্চারা যখন ডিম ফোটাতে থাকে, তখন তাদের মা খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। এভাবে সে নিজেকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া শুরু করে। শুধু তাই নয়, তারা পাথরের সঙ্গে লড়াই শুরু করে এবং নিজেদের চামড়া আঁচড়ায় উন্মাদের মতো।
advertisement
পাশাপাশি অক্টোপাস মা নিজেই কেবল তার হাত কামড়াতে শুরু করে এই সময়। এই সব কিছুর পিছনের আসল কারণ হল ডিম পাড়ার পর তাদের শরীরে যে হরমোনাল পরিবর্তন হয়, সেই বদল।
advertisement
অক্টোপাসের শরীরে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে ১৯৭৭ সালে, একটি গবেষণা করা হয়েছিল যাতে বলা হয়েছিল যে অক্টোপাসের চোখের কাছে এমন গ্রন্থি রয়েছে যা আত্ম-ধ্বংসের এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য দায়ী। এই গ্রন্থিগুলি স্টেরয়েড হরমোন তৈরি করে যা তাদের নিজেদের নির্যাতন করতে বাধ্য করে।
advertisement
ডিম পাড়ার সময় শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটে। প্রথমটি হল প্রেগনেনোলন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি পায় এবং ৭-ডিহাইড্রোকোলেস্টেরল হরমোনের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। এই রাসায়নিক পরিবর্তনের কারণে, অক্টোপাস নিজেরাই হিংস্র হয়ে ওঠে নিজেদের ওপর এবং তাদের নিজেদের জীবন নিতে থাকে। কিন্তু প্রকৃতি কেন অক্টোপাসকে এমনভাবে সৃষ্টি করেছে তা বিজ্ঞানীরা এখনও বের করতে পারেননি।