সাপের কি সত্যিই ‘নাগমণি’ থাকে? বিজ্ঞান কী বলছে?

Last Updated:
‘নাগমণি’ বলে কি আদৌ কিছু আছে? না কি পুরোটাই কল্পনা? বিজ্ঞান কী বলছে?
1/6
পৌরাণিক কাহিনিতে ‘নাগমণি’র উল্লেখ পাওয়া যায়। অনেক হিন্দি সিনেমা এবং সিরিয়ালেও দেখানো হয়েছে। একটা বয়সের পর কিছু প্রজাতির সাপের মাথায় না কি এই ‘মণি’ তৈরি হয়! যা অমূল্য। যদি কারও হাতে আসে তিনি অগাধ সম্পত্তির মালিক হয়ে যান। চারদিকে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।
পৌরাণিক কাহিনিতে ‘নাগমণি’র উল্লেখ পাওয়া যায়। অনেক হিন্দি সিনেমা এবং সিরিয়ালেও দেখানো হয়েছে। একটা বয়সের পর কিছু প্রজাতির সাপের মাথায় না কি এই ‘মণি’ তৈরি হয়! যা অমূল্য। যদি কারও হাতে আসে তিনি অগাধ সম্পত্তির মালিক হয়ে যান। চারদিকে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।
advertisement
2/6
কিন্তু ‘নাগমণি’ বলে কি আদৌ কিছু আছে? না কি পুরোটাই কল্পনা? বিজ্ঞান কী বলছে? অনেকে বিশ্বাস করেন, স্বাতী নক্ষত্র থেকে বৃষ্টির ফোঁটা কিং কোবরার ফণায় পড়লে নাগমণি তৈরি হয়। নাগমণিতে ভগবান শিবের আশীর্বাদ রয়েছে। কিং কোবরা কখনই এটা ফণা থেকে বের করে না। এমনটা বিশ্বাস করা হলেও বিজ্ঞান এটাকে মন গড়া বলেই উড়িয়ে দিয়েছে।
কিন্তু ‘নাগমণি’ বলে কি আদৌ কিছু আছে? না কি পুরোটাই কল্পনা? বিজ্ঞান কী বলছে? অনেকে বিশ্বাস করেন, স্বাতী নক্ষত্র থেকে বৃষ্টির ফোঁটা কিং কোবরার ফণায় পড়লে নাগমণি তৈরি হয়। নাগমণিতে ভগবান শিবের আশীর্বাদ রয়েছে। কিং কোবরা কখনই এটা ফণা থেকে বের করে না। এমনটা বিশ্বাস করা হলেও বিজ্ঞান এটাকে মন গড়া বলেই উড়িয়ে দিয়েছে।
advertisement
3/6
ভূতত্ত্ব বলছে, সাপের মাথায় বা ফণায় নাগমণির কোনও অস্তিত্ব কোনও কালেই পাওয়া যায়নি। মাথার ভিতর মণি বা মুক্তো থাকার কল্পনারও কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। পুরোটাই কষ্টকল্পনা।
ভূতত্ত্ব বলছে, সাপের মাথায় বা ফণায় নাগমণির কোনও অস্তিত্ব কোনও কালেই পাওয়া যায়নি। মাথার ভিতর মণি বা মুক্তো থাকার কল্পনারও কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। পুরোটাই কষ্টকল্পনা।
advertisement
4/6
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্ভবত লোককথা বা কুসংস্কার থেকেই এমন ধারণার জন্ম হয়েছে।বিজ্ঞানীদের মতে, মানুষের মতো সাপেরও পিত্তথলিতে পাথর থাকে। বড় পাথর থেকে ছোট ছোট টুকরো পাথরও বের হয়। এখন সাপের পিত্তথলির এই পাথরই ‘নাগমণি’ বলে কেউ ভুল করেছিলেন। পরেই সেটাই জনপ্রিয়তা পায়। মানুষ সাধারণ পাথরকে নাগমণি ভেবে বসে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্ভবত লোককথা বা কুসংস্কার থেকেই এমন ধারণার জন্ম হয়েছে।বিজ্ঞানীদের মতে, মানুষের মতো সাপেরও পিত্তথলিতে পাথর থাকে। বড় পাথর থেকে ছোট ছোট টুকরো পাথরও বের হয়। এখন সাপের পিত্তথলির এই পাথরই ‘নাগমণি’ বলে কেউ ভুল করেছিলেন। পরেই সেটাই জনপ্রিয়তা পায়। মানুষ সাধারণ পাথরকে নাগমণি ভেবে বসে।
advertisement
5/6
একটি এক্স পোস্টে ‘সাপের মাথার নাগমণি’কে মিথ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন আইএফএস অফিসার সুধা রমন। তিনি লিখেছেন, অন্যান্য প্রাণীর মতো সাপের শরীরেও মাংস এবং হাড় রয়েছে। কোষ এবং পেশিও একরকম। এর বেশি কিছু নয়। কোনও মূল্যবান পাথর বা রত্ন সাপের শরীরে নেই। কস্মিনকালেও ছিল না। সাপ কাউকে সম্মোহিতও করতে পারে না।
একটি এক্স পোস্টে ‘সাপের মাথার নাগমণি’কে মিথ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন আইএফএস অফিসার সুধা রমন। তিনি লিখেছেন, অন্যান্য প্রাণীর মতো সাপের শরীরেও মাংস এবং হাড় রয়েছে। কোষ এবং পেশিও একরকম। এর বেশি কিছু নয়। কোনও মূল্যবান পাথর বা রত্ন সাপের শরীরে নেই। কস্মিনকালেও ছিল না। সাপ কাউকে সম্মোহিতও করতে পারে না।
advertisement
6/6
নাগমণির মতো ভ্রান্ত ধারণার কারণে প্রতি বছর হাজার হাজার সাপ মারা হয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এসসিআই-এআরটি ল্যাবে (SCI-ART LAB) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ডা. কৃষ্ণা কুমারী চাল্লাও নাগমণির দাবিকে খণ্ডন করেছেন। তিনি লিখেছেন যে নাগমণি বা ভাইপার স্টোন বা স্নেক পার্ল বলে কিছু হয় না। বরং এটি একটি প্রাণীর হাড় বা পাথর, যা আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ভারত এবং অন্যান্য দেশে সাপের কামড়ের ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
নাগমণির মতো ভ্রান্ত ধারণার কারণে প্রতি বছর হাজার হাজার সাপ মারা হয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এসসিআই-এআরটি ল্যাবে (SCI-ART LAB) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ডা. কৃষ্ণা কুমারী চাল্লাও নাগমণির দাবিকে খণ্ডন করেছেন। তিনি লিখেছেন যে নাগমণি বা ভাইপার স্টোন বা স্নেক পার্ল বলে কিছু হয় না। বরং এটি একটি প্রাণীর হাড় বা পাথর, যা আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ভারত এবং অন্যান্য দেশে সাপের কামড়ের ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
advertisement
advertisement
advertisement