Old Railway Station in West Bengal: পশ্চিমবঙ্গের এই রেলওয়ে স্টেশনকে চেনেন, নাম জানলে চমকে উঠবেন, সবচেয়ে পুরনো স্টেশনের সঙ্গে জড়িয়ে ইতিহাস

Last Updated:
Knowledge Story: যেকোনও কম্পিটিটিভ পরীক্ষায় আসতে পারে এই প্রশ্ন, জানলে জিকে, ট্রেন্ডিং নিউজের এই প্রশ্নের উত্তরে করবেন কামাল
1/8
ভারতীয় রেল বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন রেলওয়ে নেটওয়ার্কের একটি৷ সেই সুপ্রাচীন রেলওয়ে নেটওয়ার্কটি তৈরির কাজ করেছিল তদানীন্তন ব্রিটিশ গর্ভনমেন্ট৷ দেশে ব্যবসা বৃদ্ধি এবং শিল্পের জন্য কাঁচামাল আনা এবং উৎপন্ন প্রডাক্ট দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই রেলপথ তৈরি হয়েছিল৷   দৈনন্দিন দেশের কোটি কোটি মানুষ রেল পরিষেবার উপর নির্ভরশীল। তবে ভারতীয় রেলের এখনও অনেক বিষয় রয়েছে যা আমাদের অজানা। দক্ষিণবঙ্গের সবথেকে প্রাচীন রেল জংশনের হাওড়া৷
ভারতীয় রেল বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন রেলওয়ে নেটওয়ার্কের একটি৷ সেই সুপ্রাচীন রেলওয়ে নেটওয়ার্কটি তৈরির কাজ করেছিল তদানীন্তন ব্রিটিশ গর্ভনমেন্ট৷ দেশে ব্যবসা বৃদ্ধি এবং শিল্পের জন্য কাঁচামাল আনা এবং উৎপন্ন প্রডাক্ট দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই রেলপথ তৈরি হয়েছিল৷   দৈনন্দিন দেশের কোটি কোটি মানুষ রেল পরিষেবার উপর নির্ভরশীল। তবে ভারতীয় রেলের এখনও অনেক বিষয় রয়েছে যা আমাদের অজানা। দক্ষিণবঙ্গের সবথেকে প্রাচীন রেল জংশনের হাওড়া৷
advertisement
2/8
হাওড়া থেকে প্রথম পাবলিক ট্রেনটি ছেড়েছিল ১৮৫৪ -র ১৫ অগাস্ট৷ যা ছিল হাওড়া -হুগলি মেন লাইন৷ কিন্তু এরপর কোন লাইনে কাজ হয়েছিল জানলে চমকে যাবেন৷
হাওড়া থেকে প্রথম পাবলিক ট্রেনটি ছেড়েছিল ১৮৫৪ -র ১৫ অগাস্ট৷ যা ছিল হাওড়া -হুগলি মেন লাইন৷ কিন্তু এরপর কোন লাইনে কাজ হয়েছিল জানলে চমকে যাবেন৷
advertisement
3/8
পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রাচীন স্টেশন বা রেল জংশন হল খানা জংশন। পূর্ব বর্ধমানে অবস্থিত এই রেল স্টেশন। বহু মানুষই এই জংশন স্টেশন সম্পর্কে জানে না। পূর্ব রেল বর্তমানে এই স্টেশনটিকে পরিচালনা করছে। এই রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন কোড হল KAN।
পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রাচীন স্টেশন বা রেল জংশন হল খানা জংশন। পূর্ব বর্ধমানে অবস্থিত এই রেল স্টেশন। বহু মানুষই এই জংশন স্টেশন সম্পর্কে জানে না। পূর্ব রেল বর্তমানে এই স্টেশনটিকে পরিচালনা করছে। এই রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন কোড হল KAN।
advertisement
4/8
এই স্টেশনটি ১৮৫৯ সালে প্রথম ‘জংশন’-এর তকমা পায়। ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ইংরেজ সরকার কয়লা ব্যবসার মাধ্যমে লাভের মুখ দেখেছিল। কয়লা ব্যবসাতে যে পরিমাণ লাভ ছিল তার কথা মাথায় রেখে ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে, ১৮৫৫ সালে কলকাতা এবং হুগলির মধ্যে একটি রেল পথ তৈরি করে যা রানীগঞ্জ পর্যন্ত প্রসারিত ছিল।
এই স্টেশনটি ১৮৫৯ সালে প্রথম ‘জংশন’-এর তকমা পায়। ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ইংরেজ সরকার কয়লা ব্যবসার মাধ্যমে লাভের মুখ দেখেছিল। কয়লা ব্যবসাতে যে পরিমাণ লাভ ছিল তার কথা মাথায় রেখে ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে, ১৮৫৫ সালে কলকাতা এবং হুগলির মধ্যে একটি রেল পথ তৈরি করে যা রানীগঞ্জ পর্যন্ত প্রসারিত ছিল।
advertisement
5/8
প্রাথমিকভাবে আকরিক কয়লা গঙ্গানদী পথে পণ্য হিসেবে প্রবাহিত হত৷  সে সময়ে গঙ্গার নাব্যতা ও আরও নানা সমস্যার কারণে নদীপথে পণা পরিবহন বেশ কঠিন ছিল ,তাই রাজমহল পর্যন্ত রেলপথ তৈরি প্রয়োজন ছিল৷ এই পথেই তৈরি হয় খানা জংশন৷
প্রাথমিকভাবে আকরিক কয়লা গঙ্গানদী পথে পণ্য হিসেবে প্রবাহিত হত৷  সে সময়ে গঙ্গার নাব্যতা ও আরও নানা সমস্যার কারণে নদীপথে পণা পরিবহন বেশ কঠিন ছিল ,তাই রাজমহল পর্যন্ত রেলপথ তৈরি প্রয়োজন ছিল৷ এই পথেই তৈরি হয় খানা জংশন৷
advertisement
6/8
১৮৫৯ সালে এটি স্বীকৃতি পায় হাওড়া-দিল্লি মেন লাইন হিসাবে। ঠিক সেই সময়ই জংশনের তকমা পেয়েছিল খানা রেল স্টেশনটি। খানা জংশন- রাজমহল লাইন নির্মাণকাজ সেই সময় থেকেই শুরু হয়। যা কলকাতা ও দিল্লির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয় ১৮৬৬ সালে।
১৮৫৯ সালে এটি স্বীকৃতি পায় হাওড়া-দিল্লি মেন লাইন হিসাবে। ঠিক সেই সময়ই জংশনের তকমা পেয়েছিল খানা রেল স্টেশনটি। খানা জংশন- রাজমহল লাইন নির্মাণকাজ সেই সময় থেকেই শুরু হয়। যা কলকাতা ও দিল্লির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয় ১৮৬৬ সালে।
advertisement
7/8
প্রাথমিকভাবে এটি কর্ড লাইন হিসেবে বিবেচিত হলেও  দক্ষিণবঙ্গের সবথেকে পুরনো রেল জংশন হল এই খানা জংশন। বর্ধমানের মানুষের কাছে এটি সত্যিই গর্বের বিষয়।
প্রাথমিকভাবে এটি কর্ড লাইন হিসেবে বিবেচিত হলেও  দক্ষিণবঙ্গের সবথেকে পুরনো রেল জংশন হল এই খানা জংশন। বর্ধমানের মানুষের কাছে এটি সত্যিই গর্বের বিষয়।
advertisement
8/8
বর্তমানে একাধিক দূর পাল্লার ট্রেন এই স্টেশনে দাঁড়ায়। যেসব এক্সপ্রেস ট্রেন এই জংশনের উপর দিয়ে যায় সেগুলি হল হাওড়া-জয়নগর এক্সপ্রেস, বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার, হাওড়া-মোকামা এক্সপ্রেস। এছাড়া যাতায়াত করে শিয়ালদহ-গোড্ডা মেমু স্পেশাল।
বর্তমানে একাধিক দূর পাল্লার ট্রেন এই স্টেশনে দাঁড়ায়। যেসব এক্সপ্রেস ট্রেন এই জংশনের উপর দিয়ে যায় সেগুলি হল হাওড়া-জয়নগর এক্সপ্রেস, বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার, হাওড়া-মোকামা এক্সপ্রেস। এছাড়া যাতায়াত করে শিয়ালদহ-গোড্ডা মেমু স্পেশাল।
advertisement
advertisement
advertisement