প্রেমিকার সঙ্গে চাঁদের বুকে সঙ্গমের ইচ্ছা! নাসা থেকে ১৮৪ কোটি টাকার চাঁদের পাথর চুরি তরুণের! তারপর? শুনলে ভিরমি খাবেন আপনিও
- Published by:Soumendu Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
অনেকেই প্রেমিকাকে 'চাঁদ এনে দেওয়ার' প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু, এই তরুণ চাঁদে সঙ্গম করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রেমিকাকে।
অনেকেই প্রেমিকাকে 'চাঁদ এনে দেওয়ার' প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু, এই তরুণ চাঁদে সঙ্গম করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রেমিকাকে। আর যেমন ভাবা তেমন কাজ, ‘করেছিলেন’ও তাই। এই কাজ করতে চাঁদ থেকে নাসার আনা ২.১ কোটি ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ১৮৪ কোটি টাকা) মূল্যের পাথর চুরি করেছিলেন এক তরুণ। অবাক লাগলেও সত্যিই তেমনটা ঘটেছিল ২৩ বছর আগে।
advertisement
advertisement
সময়টা ২০০২। উটাহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যা, ভূতত্ত্ব এবং ভূপদার্থবিদ্যায় সদ্য ডিগ্রি অর্জন করা থাড তখন ২৪ বছর বয়সি টগবগে তরুণ। শিক্ষানবিশ হিসাবে নাসায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি।নাসায় থাডের সঙ্গে আলাপ হয় নাসার ‘টিস্যু কালচার’ পরীক্ষাগারে কর্মরত ২২ বছর বয়সি টিফানি ফাউলারের। বন্ধুত্ব আর সেখান থেকেই প্রেম। লিভ-ইন করতেও শুরু করেন তাঁরা।
advertisement
advertisement
এফবিআই-এর তদন্ত অনুযায়ী, ২৪ বছর বয়সি থাড ঠিক করেছিলেন রাতের অন্ধকারে চুরি করবেন। অ্যাপোলো অভিযানে গিয়ে চাঁদ থেকে সংগ্রহ করা অমূল্য পাথরটি সে সময় নাকি হিউস্টনের জনসন স্পেস সেন্টারে একটি ৬০০ পাউন্ডের আলমারিতে তালাবন্ধ ছিল।আঁটসাঁট নিরাপত্তার মধ্যে থাকা চাঁদের সেই পাথর চুরির জন্য নিজের এবং সঙ্গীদের জন্য নাসার বিজ্ঞানীদের ব্যাজ জোগাড় করেছিলেন থাড। কিনেছিলেন বিশেষ পোশাকও।
advertisement
চুরির কাজে প্রেমিকা টিফানিকেও ‘ ক্রাইম পার্টনার’ বানিয়েছিলেন থাড। সঙ্গী ছিলেন শে সোর নামে নাসার অন্য এক শিক্ষানবিশও। জুলাইয়ের এক সন্ধ্যায় নাসার তিন শিক্ষানবিশ মিলে জনসন স্পেস সেন্টারের ৩১ নম্বর ভবনে পৌঁছোন। সেখানেই রাখা ছিল চাঁদের ওই পাথর।থাড এবং টিফানি চুরি করতে ভিতরে ঢুকেছিলেন। শে বাইরে থেকে নজর রাখছিলেন নিরাপত্তা ক্যামেরাগুলির দিকে। বিশেষ পোশাক পরে বায়ুশূন্য কক্ষে যান থাড এবং টিফানি। চাঁদের পাথরগুলি যে আলমারিতে ছিল সেই আলমারি নিয়েই পালিয়ে যান তাঁরা। পরে আলমারি ভেঙে পাথরগুলি নিয়ে নেন।
advertisement
শুধু সঙ্গম নয়, এফবিআই দাবি করেছিল যে থাডের চাঁদের পাথর চুরির ঘটনাটি আর্থিক ভাবেও জড়িত ছিল। বেলজিয়ামের এক জন ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন তিনি। ওই পাথরের প্রতি গ্রামের জন্য নাকি পাঁচ হাজার ডলার পর্যন্ত দিতে রাজি ছিলেন ওই ক্রেতা।তবে পাথর নিয়েই তা বিক্রির দিকে হাঁটেননি থাড। পাথর নিয়ে বাড়ি যান। বিছানার তলায় চাঁদের পাথর রেখে সঙ্গম করেন প্রেমিকা টিফানির সঙ্গে। ‘চাঁদে সঙ্গম’ করার ইচ্ছা পূর্ণ করেন যুগল।অন্য দিকে, চাঁদের পাথর চুরি নিয়ে তত ক্ষণে নাসায় হইচই পড়ে গিয়েছে। খোঁজ খোঁজ রব উঠেছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ-এফবিআই।
advertisement
কিছু দিন পরে বেলজিয়ামের ওই ক্রেতার কাছে চাঁদের পাথরগুলি নিয়ে পৌঁছোন থাড। সেগুলি বিক্রির চেষ্টা করেন তাঁকে। কিন্তু বেলজিয়ামের ওই ক্রেতা পাথরগুলি কোথা থেকে এসেছে তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন। এফবিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। এর পর থাডকে গ্রেফতার করতে অভিযান শুরু করে পুলিশ। কয়েক দিনের মধ্যেই থাড এবং তাঁর সঙ্গীরা গ্রেফতার হন।
advertisement
advertisement
আট বছরের জেল হয়েছিল থাডের। তবে ছ’বছরের বেশি সময় ধরে কারাবাস ভোগের পর ২০০৮ সালে, অর্থাৎ কারাদণ্ডের সাজার মেয়াদের দু’বছর আগেই মুক্তি দেওয়া হয় তাঁকে।অন্য দিকে, টিফানি এবং শে-ও নিজেদের দোষ স্বীকার করেছিলেন। তাঁদের ১৮০ দিনের গৃহবন্দি থাকার এবং ১৫০ ঘণ্টা সমাজসেবা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণ ধার্য হয় ৯,০০০ ডলারেরও বেশি।
advertisement