Indian Railway: রেল-স্টেশনে ব্যাগ থেকে আজব শব্দ, 'ব্যাগ খোলো'... GRP-র হুঙ্কারে ঘামতে লাগল ব্যক্তি, ব্যাগে কী ছিল? খোদ পুলিশেরও চোখ ছানাবড়া

ভারতের লাইফলাইন ট্রেন! রোজ লাখো-লাখো মানুষ ট্রেনে সফর করছেন! ভারতীয়দের কাছে ট্রেন ইমোশন, ট্রেন নস্টালজিয়া! ট্রেনের কু-ঝিকঝিক শব্দের মধ্যে মিশে কত না ভাল লাগার মুহূর্ত! যাত্রীদের সফর নিরাপদ করতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় রেলওয়ে! চলছে নিয়মিত ট্রেন ও স্টেশনে তল্লাশি অভিযান। সম্প্রতি সেই অভিযান চলাকালীন সামনে এল চমকে দেওয়া এক ঘটনা! ঠিক কী ঘটেছিল?

প্রয়াগরাজ স্টেশনে যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে আরপিএফ নিয়মিত তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। স্টেশনে আসা-যাওয়া করা প্রত্যেক যাত্রীর উপর নজর রাখা হচ্ছে। ঠিক সেই সময় নজর পড়ে স্টেশনের বাইরে বসে থাকা এক যাত্রীর উপর। ওই যাত্রী অনেক ক্ষণ ধরে একই জায়গায় বসেছিল। এর মধ্যেই একের পর এক ট্রেন এসেছে-গিয়েছে, কিন্তু যাত্রী তার জায়গা থকে নড়ছে না। সন্দেহ হল আরপিএফ বা রেল পুলিশের।

সন্দেহবশত রেল পুলিশ যাত্রীটির কাছে যায়। দেখে, যাত্রী একটা ছেঁড়া ব্যাগের উপর চেপে বসে আছে। প্রাণপন চেষ্টা করছে ব্যগটিকে লুকানোর। তাতে সন্দেহ আরও বেড়ে যায় রেল পুলিশের! এর মধ্যেই ঘটে যায় মোক্ষম ঘটনাটি! ব্যাগ থেকে অদ্ভুত একটা শব্দ আসতে থাকে। আর তার পরেই ফাঁস হয় আসল রহস্য!

প্রয়াগরাজ আরপিএফ-এর নেতৃত্বে যাত্রীদের লাগেজ চুরি রোধ এবং চুরির সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের ধরতে একটি অভিযান চলছিল। এই সময় দেখা যায়, প্রয়াগরাজ রেলওয়ে স্টেশনের কলোনির মন্দিরের কাছে এক যাত্রী দীর্ঘ ক্ষণ বসে আছে! কিছুতেই নড়ছে না! একের পর এক ট্রেন আসছে, যাচ্ছে, কিন্তু যাত্রী নড়ছে না! তাতেই সন্দেহ হয় পুলিশের।

আরপিএফ জওয়ানরা ব্যক্তির দিকে এগিয়ে যেতেই সে তার পুরনো ছেঁড়া ব্যাগটি লুকানোর চেষ্টা করে। জওয়ানরা তার কাছে পৌঁছতেই সে ব্যাগটি পেছনে সরিয়ে তার উপর বসে পড়ে। জওয়ানরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে, হঠাৎ ব্যাগের ভিতর থেকে একটি মোবাইল ফোন বেজে ওঠে। একটি মোবাইলের রিং থামার আগেই আরেকটি মোবাইল ফোনও বেজে ওঠে। এতে সন্দেহ আরও ঘনিভূত হয়। ব্যাগ তল্লাশি শুরু করলে, তার ভিতর থেকে দু'টি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়।

পুলিশি জেরায় ধৃত জানায় তার নাম সুশীল কুমার। সে প্রয়াগরাজ জেলার সোরাঁও থানা এলাকার গারভপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন, একটি লকেট, একটি পায়েল, একটি ব্রেসলেট এবং ১০,০০০ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত জানায়, সে চলন্ত ট্রেন ও রেলওয়ে স্টেশন থেকে মোবাইল ফোন ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করত। এদিন সে চুরি করা জিনিসপত্র বিক্রি করতে এসেছিল, তখনই তাকে ধরা হয়। জিআরপি তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে তাকে স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।