স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের ব্যবধান কত হওয়া উচিত? কী বলছে বিজ্ঞান?

ভারতীয় সমাজে বিয়ে হল পবিত্র বন্ধন। এমনকী, একে সাত জন্মের বন্ধনও বলা হয়ে থাকে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমাজেও বদল এসেছে। ফলে মানুষের ভাবনা এবং বিয়ে সংক্রান্ত নানা রীতিনীতিও বদলে গিয়েছে। আগে মূলত দেখেশুনে বিয়ে হত, কিন্তু আজকালকার দিনে প্রেমের বিয়েরই চল বেশি। আজ বিয়ে সংক্রান্ত একটা বিষয়ে আলোচনা করে নেওয়া যাক।

আসলে অনেক সময় বলা হয় যে, প্রেম অন্ধ। কে যে কার প্রেমে পড়বেন, সেটা কারও পক্ষেই বলা মুশকিল। এমনিতে স্ত্রীরা স্বামীর তুলনায় বয়সে ছোটই হন। কিন্তু বর্তমান সময়ে অনেকে ক্ষেত্রেই স্বামীর বয়সের তুলনায় স্ত্রীর বয়স বেশি হতে দেখা যায়। এমন উদাহরণ তো ভূরি ভূরি আছে। ক্রিকেট দুনিয়ায় এর জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ হলেন সচিন তেন্ডুলকর। স্ত্রী অঞ্জলি তাঁর থেকে চার বছরের বড়। আবার বলিউড তারকা শাহিদ কাপুর এবং তাঁর স্ত্রী মীরা কাপুরের বয়সের ব্যবধান ১৫ বছর।

স্বামী বা স্ত্রীর বয়স কিংবা বয়সের ব্যবধান নিয়ে বিতর্ক যা-ই হোক না কেন, এই প্রসঙ্গে বিজ্ঞান কী বলে, সেটাই দেখে নেব আমরা। তবে তার আগে বলে রাখা ভাল যে, বিজ্ঞানে বিয়ের কোনও জায়গা নেই। তাই ন্যূনতম কত বয়সে এক মহিলা এবং এক পুরুষ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারেন, সেটাই আলোচ্য বিষয়।

বিজ্ঞান বলছে, একজন পুরুষ এবং মহিলার দেহে যখন হরমোনজনিত পরিবর্তন আসে, তখনই তাঁরা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারেন। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন আসে ৭ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে। আবার অন্যদিকে পুরুষদের দেহে এই পরিবর্তন আসে ৯ থেকে ১৫ বছর বয়সের মধ্যে।

এর অর্থ হল, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে দ্রুত হরমোনজনিত পরিবর্তন আসে। এর জেরে মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় আগে থেকেই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারে।

তবে হরমোনজনিত পরিবর্তন এলেই যে বিয়ে করে নিতে হবে, তেমনটা একেবারেই নয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যৌন সঙ্গমের জন্য ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। আর বেঁধে দেওয়া বয়স হল ১৬ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। যদিও আমাদের দেশে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ন্যূনতম বয়স হল ১৮ বছর। এর পাশাপাশি ভারতে আইনি বিয়ের ন্যূনতম বয়সও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

পুরুষ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে এই বয়সের সীমা ছিল যথাক্রমে ২১ এবং ১৮ বছর। সেই অনুযায়ী, পুরুষ এবং মহিলাদের তিন বছরের ব্যবধান আইনি ভাবেই গ্রহণযোগ্য হত।যদিও সম্প্রতি মেয়েদের আইনি বিয়ের ন্যূনতম বয়সের সীমা বাড়িয়ে ২১ বছর করা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। এই সংক্রান্ত আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।

যদিও শীর্ষ আদালত তা নাকচ করে দেয়। ভারতীয় সমাজে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পাঁচ বছরের ব্যবধান গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে। এমনকী মেয়ের বয়স ছেলের তুলনায় কম হবে বলে মনে করা হয়। যদিও এসব কোনও ব্যাপারই নয়।