GK First City to Run Out of Water: আর ৪ বছর, বিশ্বের কোন দেশের রাজধানী সম্পূর্ণ জলশূণ্য হয়ে যাবে জানেন! ৯৯% মানুষ জানেন না সঠিক জবাব...

Last Updated:
GK First City to Run Out of Water: সবার অতি পরিচিত এই দেশের মূল শহর ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রথম জলশূন্য রাজধানী শহরে পরিণত হতে পারে। ভূগর্ভস্থ জলের স্তর বিপজ্জনক হারে কমছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে ব্যাপক অভিবাসন ও মানবিক সঙ্কট দেখা দিতে পারে, বিস্তারিত জানুন...
1/9
ভাবুন তো, একটা দেশের রাজধানী না কি ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে জলশূন্য হয়ে পড়তে পারে। এমনই একটি চাঞ্চল্যকর সতর্কতা দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা মার্সি কর্পস।
ভাবুন তো, একটা দেশের রাজধানী না কি ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে জলশূন্য হয়ে পড়তে পারে। এমনই একটি চাঞ্চল্যকর সতর্কতা দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা মার্সি কর্পস।
advertisement
2/9
শহরটি আমাদের অতি পরিচিত কাবুল, আফগানিস্তানের রাজধানী। সেখানে জনসংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৭০ লক্ষ, এবং আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই এই শহর হতে পারে বিশ্বের প্রথম রাজধানী, যেটি জলশূন্য হয়ে যাবে।
শহরটি আমাদের অতি পরিচিত কাবুল, আফগানিস্তানের রাজধানী। সেখানে জনসংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৭০ লক্ষ, এবং আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই এই শহর হতে পারে বিশ্বের প্রথম রাজধানী, যেটি জলশূন্য হয়ে যাবে।
advertisement
3/9
প্রতিবছর কাবুলে যতটা জল ব্যবহৃত হচ্ছে, তা প্রকৃতির মাধ্যমে পুনঃপূরণ হওয়া জলের চেয়ে ৪৪ মিলিয়ন কিউবিক মিটার বেশি। মার্সি কর্পসের রিপোর্ট বলছে, যদি অবিলম্বে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে কাবুল এক ভয়াবহ জল সংকটের মুখে পড়বে।
প্রতিবছর কাবুলে যতটা জল ব্যবহৃত হচ্ছে, তা প্রকৃতির মাধ্যমে পুনঃপূরণ হওয়া জলের চেয়ে ৪৪ মিলিয়ন কিউবিক মিটার বেশি। মার্সি কর্পসের রিপোর্ট বলছে, যদি অবিলম্বে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে কাবুল এক ভয়াবহ জল সংকটের মুখে পড়বে।
advertisement
4/9
গত এক দশকে কাবুলের ভূগর্ভস্থ জলস্তর ২৫ থেকে ৩০ মিটার (৮২ থেকে ৯৮ ফুট) নিচে নেমে গেছে। প্রতিবছর ৪৪ মিলিয়ন কিউবিক মিটার হারে অতিরিক্ত জল উত্তোলন এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই হারে চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যেই কাবুলের ভূগর্ভস্থ জলস্তর শুকিয়ে যাবে।
গত এক দশকে কাবুলের ভূগর্ভস্থ জলস্তর ২৫ থেকে ৩০ মিটার (৮২ থেকে ৯৮ ফুট) নিচে নেমে গেছে। প্রতিবছর ৪৪ মিলিয়ন কিউবিক মিটার হারে অতিরিক্ত জল উত্তোলন এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই হারে চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যেই কাবুলের ভূগর্ভস্থ জলস্তর শুকিয়ে যাবে।
advertisement
5/9
মার্সি কর্পস আফগানিস্তানের ডিরেক্টর ডেন কারি জানান, “জল না থাকলে মানুষ বাধ্য হয়ে স্থানত্যাগ করবে। যদি এখনই ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে দেশজুড়ে ব্যাপক অভিবাসন ও সংকট তৈরি হবে।”
মার্সি কর্পস আফগানিস্তানের ডিরেক্টর ডেন কারি জানান, “জল না থাকলে মানুষ বাধ্য হয়ে স্থানত্যাগ করবে। যদি এখনই ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে দেশজুড়ে ব্যাপক অভিবাসন ও সংকট তৈরি হবে।”
advertisement
6/9
ইউনিসেফ-এর পূর্বাভাস বলছে, কাবুলের প্রায় অর্ধেক আন্ডারগ্রাউন্ড বোরওয়েল ইতিমধ্যেই শুকিয়ে গেছে। অথচ সেগুলিই ছিল শহরের প্রধান পানীয় জলের উৎস।
ইউনিসেফ-এর পূর্বাভাস বলছে, কাবুলের প্রায় অর্ধেক আন্ডারগ্রাউন্ড বোরওয়েল ইতিমধ্যেই শুকিয়ে গেছে। অথচ সেগুলিই ছিল শহরের প্রধান পানীয় জলের উৎস।
advertisement
7/9
২০০১ সাল থেকে কাবুলের জনসংখ্যা সাতগুণ বেড়েছে। অথচ জল পরিকাঠামো ও প্রশাসনিক দক্ষতার অভাব এই সঙ্কটকে আরও গভীর করেছে। পানজশির নদী থেকে জলের পাইপলাইন প্রকল্প কাবুলের প্রায় ২০ লক্ষ মানুষকে জল সরবরাহ করতে পারে, তবে তার জন্য প্রয়োজন তহবিল ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা।
২০০১ সাল থেকে কাবুলের জনসংখ্যা সাতগুণ বেড়েছে। অথচ জল পরিকাঠামো ও প্রশাসনিক দক্ষতার অভাব এই সঙ্কটকে আরও গভীর করেছে। পানজশির নদী থেকে জলের পাইপলাইন প্রকল্প কাবুলের প্রায় ২০ লক্ষ মানুষকে জল সরবরাহ করতে পারে, তবে তার জন্য প্রয়োজন তহবিল ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা।
advertisement
8/9
জলসম্পদ বিশেষজ্ঞ নাজিবুল্লাহ সাদিদ জানিয়েছেন, “কাবুল এমন একটি সংকটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে, যার থেকে ফেরার কোনো পথ নেই, যদি এখনই পদক্ষেপ না নেওয়া হয়।”
জলসম্পদ বিশেষজ্ঞ নাজিবুল্লাহ সাদিদ জানিয়েছেন, “কাবুল এমন একটি সংকটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে, যার থেকে ফেরার কোনো পথ নেই, যদি এখনই পদক্ষেপ না নেওয়া হয়।”
advertisement
9/9
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে বৃষ্টিপাত মারাত্মকভাবে কমে গেছে। কাবুলের ভূগর্ভস্থ জলভাণ্ডার মূলত হিন্দুকুশ পর্বতমালার তুষার ও হিমবাহ গলনজল দ্বারা পুনঃপূরণ হয়। কিন্তু অক্টোবর ২০২৩ থেকে জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত আফগানিস্তানে স্বাভাবিক শীতকালীন বৃষ্টির মাত্র ৪৫ থেকে ৬০ শতাংশই হয়েছে। ফলে ভবিষ্যতে সঙ্কট আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে বৃষ্টিপাত মারাত্মকভাবে কমে গেছে। কাবুলের ভূগর্ভস্থ জলভাণ্ডার মূলত হিন্দুকুশ পর্বতমালার তুষার ও হিমবাহ গলনজল দ্বারা পুনঃপূরণ হয়। কিন্তু অক্টোবর ২০২৩ থেকে জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত আফগানিস্তানে স্বাভাবিক শীতকালীন বৃষ্টির মাত্র ৪৫ থেকে ৬০ শতাংশই হয়েছে। ফলে ভবিষ্যতে সঙ্কট আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
advertisement
advertisement
advertisement