Emir Of Qatar: সোনার প্রাসাদ থেকে শুরু করে বিলাসবহুল ইয়ট এবং জেট ! কাতারের আমিরের সম্পত্তির কথা শুনলে চোখ রীতিমতো ধাঁধিয়ে যাবে
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Emir Of Qatar's Fabulous Wealth: গত সোমবারই ভারতে পা রেখেছিলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি (Tamim bin Hamad Al Thani)। বিমানবন্দরে তাঁকে সাদরে বরণ করে নিতে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
গত সোমবারই ভারতে পা রেখেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি (Tamim bin Hamad Al Thani)। বিমানবন্দরে তাঁকে সাদরে বরণ করে নিতে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানা গিয়েছে, ব্যবসা, শক্তি এবং বিনিয়োগ নিয়ে মোদির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবেন শেখ তামিম। তাঁর এই সফর ভারত এবং কাতারের মধ্যে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা। বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ হল কাতার। আসলে এখানে রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাস এবং তেলের বিপুল ভাণ্ডার। সেখানকার শাসক আল-থানি পরিবারের সদস্য হলেন শেখ তামিম। এই পরিবার প্রায় দুই শতকের কাছাকাছি সময় ধরে দেশটিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এনার্জি এক্সপোর্ট এবং কৌশলগত বিনিময়ের মাধ্যমে প্রচুর সম্পত্তিও তৈরি হয়েছে। Photo: AFP
advertisement
কে এই শেখ তামিম? ২০১৩ সালে নিজের বাবা শেখ হামিদ বিন খলিফা আল-থানির উত্তরাধিকারী হিসেবে কাতারের আমির হয়েছিলেন শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি। গোড়ার দিন থেকেই কাতারে রাজত্ব করে চলেছে আল-থানি পরিবার। ১১ জন সদস্যের রয়েছে আমির তকমা। ব্লুমবার্গ থেকে জানা যাচ্ছে যে, কাতার রাজপরিবারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৩৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। যার জেরে তারা বিশ্বের অন্যতম ধনী সাম্রাজ্য হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে শেখ তামিমেরই সম্পত্তির পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে। যদিও আসল সম্পত্তির পরিমাণটা গোপন রাখা হয়। কাতারের শক্তিসম্পদের উৎস এবং সম্প্রসারিত গ্লোবাল বিনিয়োগের পোর্টফোলিও থেকে এই পরিবারের সম্পত্তির এই বাড়বাড়ন্ত।
advertisement
শেখ তামিমের সম্পত্তি: প্রাসাদ: রাজপরিবার থাকে দোহা রয়্যাল প্যালেসে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫টি প্রাসাদ এবং ৫০০টি গাড়ির পার্কিংয়ের জায়গা। ওমানেও একটি সাদা প্রাসাদ রয়েছে কাতারের এমিরের । লন্ডনে প্রাক্তন আমিরের এক স্ত্রী শেখা মোজাহ বিন্ত নাসের আল মিসনেদ তিনটি কর্নওয়াল টেরেস প্রপার্টি কিনেছিলেন ২০১৩ সালে। যার মূল্য ১৪০ মিলিয়ন ডলার। এই সম্পত্তিকে সুপার-ম্যানসনে পরিণত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৭টি বেডরুম, ১৪টি লাউঞ্জ, একটি সিনেমা, একটি জ্যুস বার এবং একটি স্যুইমিং পুল।
advertisement
ইয়ট: এই আমিরের কাছে রয়েছে ‘দ্য কাতারা’। এটি হল বিশ্বের সবথেকে বিলাসবহুল এবং দামি মেগা-ইয়টগুলির মধ্যে একটি। যার দাম প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার। ২৪ মিটার এই ভেসেলে রয়েছে ১টি হেলিকপ্টার প্যাড এবং অবসর যাপনের জন্য একাধিক ডেক। ২০১৯ সালে দোহায় শিপইয়ার্ডে আগুন লেগে তিনটি রাজকীয় ইয়ট নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যেগুলির প্রতিটির মূল্য ছিল ১০ মিলিয়ন করে।
advertisement
এয়ারলাইন্স: কাতারের রাজপরিবার একটি এক্সক্লুসিভ এয়ারলাইন -কাতার আমিরি ফ্লাইট চালায়। যার পত্তন হয়েছিল ১৯৭৭ সালে। এই বিমান সংস্থা শুধু রাজপরিবার এবং শীর্ষস্থানীয় সরকারি আধিকারিকদের জন্যই। রয়েছে তিনটি বোয়িং ৭৪৭-৮ জেট-সহ ১৪টি এয়ারক্র্যাফ্ট। যার মূল্য ৪০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। রয়েছে একাধিক এয়ারবাস মডেলও। যার মূল্য ১০০ মিলিয়ন ডলার থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে।
advertisement
advertisement
advertisement
খেলাধূলা: শেখ তামিমই কাতার স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ২০০৪ সালে। যার এখন রয়েছে Paris Saint-Germain বা পিএসজি ফুটবল ক্লাব। এমনকী পর্তুগালের SC Braga (২১.৭ শতাংশ), স্পেনের Malaga CF-এর মতো দলে রয়েছে পরিবারের স্টেক। আপাতত তাদের চোখ রয়েছে ইতালির Sampdori-র উপর। ২০২২ সালে সবথেকে দামি ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজন করে কাতার রীতিমতো ইতিহাস গড়েছে। ১২ বছরের জন্য স্টেডিয়াম এবং পরিকাঠামোর জন্য ৩০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হবে।
advertisement
গ্লোবাল বিনিয়োগ: দেশের সোভেরিন ওয়েলথ ফান্ড কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি (কিউআইএ) প্রায় ৪৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সম্পত্তি পরিচালনা করে। বিশ্বের সবথেকে নামীদামি সংস্থাগুলিতে রয়েছে এদের স্টেক। এই সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম হল Barclays, Volkswagen, Heathrow Airport এবং Empire State Building। লন্ডনের কিংবদন্তি হ্যারডস ডিপার্টমেন্ট স্টোর রয়েছে তাদের। রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে শেখ তামিম এই এত পরিমাণ বিনিয়োগ দেখাশোনা করেন। যার ফলে তিনি বিশ্বের প্রভাবশালী নেতৃত্বদের মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছেন।