হিন্দু ধর্ম এবং বৈদিক অ্যাস্টোলজির উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে মঙ্গলবার কিন্তু মোটেও শুভ দিন নয়। কারণ এদিন মঙ্গল গ্রহের প্রভাব সবথেকে বেশি মাত্রায় থাকে। ফলে এদিন নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। সেই সঙ্গে লেজুড় হতে পারে মানসিক অশান্তিও। শুধু তাই নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে মঙ্গল গ্রহের এক এবং একমাত্র কাজ হল সমস্যা সৃষ্টি করা। তাই তো এদিন কোনও নতুন কাজ শুরু করতে মানা করা হয়। কারণ মঙ্গলবার কোনও কাজই ঠিক মতে হতে চায় না। বিশেষত পড়াশোনা সম্পর্কিত কিছু কাজ শুরু করলে তাতে সাফল্য পেতে অনেক সময় লেগে যায়। ছবি: সংগৃহীত ৷
advertisement
সেই সঙ্গে মামলায় জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি থাকে। তাই তো এদিন বেজায় ভেবে চিন্তে প্রতিটি পদক্ষের ফেলা উচিত। আর যদি এমনটা করতে না পারেন, তাহলে কিন্তু...! এখন প্রশ্ন হল, মঙ্গলবার যে বেজায় বিপদের দিন, সে কথা তো না হয় জানা গেল। কিন্তু কীভাবে এদিন সমস্ত বিপদ এড়িয়ে সারাদিন নিরাপদে থাকা যেতে পারে, সে সম্পর্কে জানতে না পারলে যে দুশ্চিন্তা থেকেই যাবে! একেবারেই ঠিক বলেছেন বন্ধু! তাই তো এই প্রবন্ধে এমন কতগুলি সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চললে মঙ্গল গ্রহের খারাপ প্রভাব থেকে অনেকাংশেই বেঁচে থাকা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে কোনও ধরনের বিপদে পরার আশঙ্কাও যাবে কমে। তাহলে অপেক্ষা কেন বন্ধু, চলুন পড়ে ফেলা যাক বাকি প্রবন্ধটি এবং জেনে নেওয়া নেওয়া যাক মঙ্গল গ্রহের প্রভাব থেকে বেঁচে থাকার সেইসব সহজ টোটকাগুলি সম্পর্কে। ছবি: সংগৃহীত ৷
advertisement
১. এক মনে দেবীর আরাধনা করতে হবে: শাস্ত্র মতে প্রতি মঙ্গলবার, সকাল সকাল উঠে, স্নান সেরে মা দুর্গা এবং মা কালির যদি পুজো করা যায়, তাহলে দারুন সব উপকার মিলতে শুরু করে। এক্ষেত্রে মঙ্গল গ্রহের প্রভাবে কোনও খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি হঠাৎ করে কোন দুর্ঘটনার কবলে পরার সম্ভাবনাও কমে। ছবি: সংগৃহীত ৷
advertisement
২. উপোস করতে হবে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি মঙ্গলবার উপোস করলে জন্মকুষ্টিতে মঙ্গল গ্রহের প্রভাব যেমন কমতে থাকে, তেমনি সপ্তাহের এই বিশেষ দিনে কোনও ঝামেলায় জড়িয়ে পরার সম্ভাবনাও আর থাকে না। তাই তো বলি বন্ধু, প্রতি সপ্তাহে এই বিশেষ দিনটি আনন্দে এবং নিশ্চিন্তে কাটুক, এমনটা যদি চান, তাহলে এদিন উপোস করতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হল সারা দিন উপোস করার পর রাত্রে যখন খাবার খাবেন, তাতে যে অল্প পরিমাণ নুন থাকে। কারণ এই নিয়মটি মানলে দ্রুত উপকার মেলে। ছবি: সংগৃহীত ৷
advertisement
৩. লাল রঙের পোশাক: শুনতে আজব লাগলেও অনেকেই এমনটা বিশ্বাস করেন যে মঙ্গলবার লাল রঙের জামা-কাপড় পরলে দিনটা দারুন আনন্দে কেটে যায়। কারণ বেশ কিছু বইয়ে এমনটা দাবী করা হয়েছে যে লাল রঙ, মঙ্গলের প্রভাবকে কমিয়ে দেয়। ফলে কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি নানাবিধ ঝামেলায় জড়িয়ে পরার সম্ভাবনা আর থাকে না। তাই তো বলি বন্ধু, সপ্তাহের এই বিশেষ দিনটির প্রতিটা মুহূর্তকে যদি আনন্দে ভরিয়ে তুলতে হয়, তাহলে লাল রঙের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতে ভুলবেন না যেন! ছবি: সংগৃহীত ৷
advertisement
৪. হনুমানজির অরাধনা করা : হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে মঙ্গলবার হল মারুথির দিন। তাই তো এদিন উপোস করে যদি সর্বশক্তিমানের আরাধনা করা যায় এবং সেই সঙ্গে পাঠ করা যায় হনুমান চল্লিশা, তাহলে মঙ্গল গ্রহের খারাপ প্রভাব থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব হয়। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরুন, অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না, মনের মতো চাকরি মেলে, পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে, কোনও ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কমে এবং মনের জোড় এতটা বেড়ে যায় যে জীবনে পথে চলতে চলতে সামনে আসা যে কোনও বাঁধা পেরতে সময়ই লাগে না। প্রসঙ্গত, টানা ২১ টা মঙ্গলবার এইভাবে উপোস করে যদি হনুমানজির আরাধনা করা যায়, তাহলে জীবনের ছবিটা বদলে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মঙ্গল গ্রহের প্রভাবে কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কাও যায় কমে। ছবি: সংগৃহীত ৷
advertisement
advertisement
৬. মঙ্গলবার বিয়ে, নৈব নৈব চ! যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে মঙ্গলবার কিন্তু মোটেও শুভ দিন নয়। তাই তো এদিন কোনও শুভ কাজ করতে মানা করা হয়, বিশেষত এই দিন বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করাও একেবারে উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে বৈবাহিক জীবনে নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভাল যে শাস্ত্র মতে সোম, বুধ এবং শুক্রবার হল বিবাহের জন্য় সবথেকে আদর্শ দিন। ছবি: সংগৃহীত ৷