দেখে চমকে যাবেন! বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম এখন ভারতে! শেষ কোথায় বুঝে ওঠা দায়! জানেন কোথায়?

Last Updated:
এটি প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি প্রকল্প। এটি বেশিরভাগ অলিম্পিক রানিং ট্র্যাকের চেয়েও দীর্ঘ। এর আধুনিক নকশা যাত্রীদের জন্য আরও ভাল সুযোগ-সুবিধা এবং উন্নত ট্রেন পরিচালনার সুবিধা এনে দিয়েছে, যাতে ট্রেনের আসা এবং যাওয়া মসৃণ হয়। এই নকশাটি বস্তুত ভারতের আধুনিক ও উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন রেলপথের দিকে বর্তমান পদক্ষেপের একটি সূচক।
1/7
*প্রসঙ্গত চলছে পুজোর মরশুম। এই সময় ভ্রমণপিপাসু বাঙালিরা পুজোর ছুটি কাটাতে উত্তর থেকে দক্ষিণ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যান। তবে সেখানে ঘুরতে যেতে হয়রানির শিকার হতে হয় শুধুমাত্র টিকিটের কারণে। টিকিট কনফার্ম হওয়ার না কারণে ভ্রমণ অধরা থেকে যায়। তাই এবার যাত্রী স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত দক্ষিণ পূর্ব রেলের বলে জানিয়েছেন রেলের এক জনসংযোগ আধিকারিক।
রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম যে দীর্ঘ হয়, সে বিষয়ে কেউ সন্দেহ প্রকাশ করবেন না। একটা রেল স্টেশনের এক মাথা থেকে অন্য মাথা পর্যন্ত হেঁটে যেতে যে সময় লাগে, সেটাই এর সুবিশাল দৈর্ঘ্য সম্পর্কে সব জল্পনার অবসান ঘটায়।
advertisement
2/7
*স্বাভাবিকভাবে অক্টোবর এবং নভেম্বর হাতে প্রায় দেড় মাসের সময়। দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফে সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল-সহ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানান হয়েছে, এই পুজো স্পেশ্যাল ট্রেনের সম্পর্কে। তাই যদি ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন এখনই টিকিট কাটুন আর ঘুরে দেখুন আপনার পছন্দের জায়গা।
দৌড়ে দৌড়ে ট্রেন ধরতে হলে তো আর কথাই নেই, তখন ব্যাপারটা একেবারে মর্মে মর্মে উপলব্ধি করা যায়। তবে, সব রেল স্টেশন এক মাপের হয় না, সেখানেও ছোট-বড় তফাত থাকে। এই জায়গায় এসে প্রশ্ন উঠবেই, তাহলে বিশ্বে সবচেয়ে দীর্ঘ রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম কোনটা! অনেকেই জানেন না যে তা রয়েছে আমাদেরই দেশে।
advertisement
3/7
*রেলের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ০৮৬১১ সাঁতরাগাছি-আজমির পুজো স্পেশ্যাল ট্রেন ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতি সোমবার চালান হবে। একইভাবে ইটাওয়ারি-শালিমার পুজো স্পেশাল ট্রেন প্রতি সোমবার চালান হবে। একইভাবে মালদহ টাউন-দিঘা, শালিমার-পাটনা, রাঁচি-গোরখপুর, সাঁতরাগাছি-তিরুবনন্তপুরম, শালিমার-চেন্নাই, রাঁচি-আজমির, জয়নগর-রাঁচি টাটানগর-বক্সার, রাঁচি-কামাক্ষা, সাঁতরাগাছি-বেঙ্গালুরু, এবং সাঁতরাগাছি-বিশাখাপত্তনম রুটি আপ এন্ড ডাউন পুজো স্পেশাল ট্রেন চালান হবে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে শাখা তরফে।
ভারতের রেল ব্যবস্থা সম্প্রতি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলকে পৌঁছেছে, যেখানে কর্নাটকের হুব্বালি জংশনকে বিশ্বের দীর্ঘতম রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রী সিদ্ধারুদ্ধ স্বামীজি হুব্বালি জংশন এখন প্রায় ১,৫০৭ মিটার জুড়ে বিস্তৃত, যা রেলের ইতিহাস অনুসারে এটিকে সর্ববৃহৎ ঘোষিত করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পাইয়ে দিয়েছে।
advertisement
4/7
*এই নতুন সংযোগটি চিনের কুনমিং শহরকে সরাসরি লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়েনের সঙ্গে সংযুক্ত করে। এই নতুন রুটটি এখন বিশ্বব্যাপী ভ্রমণকারীদের বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেন যাত্রা শুরু করার একটি অনন্য এবং উত্তেজনাপূর্ণ সুযোগ প্রদান করে, যা তাদের এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে নিয়ে যায়।
বিশাল দৈর্ঘ্যের কারণে এখানে দুটি দীর্ঘ ট্রেন একই সঙ্গে থামতে পারে এবং একে অপরের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপও তারা করে না। এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যটি কেবল যাত্রীদের সুবিধাই বাড়ায় না, বরং ট্রেনের সময়সূচিও উন্নত করে। দক্ষিণ পশ্চিম রেলওয়ের ইয়ার্ড পুনর্নির্মাণ কাজের অংশ হিসাবে প্ল্যাটফর্মটি নির্মিত হয়েছিল এবং এটি ভারতের ব্যস্ততম জংশনগুলির মধ্যে কার্যক্রম সহজ করার জন্য নির্মিত হয়েছিল, যা বেঙ্গালুরু, মুম্বাই, গয়া এবং হায়দরাবাদের সঙ্গে প্রধান রুটগুলিকে সংযুক্ত করে।
advertisement
5/7
 এটি প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি প্রকল্প। এটি বেশিরভাগ অলিম্পিক রানিং ট্র্যাকের চেয়েও দীর্ঘ। এর আধুনিক নকশা যাত্রীদের জন্য আরও ভাল সুযোগ-সুবিধা এবং উন্নত ট্রেন পরিচালনার সুবিধা এনে দিয়েছে, যাতে ট্রেনের আসা এবং যাওয়া মসৃণ হয়। এই নকশাটি বস্তুত ভারতের আধুনিক ও উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন রেলপথের দিকে বর্তমান পদক্ষেপের একটি সূচক।
এটি প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি প্রকল্প। এটি বেশিরভাগ অলিম্পিক রানিং ট্র্যাকের চেয়েও দীর্ঘ। এর আধুনিক নকশা যাত্রীদের জন্য আরও ভাল সুযোগ-সুবিধা এবং উন্নত ট্রেন পরিচালনার সুবিধা এনে দিয়েছে, যাতে ট্রেনের আসা এবং যাওয়া মসৃণ হয়। এই নকশাটি বস্তুত ভারতের আধুনিক ও উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন রেলপথের দিকে বর্তমান পদক্ষেপের একটি সূচক।
advertisement
6/7
আসলে যা দেখা গেল তা যে আপনি প্রথমবার দেখছেন তা হয়ত মনে হবে না। কারণ এমন দৃশ্য প্রায়ই দেখা যায় ট্রেন স্টেশনগুলোতে। ট্রেন ধরার জন্য ট্রেনের পিছন পিছন ছুটতে থাকেন মানুষ।
হুব্বালি জংশন ভারতীয় রেলওয়ের দক্ষতারও প্রতিফলন। এটি যানজট কমিয়ে এবং একই সঙ্গে দীর্ঘ ট্রেনগুলিকে বার্থে পৌঁছানোর সুযোগ করে দিয়ে দক্ষিণ ও পশ্চিম রুটে ভ্রমণের প্রবাহকে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করে।
advertisement
7/7
খড়গপুর: রবিবার, অফিস ছুটি। সকলের প্রায় অফ ডে। তবে এটা ভেবে ভুল করবেন না। রেলের কিন্তু ছুটি নেই। ট্রেনে যাতায়াত করতে গেলে আপনাকে কাটতে হবে টিকিট। নয়তো আপনার সামনে দাঁড়িয়ে আছে বিপদ। বিনা টিকটেই যাত্রা করলে এবার গুনতে হবে গাঁটের কড়ি। তাই সপ্তাহের ছটা দিন টিকিট কাটলেও আরেকটি দিন অবশ্যই টিকিট কেটে যাত্রা করবেন। Photo- Representative 
২০২৩ সাল থেকেই নতুন প্ল্যাটফর্মটি ভারতে রেল-সম্পর্কিত প্রকৌশল এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে ক্রমবর্ধমান দক্ষতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। এখন এটি কেবল একটি বিশ্ব রেকর্ড নয়, এটি ভ্রমণ অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যতের পরিবহন ব্যবস্থা তৈরিতে দেশের দক্ষতারও প্রতীক।
advertisement
advertisement
advertisement