Bride Groom Viral News: ফুলশয্যার রাত কাটতেই সর্বনাশ! নববিবাহিতা স্ত্রী হয়ে গেল...! বিয়ের ২ দিন পর যা জানতে পারল যুবক, জানলে পায়ের তলার মাটি সরে যাবে

সিওয়ান জেলার মুফাসসিল থানা এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। বিয়ের দুই দিন পর এক যুবক জানতে পারে যে তার নববিবাহিতা স্ত্রী একজন রূপান্তরকামী। এই ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রথমে পঞ্চায়েত অনুষ্ঠিত হয়, তারপর উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন, যাদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।

১১ জুন লাকদি গ্রামের এক মেয়ের বিয়ে হয়েছিল সিওয়ানের এক যুবকের সঙ্গে। বিয়ের পরের দিনই কনে তার শ্বশুরবাড়িতে আসে, কিন্তু দুই দিন পর ছেলেটি জানতে পারে যে তার স্ত্রী একজন রূপান্তরকামী। এরপর মেয়েটিকে তার বাপের বাড়িতে পাঠানো হয়। এই ঘটনার বিষয়ে দু'বার পঞ্চায়েত ডাকা হয়েছিল, যেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে উভয় পক্ষই একে অপরকে দেওয়া জিনিসপত্র ফেরত দেবে।

টাকা নিয়ে বিষয়টিতে জট বাঁধে এবং পঞ্চায়েতের পর সহিংসতা শুরু হয়। মেয়ের বাবা এবং নেতা জানিয়েছেন যে এক মাস পরেও ছেলের পরিবার যৌতুকের জন্য দেওয়া টাকা এবং জিনিসপত্র ফেরত দেয়নি। এই বিষয়ে ১৬ জুলাই আরেকটি পঞ্চায়েত হয়। ছেলের পরিবার জানিয়েছে যে বিয়ের সমস্ত টাকা খরচ হয়ে গেছে, ফেরত দিতে সময় লাগবে। এরপর গভীর রাতে ছেলের পরিবার নেতার বাড়িতে পৌঁছায়, যেখানে তর্ক-বিতর্কের পর দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়। এতে প্রায় ১২ জন আহত হন।

বিতর্কের মাঝে কনে একটি বিবৃতিও দেন। তিনি বলেছেন যে তিনি তার পরিচয় সম্পর্কে সচেতন ছিলেন এবং এমনকি তিনি বিয়ে করতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার বাবা তাকে জোর করে বিয়ে দিয়েছিলেন। এই পুরো বিতর্কে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন এবং আহত হয়েছেন।

ছেলেটির মা জানান, যে ১১ জুন খুব ধুমধামের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ছেলের, কিন্তু বিয়ের ঠিক রাতেই ছেলে সত্যিটা জানতে পারে। লজ্জার কারণে ছেলে দুই দিন কাউকে কিছু বলেনি। অবশেষে, ১৫ জুন, সে তার মাকে জানায় যে কনে একজন রূপান্তরকামী। এরপরে নেতা এবং মেয়েটির বাবাকে ডেকে মেয়েটিকে তার বাপের বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়।

ছেলেটির কাকা জানান, পঞ্চায়েতের পরেও যখন বিষয়টির সমাধান না হয়, তখন নেতা ছেলেটিকে ডেকে তার ছোট বোনের সঙ্গে বিয়ে দিতে বাধ্য করেন। ছেলেটি অস্বীকৃতি জানালে, তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়, যার ফলে তার হাতের রগ কেটে যায়। তাকে উদ্ধার করতে আসা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও লাঠি দিয়ে পেটানো হয়।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ মুফাসসিল থানার ইনচার্জ অশোক দাস বলেন, উভয় পক্ষের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে এখন পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।