নিজের সন্তানদের জন্য মাত্র ১% সম্পত্তি রেখে বাকি সবটাই বিলিয়ে দিচ্ছেন বিল গেটস! কারা পাচ্ছেন এই বিপুল সম্পদ?

Last Updated:
এই বছর ২৫ বছর পূর্তি হতে চলেছে এই সংস্থার। সেই অনুষ্ঠানে থেকেই বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন বিল গেটস। আর সেখানে বক্তৃতা দিতে গিয়েই তিনি নিজের সম্পত্তি বিলিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এরপরেই শোরগোল পড়ে যায় বিশ্বজুড়ে।
1/10
 সালটা ১৯৯৫ প্রথমবার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির শিরোপা পান তিনি। এরপর টানা ১৮ বছর তাঁকে প্রথম স্থান থেকে কেউই সরাতে পারেননি।
সালটা ১৯৯৫ প্রথমবার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির শিরোপা পান তিনি। এরপর টানা ১৮ বছর তাঁকে প্রথম স্থান থেকে কেউই সরাতে পারেননি।
advertisement
2/10
 মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকে প্রোগ্রামিংয়ের পথ থেকে যাত্রা শুরু করেন বিল গেটস। কিন্তু, বর্তমানে নিজের সমস্ত সম্পত্তি বিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। মাইক্রোসফট সংস্থার অন্যতম কর্ণধার বিল গেটসের এমন সিদ্ধান্তে অবাক গোটা বিশ্ব।
মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকে প্রোগ্রামিংয়ের পথ থেকে যাত্রা শুরু করেন বিল গেটস। কিন্তু, বর্তমানে নিজের সমস্ত সম্পত্তি বিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। মাইক্রোসফট সংস্থার অন্যতম কর্ণধার বিল গেটসের এমন সিদ্ধান্তে অবাক গোটা বিশ্ব।
advertisement
3/10
গেটস যে এই কথাটি বলছেন তা নয়, এর আগেও তিনি এই বার্তা দিয়েছিলেন। ২০২৩ সালে, যখন ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করছিল, তখন তিনি বলেছিলেন যে একটি নতুন নিয়ম
উইলিয়াম হেনরি গেটস থার্ড। ১৯৫৫ সালের ২৮ অক্টোবর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে জন্মগ্রহণ করেন বিশ্বের এই সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি। ছোট থেকেই কম্পিউটার নিয়ে আগ্রহ ছিল তাঁর। সফটওয়্যার কী ভাবে কাজ করে, নতুন কিছু আবিষ্কার করার দিকে বরাবরই ঝোঁক ছিল তাঁর। মাত্র ১৩ বছর থেকেই কম্পিউটারের প্রোগ্রামিংয়ের বিষয় নাড়াচাড়া করতে শুরু করেন তিনি।
advertisement
4/10
 সিয়াটেলের লেকসাইড স্কুলের ছাত্র ছিলেন বিল। ১৯৭৩ সালে গণিত এবং কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশুনা শুরু করেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কিন্তু, মাঝপথেই পড়াশুনা ছেড়ে দেন তিনি। নতুন কিছু আবিষ্কারের তাগিদে মাঝেই পড়াশুনা ছেড়ে দেন।
সিয়াটেলের লেকসাইড স্কুলের ছাত্র ছিলেন বিল। ১৯৭৩ সালে গণিত এবং কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশুনা শুরু করেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কিন্তু, মাঝপথেই পড়াশুনা ছেড়ে দেন তিনি। নতুন কিছু আবিষ্কারের তাগিদে মাঝেই পড়াশুনা ছেড়ে দেন।
advertisement
5/10
জানা গেছে, মাইক্রোসফ্ট বর্তমানে ১৯০টিরও বেশি দেশে তাদের কার্যক্রম চালায়। ক্লাউড কম্পিউটিং, এআই, সাইবার সিকিউরিটি, সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ক্ষেত্রে কোম্পানিটি বিশ্বজুড়ে শীর্ষস্থানীয়। উইন্ডোজ, অফিস, এজ প্রভৃতি পণ্যে তারা বিশ্বব্যাপী পরিচিত।
স্কুলে পড়ার সময়ের বন্ধু পল অ্যালেনকে নিয়ে বিভিন্ন সফটওয়্যার তৈরি কাজে লেগে পড়েন তিনি। প্রথমে তিনি ট্রাফ-ও-ডেটা নামে এক সফটওয়্যার তৈরি করেছিলেন। এই সফটওয়্যারের কাজ ছিল গাড়ির ট্র্যাফিক ডেটা বিশ্লেষণ করা। কিন্তু, এই সফটওয়্যারের তেমন সাড়া পাননি তিনি।
advertisement
6/10
২৫ বছর আগে পাকিস্তানে মাইক্রোসফ্ট যাত্রা শুরু করে। সেই সময় জাওয়াদ রহমান এই প্রতিষ্ঠানের চালু হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি মাইক্রোসফ্ট পাকিস্তানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত।
এরপরে সম্পূর্ণ সময় মাইক্রোসফট তৈরির কাজে লেগে যান তিনি। ১৯৭৫ সালে মাইক্রোসফট সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। সেই সময় ভারতীয় মুদ্রায় দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে শুরু হয় মাইক্রোসফটের পথচলা। সেখান থেকে এখন এই সংস্থার বার্ষিক আয় কয়েকশ কোটি টাকা। বর্তমানে ২০ হাজার কোটি ডলারের মালিক গেটস। কিন্তু, এত টাকা নিজের কাছে রাখতে একদমই নারাজ গেটস।
advertisement
7/10
 ১৯৯৪ সালে মাইক্রোসফটেরই প্রোডাক্ট ম্যানেজার মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন গেটস। ২০২১ সালে ২৭ বছরের দাম্পত্য জীবনে ইতি টানেন তাঁরা। তাঁদের মোট তিন সন্তান রয়েছে। বড় সন্তান জেনিফার একজন প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক। একমাত্র পুত্র ররি ইন্সটিটিউট অফ ওয়ার্ল্ড পলিটিক্সে পিএইচডি করছেন। সবথেকে ছোট সন্তান সদ্য স্নাতক হয়েছেন।
১৯৯৪ সালে মাইক্রোসফটেরই প্রোডাক্ট ম্যানেজার মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন গেটস। ২০২১ সালে ২৭ বছরের দাম্পত্য জীবনে ইতি টানেন তাঁরা। তাঁদের মোট তিন সন্তান রয়েছে। বড় সন্তান জেনিফার একজন প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক। একমাত্র পুত্র ররি ইন্সটিটিউট অফ ওয়ার্ল্ড পলিটিক্সে পিএইচডি করছেন। সবথেকে ছোট সন্তান সদ্য স্নাতক হয়েছেন।
advertisement
8/10
মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের ভবিষ্যদ্বাণীতে বিপ্লব দেখছেন কর্মরতরা৷ গেটস বলেছেন, ‘‘আমাদের কাজ করার পদ্ধতিতে নাটকীয় পরিবর্তন আসতে মাত্র এক দশক সময় লাগতে পারে।’’ দ্য টুনাইট শো উইথ জিমি ফ্যালনে বক্তব্য রাখার সময় গেটস বলেন, তিনি আশা করেন যে দশ বছরের মধ্যে, মানুষকে সপ্তাহে মাত্র দুই বা তিন দিন কাজ করতে হবে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্রুত অগ্রগতির জন্য ধন্যবাদ।
২০০০ সালে একটি সংস্থার প্রতিষ্ঠা করেন, 'বিল গেটস এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন'। মূলত স্বাস্থ্য উন্নয়ন ম্যালেরিয়া, পোলিও, এইচআইভি-সহ একাধিক দুরারোগ্য ব্যধি রোগ রোধের জন্য কাজ করে। এছাড়াও, এশিয়া এবং আফ্রিকার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করে এই সংস্থা।
advertisement
9/10
 এই বছর ২৫ বছর পূর্তি হতে চলেছে এই সংস্থার। সেই অনুষ্ঠানে থেকেই বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন বিল গেটস। আর সেখানে বক্তৃতা দিতে গিয়েই তিনি নিজের সম্পত্তি বিলিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এরপরেই শোরগোল পড়ে যায় বিশ্বজুড়ে।
এই বছর ২৫ বছর পূর্তি হতে চলেছে এই সংস্থার। সেই অনুষ্ঠানে থেকেই বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন বিল গেটস। আর সেখানে বক্তৃতা দিতে গিয়েই তিনি নিজের সম্পত্তি বিলিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এরপরেই শোরগোল পড়ে যায় বিশ্বজুড়ে।
advertisement
10/10
 একটি প্রেস বিবৃতিতে গেটস জানান, নিজের সন্তানদের জন্য ১% সম্পত্তি রেখে বাকি গোটাটাই দান তহবিলে খরচ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমি সম্প্রতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে আগামী ২০ বছরের মধ্যে আমার সম্পদ দান করে দেব। সেই তহবিলের বেশির ভাগই আফ্রিকার মানুষের জন্য ব্যয় করা হবে।"
একটি প্রেস বিবৃতিতে গেটস জানান, নিজের সন্তানদের জন্য ১% সম্পত্তি রেখে বাকি গোটাটাই দান তহবিলে খরচ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমি সম্প্রতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে আগামী ২০ বছরের মধ্যে আমার সম্পদ দান করে দেব। সেই তহবিলের বেশির ভাগই আফ্রিকার মানুষের জন্য ব্যয় করা হবে।"
advertisement
advertisement
advertisement