Bamboo Amazing Facts: বাঁশ আদৌ গাছই নয়...! তাহলে এটি কী বলুন তো, চমকে যাবেন উত্তরে, বাঁশঝাড়েই এত রহস্য লুকিয়ে...!

বাঁশ যে গাছ নয় এই সত্যটা খুব কম মানুষই জানে। একটি শক্তিশালী কাণ্ড থাকা সত্ত্বেও বাঁশ প্রযুক্তিগতভাবে একটি গাছ নয়, বরং এটি এক ধরনের ঘাস। তবুও বাঁশ সম্পর্কে অনেক মজার তথ্য রয়েছে যা মানুষ জানে না।

বাঁশ সম্পর্কে লোকেরা যে সবচেয়ে জনপ্রিয় জিনিসটি জানে তা হল এটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অনেক প্রজাতির বাঁশ আছে যা এক ঘণ্টায় দেড় ইঞ্চি পর্যন্ত বড় হয়।

তবে আরও মজার বিষয় হল, এটি মাটি থেকে জন্ম নিতে অনেকটা সময় নেয় এবং মাত্র ৬০ দিনের জন্য বৃদ্ধি পায়। এর পরে এর অংশগুলি আরও শক্তিশালী হতে থাকে।

বাঁশ এমন একটি ঘাস যা নিজের ক্ষত নিজেই সারাতে পারে। বাঁশ কাটলেই নিজে নিজে তা বাড়তে শুরু করে। এর কাছাকাছি একটি ছোট ডাল কাটা হলে তার নতুন পাতা গজাতে শুরু করে। খুব বেশি কাটা হলে এটি দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

বাঁশের বৃদ্ধির হার অবিশ্বাস্য। বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন শোষণ করে দ্রুত। একটি হিসেব অনুযায়ী, যদি সঠিকভাবে চাষ করা হয়, বাঁশ প্রতি বছর ১.৭৮ টন কার্বন শোষণ করতে পারে। এর মানে হল যে বাঁশ অন্যান্য গাছের তুলনায় দশগুণ বেশি কার্বন শোষণ করে।

বাঁশের ঘন শিকড় জল ধরে রাখতে সক্ষম। ক্ষেতের জমির মাটির নীচে ক্রমবর্ধমান জল থেকে ফসল বাঁচানোর জন্য সমুদ্রতীরে অবস্থিত গ্রামগুলি ক্ষেতের কাছে বাঁশ লাগায়। বাঁশ জৈব পদার্থ ফিল্টার করতে পারে, জল প্রবাহকে ধীর করে।

বাঁশে প্রচুর পরিমাণে সিলিকেট অ্যাসিড থাকে। এটি এটিকে অস্বাভাবিকভাবে অগ্নিরোধী করে তোলে। এটি বিশ্বের সেইসব বনের জন্য উপকারী, যেখানে বারবার আগুন লেগে যায়। বনাঞ্চলে সঠিকভাবে বাঁশঝাড় রোপণ করা গেলে বনের দাবানল ছড়িয়ে পড়া রোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বাঁশের শিকড় মাটির সঙ্গে এত শক্ত হয়ে থাকে যে তারা মাটির উপরের স্তরকে খুব ভালভাবে বেঁধে রাখে। এটি মাটির ক্ষয় রোধে সাহায্য করে। বাঁশের কাণ্ডের ঘনত্ব বৃষ্টিকে সরাসরি মাটিতে পড়তে দেয় না।

বাঁশ খাওয়া হয়। এর তন্তু থেকে তৈরি ফাইবার কাপড় তৈরিতেও ব্যবহার করা যায়। যে কোনও কংক্রিটের জোর বাড়াতে ব্যবহৃত হয়।

অর্থাৎ কংক্রিটে লোহার জায়গায় এটি ব্যবহার করে একই ফলাফল অর্জন করা যেতে পারে। এর পাতা গবাদি পশুর চারণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আসবাবপত্র তৈরিতেও কাজে লাগে অনেক ক্ষেত্রে।