দুই বিবাহিতের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন, প্রত্যাখ্যাত হন, নিজেও বিয়ে করেননি আজীবন; এই রাজনীতিবিদকে চেনেন?
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Actress Love Story: গোটা দেশ যাকে ‘আম্মা’ নামে চেনে। একটা সময় অভিনয় জীবনকে বিদায় জানিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীও হন। কোটি কোটি মানুষের জীবন বদলের কারিগর তিনি। কিন্তু কানাঘুষোয় শোনা যায়, এমন দাপুটে ব্যক্তিত্বও প্রেমের কাছে অসহায় ছিলেন।
advertisement
কে এই অভিনেত্রী? তিনি জয়ললিতা। গোটা দেশ যাকে ‘আম্মা’ নামে চেনে। একটা সময় অভিনয় জীবনকে বিদায় জানিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীও হন। কোটি কোটি মানুষের জীবন বদলের কারিগর তিনি। কিন্তু কানাঘুষোয় শোনা যায়, এমন দাপুটে ব্যক্তিত্বও প্রেমের কাছে অসহায় ছিলেন। (Photo: Instagram@jayalalitha_amma)
advertisement
১৯৬৫ সালে ‘ভেনিরা আদাই’-এ অভিনয়ের মাধ্যমে সিনেমায় পা রাখেন জয়ললিতা। তাঁর নিজের জীবন ওঠাপড়ায় ভরা। ৬ বার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। জয়ললিতার অভিনয় জীবন মোটামুটি কুড়ি বছরের। শিশু শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ। ১৪০টি সিনেমায় নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্র ও রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি অভিনেতা শোভন বাবু এবং এমজি রামচন্দ্রনের সঙ্গে তাঁর প্রেম খবরের শিরোনামে উঠে আসে। (Photo: Instagram@jayalalitha_amma)
advertisement
একটি সিনেমা পার্টিতে প্রথম দক্ষিনী অভিনেতা শোভন বাবুর সঙ্গে জয়ললিতার আলাপ হয়। শোভন স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে চেন্নাইতে থাকতেন। জয়ললিতা জানতেন, শোভন বিবাহিত। কিন্তু তারপরেও প্রেমে না পড়ে থাকতে পারেননি। দুজনকে প্রায়ই একসঙ্গে দেখা যেত। সব ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু বিয়ের প্রস্তাব দিতেই বেঁকে বসেন শোভন। প্রেমের ওখানেই ইতি। (Photo: Instagram@jayalalitha_amma)
advertisement
‘ডক্টরবাবু’ ছিল শোভনের সঙ্গে জয়ললিতার প্রথম সিনেমা। এটা তাঁর অভিনয় জীবনের শেষ ছবিও। এরপরই তিনি চলচ্চিত্র জগতকে পাকাপাকিভবে বিদায় জানিয়ে রাজনীতিতে পা রাখেন এমজিআর-এর নির্দেশে। দুজনে একসঙ্গে ২৮টি হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। এমজিআরের সঙ্গে জয়ললিতার গভীর সম্পর্ক ছিল বলে শোনা যায়। জয়ললিতা তাঁকেও বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তিনিও দ্বিতীয় স্ত্রীর কারণে রাজি হননি। (Photo: Instagram@jayalalitha_amma)
advertisement
এমজিআর তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর জয়ললিতাকে রাজনীতিতে নিয়ে আসেন। এআইএডিএমকে-তে যোগ দেন অভিনেত্রী। এমজিআর-এর জন্যই দলে জয়ললিতার মর্যাদা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। দুজনের সম্পর্ক নিয়ে নানা মুখরোচক খবর ছড়াতে শুরু করে। এরপরই জয়ললিতা এমজিআরের থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। দুজনের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। (Photo: Instagram@jayalalitha_amma)
advertisement
মনোরমার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমজিআর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর জয়ললিতা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন। তাঁকে এমজিআরের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু এমজিআরের পরিবারের সদস্যরা জয়ললিতাকে হাসপাতালে যেতে দেননি। দীর্ঘ অসুস্থতার পর ১৯৮৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর প্রয়াত হন এমজিআর। শেষযাত্রায় যোগ দেন জয়ললিতা। তবে তিনিও আর কোনওদিন বিয়ে করেননি।