৫ মিনিটে শেষ হয়ে যায় ৮০০ প্রাণ! নদীতে তলিয়ে যায় আস্ত ট্রেন! দেশের ইতিহাসে সবথেকে বড় রেল দুর্ঘটনা!

Last Updated:
ভারতে রেল দুর্ঘটনায় বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু, দেশের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা কবে হয়েছিল জানেন? তা জানতে গেলে আমাদের বেশ কয়েক দশক পিছিয়ে যেতে হবে।
1/7
কী ভয়ঙ্কর সেই দুর্ঘটনা!
ভারতে রেল দুর্ঘটনায় বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু, দেশের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা কবে হয়েছিল জানেন? তা জানতে গেলে আমাদের বেশ কয়েক দশক পিছিয়ে যেতে হবে।
advertisement
2/7
 দেশের ইতিহাসে সবথেকে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮১ সালের ৬ জুন। সেই দিন বিহারের মানসী বর্তমানে (ধামারা ফুল) এবং সহস্রার মাঝে ভয়ানক এই ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঘটে। ৪১৬ ডাউন প্যাসেঞ্জার একটি ট্রেন ১ হাজার জন যাত্রী নিয়ে বর্ষার জলে ফুঁসতে থাকা বাগমতী নদীতে তলিয়ে যায়। এই ঘটনায় ৮০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
দেশের ইতিহাসে সবথেকে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮১ সালের ৬ জুন। সেই দিন বিহারের মানসী বর্তমানে (ধামারা ফুল) এবং সহস্রার মাঝে ভয়ানক এই ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঘটে। ৪১৬ ডাউন প্যাসেঞ্জার একটি ট্রেন ১ হাজার জন যাত্রী নিয়ে বর্ষার জলে ফুঁসতে থাকা বাগমতী নদীতে তলিয়ে যায়। এই ঘটনায় ৮০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
advertisement
3/7
 ওই সময় খাগড়িয়া থেকে সহস্রা যাওয়ার একমাত্র পথ ছিল এই রেলপথ। তাই ওই সময় ট্রেনে প্রবল ভিড় হয়। শুধু ট্রেনের মধ্যেই নয়। ট্রেনের উপরেও লোক ছিল। সহস্রা যাওয়ার পথে বাদলা ঘাট স্টেশন পার হওয়ার পরেই ঝড় এবং প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। এরপরেই সামনে ব্রিজ চলে আসে। ৫১ নম্বর ব্রিজ যা বাগমতি নদীর উপর অবস্থিত সেখানে আসতেই।
ওই সময় খাগড়িয়া থেকে সহস্রা যাওয়ার একমাত্র পথ ছিল এই রেলপথ। তাই ওই সময় ট্রেনে প্রবল ভিড় হয়। শুধু ট্রেনের মধ্যেই নয়। ট্রেনের উপরেও লোক ছিল। সহস্রা যাওয়ার পথে বাদলা ঘাট স্টেশন পার হওয়ার পরেই ঝড় এবং প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। এরপরেই সামনে ব্রিজ চলে আসে। ৫১ নম্বর ব্রিজ যা বাগমতি নদীর উপর অবস্থিত সেখানে আসতেই।
advertisement
4/7
 প্রবল বৃষ্টিতে রেললাইন প্রচণ্ড পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। আর সেই সময় বাগমতি নদী উপচে উঠেছিল। যদিও এত বাধা সত্ত্বেও চালক কোনওমতে সেই ট্রেনটি ব্রিজের সামনে নিয়ে যান। ব্রিজের উপরে আসতেই প্রচণ্ড জোরে ইমারজেন্সি ব্রেক চাপেন চালক। ব্রেক এতটাই জোরে চাপা হয়েছিল যে ৯ বগির মধ্যে ৭টি বগিই লাইনচ্যুত হয়ে যায়। আর এরফলে ব্রিজ ভেঙে যায়, রেলের কামরা গুলি সরাসরি নদীতে গিয়ে পড়ে। এরফলে যাত্রীরা বাঁচার জন্য চিৎকার শুরু করে দেন।
প্রবল বৃষ্টিতে রেললাইন প্রচণ্ড পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। আর সেই সময় বাগমতি নদী উপচে উঠেছিল। যদিও এত বাধা সত্ত্বেও চালক কোনওমতে সেই ট্রেনটি ব্রিজের সামনে নিয়ে যান। ব্রিজের উপরে আসতেই প্রচণ্ড জোরে ইমারজেন্সি ব্রেক চাপেন চালক। ব্রেক এতটাই জোরে চাপা হয়েছিল যে ৯ বগির মধ্যে ৭টি বগিই লাইনচ্যুত হয়ে যায়। আর এরফলে ব্রিজ ভেঙে যায়, রেলের কামরা গুলি সরাসরি নদীতে গিয়ে পড়ে। এরফলে যাত্রীরা বাঁচার জন্য চিৎকার শুরু করে দেন।
advertisement
5/7
 প্রবল বৃষ্টিপাতের জন্য উদ্ধারকাজ থমকে যায়। যতক্ষণে উদ্ধারকাজ শুরু হয় ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ততক্ষণে অনেক মানুষের সলিলসমাধি ঘটে গিয়েছে। সরকারি সূত্রে মৃতের সংখ্যা ৩০০ হলেও স্থানীয়দের মতে মৃতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। রেলের সরকারি মতে ৫০০ রেলযাত্রীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়।
প্রবল বৃষ্টিপাতের জন্য উদ্ধারকাজ থমকে যায়। যতক্ষণে উদ্ধারকাজ শুরু হয় ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ততক্ষণে অনেক মানুষের সলিলসমাধি ঘটে গিয়েছে। সরকারি সূত্রে মৃতের সংখ্যা ৩০০ হলেও স্থানীয়দের মতে মৃতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। রেলের সরকারি মতে ৫০০ রেলযাত্রীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়।
advertisement
6/7
 দু দিন ধরে টানা সন্ধান চালিয়ে ২৮৬ দেহ উদ্ধার সম্ভব হয়। কিন্তু মোট ৮০০ জন নিখোঁজ থেকে যান। ফলে মৃতের আদতে সংখ্যা কত তা আজও রহস্য। তবে সংখ্যাটা ৮০০ থেকে ২০০০ এর কাছাকাছি।
দু দিন ধরে টানা সন্ধান চালিয়ে ২৮৬ দেহ উদ্ধার সম্ভব হয়। কিন্তু মোট ৮০০ জন নিখোঁজ থেকে যান। ফলে মৃতের আদতে সংখ্যা কত তা আজও রহস্য। তবে সংখ্যাটা ৮০০ থেকে ২০০০ এর কাছাকাছি।
advertisement
7/7
 এই দুর্ঘটনা নিয়ে নানান তত্ত্বও সামনে আসতে শুরু করে, এক তত্ত্বে যেমন বলা হয় ওই ব্রিজের আগে এক দল গরু এবং মোষের দল চলে আসে ফলে চালক জোরে ব্রেক কষেন এবং তার ফলেই এই দুর্ঘটনা।
এই দুর্ঘটনা নিয়ে নানান তত্ত্বও সামনে আসতে শুরু করে, এক তত্ত্বে যেমন বলা হয় ওই ব্রিজের আগে এক দল গরু এবং মোষের দল চলে আসে ফলে চালক জোরে ব্রেক কষেন এবং তার ফলেই এই দুর্ঘটনা।
advertisement
advertisement
advertisement