কার্শিয়ং : গরম পড়তেই জল যন্ত্রণায় কার্শিয়ং মহকুমার তিনধরিয়া, রংটং, গয়াবাড়ি, পাগলাঝোড়ার বাসিন্দারা। এক ফোঁটা জলের জন্যে হা পিত্যেস হয়ে বসে থাকতে হচ্ছে এখানকার মানুষদের। এই জলেই তাদের যাবতীয় সবকিছু। ঘুম থেকে উঠে মুখ ধোওয়া থেকে স্নান, বাসনপত্র থেকে জামাকাপড় ধোওয়া। আর এদিয়েই জলপান! এখন এই জল সমস্যায় ভুগছে কার্শিয়ং মহকুমার কয়েক হাজার পরিবার।
একেই পারদ চড়ছে হু হু করে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জল সংকট। ভরসা বলতে মহানদীর ঝোড়া বা সেলিমহিল চা বাগানের জলের ট্যাঙ্ক। জল পড়ে চুঁইয়ে চুঁইয়ে। তা ড্রামে সংরক্ষন করে দিনভর চলা। আর তাই বাড়ির সামনেই ওরা নিজেরাই বসিয়েছে ট্যাঙ্ক। পাইপ দিয়ে সেই ট্যাঙ্কে জল ভরা থাকলে অন্তত বেশ কয়েকটি পরিবারের অনায়াসে চলে যাওয়া।
জল আনতে পাহাড়ি পথে ছুটতে হয় কয়েক কিলোমিটার। তারপর কাঁধে করে চড়াই উতরাই পথ ধরে ঘরে পৌঁছয় পানীয় জল। এ যেন ওদের কাছে নিত্য রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কি বলছেন স্থানীয়রা? স্থানীয় বাসিন্দা ববিতা ছেত্রী, চিত্রা কর্মকার, যশিন্তা বেকরা বলেন, ভোট আসে ভোট যায়। প্রতিশ্রুতি কানে বাজে। কিন্তু জলকষ্ট সেই তিমিরেই। ওঁদের দাবি, অনেক কাল তো হল, এবারে অন্তত জিটিএ বা স্থানীয় জেলা প্রশাসন মুখ তুলে দেখুক। কেননা কিলোমিটারের পর কিলোমিটার আসা পাইপে সামান্য ঝড়-ঝঞ্জাট এলেই বিপত্তি বাড়ে। ফেঁটে যায় সরবরাহকারী পাইপ। তা সংস্কার করেন স্থানীয়রাই। ঝোড়ার জলে পেটের অসুখও ওদের নিত্যসঙ্গী। তাই দাবী, পরিশ্রুত পানীয় জল পরিষেবা।
কি বলছে প্রশাসন? জিটিএর চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপার দাবি, দ্রুত এই সমস্যা মিটবে। পিএইচই কাজ শুরু করেছে।দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তাও পানীয় জলের হাহাকার নিয়ে একাধিকবার সংসদে সরব হয়েছেন। জীবনের অপর নাম জল। সেই সংকট থেকে কবে মুক্তি পাবে তিনধরিয়া, পাগলাঝোড়ার বাসিন্দারা। ঘরে ঘরে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছবে কবে? Input- Partha Sarkar