বাধা এ বারও সেই করোনা। তাই গত বছরের মতো এ বারেও করোনার বিধিনিষেধ মেনে টান পড়বে রথের রশিতে। কারণ মাসীর বাড়ি যেতে এ বার তিনটি আলাদা রথে নয়, একটি রথারূঢ় হবেন প্রভু জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরাম। শুধুই আচার মেনে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার পর রথের দিন সেবাইতদের ডাকে রথারূঢ় করবেন তিনজনে। রথাতিথিতে ভক্তদের মন্দিরে প্রবেশেও এবারও থাকছে নানান নিষেধাজ্ঞা। পুজোর জন্য মন্দিরে কেবল সেবাইতরাই প্রবেশ করতে পারবেন। তবে বিকেলে দর্শনের জন্য মন্দির খোলা হবে বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ি ইস্কন মন্দির কর্তৃপক্ষ। (Image & Inputs: ভাস্কর চক্রবর্তী)
ইস্কনের জনসংযোগ আধিকারিক নাম কৃষ্ণ দাস বলেন, 'দুদিন ধরে আমাদের প্রস্তুতি চলছে। ১২ জুলাই ভগবান জগন্নাথ দেবের রথ। সকাল ১১ টায় উদযাপিত হবে। প্রতিবারের মতো শাস্ত্রমতে আমরা পালন করব এই উৎসব। এর সঙ্গে আরেকটা জিনিস জুড়েছে। তা হল, করোনার স্বাস্থ্যবিধি। ইস্কন মন্দিরের আবাসিক, সাধু, বিশেষ প্রশাসনিক কর্তা ও সংবাদ মাধ্যমের উপস্থিতিতেই আমরা রথযাত্রা সম্পন্ন করব। করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণদের বাড়িতে বসেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায় রথযাত্রা দেখতে হবে। করোনার বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই ইস্কন মন্দির কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'(Image & Inputs: ভাস্কর চক্রবর্তী)
নিয়মে কোনও বিশেষ পরিবর্তন এসেছে কিনা? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'তিনটে আলাদা রথে ভাইবোনেরা যেতেন। আমরা এবার একটি রথ রাখছি। একটি রথেই তিন ভাইবোন বিরাজ করবেন। শহরের উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্তা রাজপথ ঝাঁটা দিয়ে পরিষ্কার করে, নারকেল ফাটিয়ে, মন্ত্র উচ্চারণ করে এই যাত্রার শুভারম্ভ করবেন। তারপর ভক্তরা রথটি টেনে নিয়ে যাবে। এই নিয়মের কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। শুধু আমরা চাইছি না, জনসাধারণ বাইরে বেরিয়ে অংশগ্রহণ করুক।'(Image & Inputs: ভাস্কর চক্রবর্তী)