Sikkim Flash Flood: ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত সিকিম! জোরকদমে চলছে লাইফ লাইন তৈরির কাজ, কবে থেকে খুলবে রাস্তা?
- Published by:Riya Das
- news18 bangla
- Written by:SOMRAJ BANDOPADHYAY
Last Updated:
Sikkim Flash Flood: শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাওয়ার জন্য ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের রাজ্যের মধ্যে থাকা ২২ কিলোমিটারের মেরামতির কাজ চলছে জোর কদমে। পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের আশা, আগামী সাত দিনের মধ্যেই একমুখী যান চলাচল করানো সম্ভব।
advertisement
গত সপ্তাহ এই সিকিমে মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়েছে শিলিগুড়ি - সিকিম যাওয়ার জন্য লাইফ লাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। রাস্তার একাধিক জায়গা ভেঙে চুরমার হয়েছে। শুধু তাই নয় কয়েকটি অংশে রাস্তার চিহ্ন পর্যন্ত নেই। সেই মেরামতি কিভাবে সম্ভব তা নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা করেছেন পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে রাস্তার মেরামতির কাজ। নজরদারির দায়িত্বে রয়েছেন খোদ পূর্ত দপ্তরের সচিব। ইঞ্জিনিয়ারদের মতে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জাতীয় সড়কের একাধিক অংশ তাতে গোটা রাস্তা মেরামতির জন্য কমপক্ষে সময় লেগে যাবে প্রায় এক মাসের কাছাকাছি।
advertisement
যদিও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে গোটা রাস্তা মেরামতির কাজ করছে রাজ্যের পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা বিভিন্ন এজেন্সির সহযোগিতায়।মতামত নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞদেরও। ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে বেশ কয়েকবার রাজ্যের পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। নবান্ন চাইছে যত দ্রুত সম্ভব এই রাস্তার মেরামতি করতে। সামনেই পুজো, ইতোমধ্যেই যেসব পর্যটকরা গ্যাংটকে বা সিকিমে আটকে পড়েছিলেন তাদেরকে ঘুর পথে নামতে হচ্ছে। তার জন্য পর্যটকদের সিকিম থেকে শিলিগুড়ি ফিরতে সময় ৮থেকে ৯ ঘন্টা লাগছে।
advertisement
তবে পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের মতে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক মেরামতি করা হলেও আপাতত শুধুমাত্র ছোট গাড়ি চালানো যাবে।মালবাহী গাড়ি বা পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াত করার পক্ষে উপযোগী হবে না প্রাথমিকভাবে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই জিটিএ প্রধান অনিতা থাপাকে মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্য সচিব ফোন করে জানিয়েছেন কালিম্পংয়ের ক্ষয়ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাথমিকভাবে রাজ্য সরকার ২৪ কোটি টাকা দেবে।
advertisement
শুক্রবারই প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত কালিম্পং এর ক্ষয়ক্ষতি পূরণ সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জিটিএ প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। সেই বৈঠকের পর অবশ্য জিটিএ প্রধান প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সিকিম সরকারকে ৪৪ কোটি টাকারও বেশি টাকা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য দিলেও কালিম্পংকে কেন দেওয়া হবে না? মূলত জিটিএ প্রধান বরাদ্দ বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হন।
advertisement
যদিও গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিটিএ প্রধানকে ফোন করে ২৪ কোটি টাকা দেওয়ার কথা প্রাথমিকভাবে জানান। তবে রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হলেও ধীরে ধীরে কালিম্পং এর অন্যান্য অংশেও বিপর্যস্ত পরিষেবা স্বাভাবিক করতে তৎপর হয়েছে নবান্ন। রাজ্যের কয়েকটি দফতরের সচিবদেরও পাঠানো হয়েছে ইতিমধ্যেই পাহাড়ে। শনিবার এসে পৌঁছাচ্ছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। সব মিলিয়ে পুজোর আগে কালিম্পং একাংশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করাই এখন চ্যালেঞ্জ নবান্নের কাছে।