Chandrayaan 2: চাঁদের মাটিতে দাঁড়াবে বিক্রম, NASA-র সাহায্য কী নেবে ইসরো ?
Last Updated:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অবতরণই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যা ঠিক মতো না হলে বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগও করা যাবে না। তা কাজেও আসবে না।
রবিবারই অরবিটরের তোলা থার্মাল ইমেজে জানা গিয়েছিল, চাঁদের বুকেই রয়েছে চন্দ্রযান ২ এর ল্যান্ডার বিক্রম। সোমবার জানানো হয়, অক্ষত অবস্থাতেই চাঁদের জমিতে আছে বিক্রম। কীভাবে চাঁদের জমিতে নেমেছে বিক্রম, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, বিক্রমের কোনও ক্ষতি হয়নি। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে ইসরো। তবে পরিকল্পনা মতো বিক্রম কাজ শুরু করতে পারবে কিনা, তা স্পষ্ট নয় এখনও। তবে বিক্রমের খোঁজ মেলায় নতুন করে আশায় ইসরো।
advertisement
advertisement
কীভাবে ল্যান্ড করেছে সেটা ভাইটাল। সমতলের উপর চারটি পা যদি না থাকে, যদি বেঁকে ল্যান্ড করে তা হলে কতটা কাজ করতে পারবে সেটা চিন্তার বিষয় ৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিক্রম যদি ঠিক মতো চাঁদের জমিতে না নামে, তা হলে প্রজ্ঞানের বের হওয়ার জন্য দরজাই খুলবে না। যেমন আলমারির ক্ষেত্রে হয়। একদিক হেলে থাকলে অনেক সময় দরজা খোলে না ৷
advertisement
জানা গিয়েছে, বিক্রমের হার্ড ল্যান্ডিং হয়েছে ৷ কিন্তু তারপরও অক্ষত রয়েছে ৷ তবে একদিকে ঝুঁকে রয়েছে বিক্রম ৷ যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ইসরোর কাছে মাত্র ১১ দিন সময় রয়েছে ৷ এই অবস্থায় ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য নাসার সাহায্য নিতে পারে ইসরো ৷ এই বিষয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি ৷ জানা গিয়েছে, নাসার Lunar Reconnaissance Orbiter (LRO) চন্দ্রযান ২ এর থেকে চাঁদের বেশি কাছে রয়েছে ৷ ফলে এর সাহায্যে বেশি তথ্য পাওয়া সম্ভব ৷ LRO এর মাধ্যমে চাঁদের ৩ডি ছবি পাওয়া সম্ভব ৷ নাসা থেকে সাহায্য নিলে বিক্রমের বর্তমানে ঠিক কোনও জায়গায় রয়েছে তা জানা যাবে ৷ এর আগেও ইসরো LRO র ডেটা আংশিক ভাবে ব্যবহার করেছে ল্যান্ডিং স্পটে করেছে ৷ আপাতত অরবিটার থেকে আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছে ইসরো ৷ এরপরই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷
advertisement
চাঁদে এখন লুনার ডে চলছে যা পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান ৷ ১৪ দিনের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৩দিন শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ লুনার ডের পর চাঁদে রাত হয়ে যাবে ৷ এরপর কোনও অপারেশন সম্ভব হবে না ইসরোর পক্ষে ৷ এর জেরে শীঘ্রই বিক্রমের সঙ্গে গ্রাউন্ড স্টেশনের যোগাযোগ স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি ৷ না হলে মিশন চন্দ্রযান অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে ৷
advertisement
বিক্রমের নীচের ৫টি থ্রাস্টার্স লাগানো রয়েছে যার মাধ্যমে চাঁদে সফ্ট ল্যান্ডিং করার ছিল ৷ চারদিকে চারটি থ্রাস্টার্স রয়েছে ৷ মহাকাশে দিক নির্ধারিত করার জন্য অন করা হয় ৷ ল্যান্ডারের যে দিক ঝুঁকে রয়েছে সেদিকেও থ্রাস্টার্স রয়েছে ৷ কোনও ভাবে গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে পাঠানো সিগন্যাল ঝুঁকে থাকা দিক রিসিভ করে নেয় তাহলে ফের একবার চার পায়ে দাঁড়াতে পারবেন বিক্রম ৷ তাহলে ইসরোর মিশন চন্দ্র ফের চালু করা হবে যা আপাতত আটকে রয়েছে ৷