ভ্যাকসিন কবে জানা নেই, ৮৩% ভারতীয় কর্মচারী ভয় পাচ্ছেন অফিসে যেতে, বলছে সমীক্ষা!
- Published by:Arka Deb
- news18 bangla
Last Updated:
১০০ শতাংশ কর্মচারী নিয়ে না হলেও অলটারনেটিভ ভাবে প্রায় সব সংস্থাতেই কাজ চলছে। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষই এ ভাবে কাজে যেতে ভয় পাচ্ছেন!
চতুর্থ দফা লকডাউন থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে পরিস্থিতি। আনলক পর্যায়ে সব কিছু আরও শিথিল হয়ে এসেছে। যানবাহন পরিষেবাও বর্তমানে অনেকটা স্বাভাবিক। তাই দেশের বেশিরভাগ সংস্থাই ওয়ার্ক ফ্রম হোম তুলে ওয়ার্ক ফ্রম অফিসের নিয়ম আবার চালু করেছে। ১০০ শতাংশ কর্মচারী নিয়ে না হলেও অলটারনেটিভ ভাবে প্রায় সব সংস্থাতেই কাজ চলছে। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষই এ ভাবে কাজে যেতে ভয় পাচ্ছেন!
advertisement
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানি আটলাসিয়ান কর্পোরেশনের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, করোনার ভ্যাকসিন সম্পর্কে এখনও সে ভাবে গ্রিন সিগন্যাল না পাওয়ায় ভারতের ৮৩ শতাংশ কর্মচারী অফিসে গিয়ে কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে বাসে বা ট্রেনে করে গিয়ে অফিস করতে গেলে সংক্রমণের আশঙ্কাও এড়িয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। ফলে, তাঁদের বেশিরভাগই বাড়ি থেকে কাজ করার পক্ষেই সওয়াল করছেন।
advertisement
মার্চ থেকে হঠাৎ করে পরিস্থিতিতে যে পরিবর্তন আসে, অফিস বা কাজের পরিবেশ যে ভাবে পরিবর্তিত হয়, তাতে এখনও তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টায় রয়েছেন অনেকে। বাড়িতে হঠাৎ করে সেটআপ তৈরি করা বা বাড়ির পরিবেশে কাজের পরিবেশ তৈরি করতেও এখনও অনেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সমীক্ষা বলছে, কিন্তু তবুও ওই ৮৩ শতাংশ কর্মচারীদের বেশিরভাগই বাড়িতে থেকে কাজ করতে চাইছেন। কারণ অফিসের পরিবেশ ও কয়েকঘণ্টা পুরো নিজেকে ফর্মাল পোশাকে রাখার থেকে এটা অনেকটা আরামের বলে মনে করছে তাঁরা।
advertisement
সমীক্ষাটির রিপোর্ট Reworking Work: Understanding The Rise of Work Anywhere-এ দেখা গিয়েছে, ৭০ শতাংশেরও বেশি মানুষ করোনার আগের সময়ের থেকে পরে নিজের কর্মজীবন নিয়ে বেশি সন্তুষ্ট। আটলাসিয়ানের বেঙ্গালুরুর সাইট লিড ও হেড অফ ইঞ্জিনিয়ারিং দীনেশ আজমেরা এ বিষয়ে জানাচ্ছেন, সমীক্ষার মূল লক্ষ্য ছিল এই নিউ নর্মাল কী ভাবে কাজের পরিধি, কাজের সঙ্গে কর্মচারীদের সম্পর্ক ভবিষ্যতে পালটে ফেলছে। এখানে মানুষের সত্যিকারের কথা, তাঁরা যা চান, যে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন, তা উঠে এসেছে। এ বার এগুলিকে নিয়ে, কর্মচারীরা কী চাইছেন তার তথ্য নিয়ে সংস্থাকে কাজ করতে হবে।
advertisement
এ ক্ষেত্রে আটলাসের হয়ে পেপারজায়েন্ট নামে একটি এজেন্সি কাজ করেছে। অস্ট্রেলিয়া, জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স ও আমেরিকার বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে নিয়ে পর্যবেক্ষণ, কোয়ালিটেটিভ ও এথনোগ্রাফিক রিসার্চ মেথোডোলজি ব্যবহার করে সমীক্ষা করা হয়েছে। সমীক্ষায় ভারতের কয়েকটি শহরের ১৪২৫ জন অংশগ্রহণ করেছে। সমীক্ষাটি হয়েছে গত মাসে। দেখা গিয়েছে যে ৭৫ শতাংশ কর্মচারী মনে করছেন, করোনার পর টিম ওয়ার্ক করতে তাঁদের সুবিধে হচ্ছে। যা করোনার আগে এতটা হত-ই না। আর ৮৬ শতাংশ কর্মচারী মনে করছেন, বাড়িতে থাকলেও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যোগাযোগ অটুট রয়েছে, ফলে তাঁরা একে অপরের বেশি কাছাকাছি থেকে কাজ করছেন বলে মনে হচ্ছে!