বন্দেভারত এক্সপ্রেস চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি ছাড়াও এবার তৈরি হবে লাতুর, শোনিপথ ও রায়বেরেলীতে। বুলেট ট্রেন মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক কারণে জমি মেলেনি। এখন রাজনৈতিক স্থিতি বদল হওয়ায় সেই অনুমতি মিলেছে তাই বুলেট ট্রেনের কাজ দ্রুত হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস থেকেই দৌড় শুরু করবে হাইড্রোজেন ট্রেন।
ভারত গৌরব ট্রেন যা ট্যুরিজম সার্কিটের জন্য ধর্মীয় স্থান সংযুক্ত করে এমন ট্রেন আরও ৬'টি নতুন রুটে চলবে। ১২৭৫ স্টেশন রিডেভলপমেন্ট কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে৷
পিএম গতিশক্তি প্রকল্পে কাজ হচ্ছে। আগে আটটি বিভাগ আলাদা আলাদা কাজ করত। এখন তারা এক হয়ে প্রকল্পের কাজ করছে। এর ফলে অনুমোদন পাওয়া সহজ হয়েছে৷ বড় প্রকল্প এক মাসের মধ্যে এবং ছোট প্রকল্প কয়েকদিনের মধ্যেই চলে আসছে। এই ব্যবস্থা এবার জোনাল লেভেলেও করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে সিগন্যালিং ও রেলের পরিকাঠামোর কাজ করতে সুবিধা হবে।
অর্থমন্ত্রী জানান, বন্দেভারত এক্সপ্রেস আগে শুধু রেলের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি করা হত। এই রেলের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে৷ এবার বন্দেভারত মেট্রো তৈরি হবে। আগামী বছর সেটা আনা হবে। আগে প্রতিদিন ৪ কিমি লাইন তৈরি হত, এখন ১২ কিমি করা হচ্ছে। এটা ১৬ কিমি করা হচ্ছে৷ পরিকাঠামো বাড়ানো হচ্ছে। সুপার ক্রিটিক্যাল ও ক্রিটিক্যাল প্রজেক্ট কাজ শেষ করাই লক্ষ্য৷
কোভিড অতিমারী পরবর্তী কালে এবারের বাজেট এমনিতেই গুরুত্বপূর্ণ। সংসদে বাজেট ভাষণ পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী নিজে একে ‘অমৃতকালের প্রথম বাজেট’ বলে উল্লেখ করেছেন। প্রকৃত পক্ষে এটি নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রীত্বে দ্বিতীয় দফার সরকারের শেষ পূর্ণ বাজেট। ২০১৬ সাল থেকেই রেলের পৃথক বাজেট পেশ করার রীতি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকারই পৃথক রেল বাজেট পেশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শেষ বারের মতো পৃথক রেল বাজেট পেশ করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। বর্তমানে ভারতীয় রেলকে ঢেলে সাজাতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। বুলেট ট্রেন চালানো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন।