সাইকেল থেকে পড়ে আর উঠল না ১২ বছরের ছেলে! শোকে পাথর মা নিলেন 'বড়' সিদ্ধান্ত
- Published by:Tias Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
Bicycle Tragic Death: পড়ে যাওয়ায় সাইকেলের হ্যান্ডেল বৎসলের পেটে লাগে। প্রচণ্ড যন্ত্রণা শুরু হয়। তার অবস্থার অবনতি দেখে পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে শেষ রক্ষা হয় না। মৃত্যু হয় পড়ুয়ার।
দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১২ বছরের ছেলের। ৭ম শ্রেণির ছাত্র বৎসল রাওয়াতের এমন আকস্মিক মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যকে। তার পরেই বড় সিদ্ধান্ত বৎসলের মায়ের। কী করলেন তিনি? জানলে চমকে যাবেন।
advertisement
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর জেলার ঘটনা। অন্নপূর্ণা এলাকার সুদামা নগরের ১২ বছর বয়সি ৭ম শ্রেণীর ছাত্র বৎসল রাওয়াতকে সবাই খুব ভালবাসতেন। কীভাবে মৃত্যু হল তার? সে তার বন্ধুদের সাথে সাইকেল রেস করছিল। দৌড়ের সময় তার সাইকেলটি ভারসাম্য হারিয়ে হঠাৎ পড়ে যায়।
advertisement
পড়ে যাওয়ায় সাইকেলের হ্যান্ডেল বৎসলের পেটে লাগে। প্রচণ্ড যন্ত্রণা শুরু হয়। তার অবস্থার অবনতি দেখে পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে শেষ রক্ষা হয় না। মৃত্যু হয় পড়ুয়ার।
advertisement
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাইকেলের হ্যান্ডেলের প্রবল ধাক্কায় তার লিভারে গভীর আঘাত লেগেছে। এ কারণে তার লিভার ফেটে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনা পুরো পরিবারের জন্য একটি বড় ধাক্কা ছিল।
advertisement
এর পর বৎসলের মা একটা বড় সিদ্ধান্ত নিলেন । বৎসলের মা, যিনি একা অভিভাবক, এই ঘটনায় গভীরভাবে মুষড়ে পড়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও বৎসলের মা অত্যন্ত প্রশংসনীয় ও মানবিক পদক্ষেপ নিলেন। তিনি তার ছেলের চোখ দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
advertisement
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে, তিনি কেবল তার ছেলের মৃত্যুর পরেও অন্যদের সাহায্য করার সাহস দেখাচ্ছেন না, বরং কঠিন সময়েও ভাল কিছু করা যায় এমন উদাহরণও স্থাপন করছেন। এই সিদ্ধান্তে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই এই সাহসী মায়ের সাহস ও সংবেদনশীলতার প্রশংসা করছেন। চক্ষুদানের এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বৎসলের চোখের মাধ্যমে আরও একজনের জীবন উজ্জ্বল হয়ে উঠবে, যা হবে একটি জীবনদানকারী উপহার।