হাসিম মুসা খতম! পাক সেনাবাহিনীর কম্যান্ডো থেকে পহেলগাঁও...কীভাবে? মাথার দাম ছিল ২০ লাখ
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরে, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ মুসা সহ তিন সন্দেহভাজনের স্কেচ প্রকাশ করে এবং কার্যকর তথ্যের জন্য ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। তথ্য সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে পোস্টার ছড়িয়ে দেওয়া হয়। দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে , এই মামলায় কমপক্ষে ১৫ জন ওভারগ্রাউন্ড কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পহেলগাঁও হামলায় বড় সাফল্য৷ অপারেশন মহাদেব অভিযানে নিকেশ হামলার মাস্টারমাইন্ড সহ ৩ জঙ্গি৷ সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের দাচিগামের কাছে হারওয়ানের ঘন জঙ্গলে মুখোমুখি লড়াইয়ের ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিশেষ বাহিনীর হাতে খতম পহেলগাঁও হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হাসিম মুসা। এই মৃত্যু সাম্প্রতিক কালে কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গি নিকেশের ইতিহাসে বড়সড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে৷
advertisement
advertisement
advertisement
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিল এই হাসিম মুসা৷ সোমবারের ঘটনায় নিহত ৩ জঙ্গির মধ্যে অন্যতম৷ কে ছিল এই হাসিম মুসা?হাসিম মুসা, যিনি সুলেমান মুসা নামেও পরিচিত, এর আগে পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ (এসএসজি) এর সাথে যুক্ত ছিল৷ যা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অভিজাত কম্যান্ডো শাখা। অর্থাৎ, পাক সেনার কম্যান্ডোর শাখার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেনাকর্মী ছিল সে৷
advertisement
একাধিক গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, লস্করকে নানা ভাবে এই ভাবেই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেনা ‘উপহার’ দিয়ে থাকে পাকিস্তানের সেনা৷ যাতে তারা সমান্তরাল সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং তাদের দিয়ে ভারতে নাশকতামূলক কাজ করা চালিয়ে যেতে পারে৷ সাধারণত, একটু বেশি বয়সি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেনারাই যোগ দেয় লস্করের এই বিশেষ বিশেষ কাজগুলোতে৷
advertisement
advertisement
ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদন অনুসারে, মুসা ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর কাঠুয়া-সাম্বা সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। জম্মু ও কাশ্মীরে ঢোকার পরে, সে বুদগাম, বারামুল্লা, রাজৌরি, পুঞ্চ এবং গান্ডেরওয়ালের মতো জেলাগুলোতে সক্রিয় ছিল। গোয়েন্দা তথ্যের মূল্যায়ন এবং পহেলগাঁও হামলার পরে আটক ওভারগ্রাউন্ড কর্মীদের (OGWs) জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই তথ্য উঠে এসেছে।
advertisement
পাহেলগাঁওয়ে কাছে বৈসরন উপত্যকায় ঘুরতে যাওয়া সাধারণ নাগরিকদের উপরে গুলি চালিয়ে নির্বিচারে তাদের হত্যা করেছিল জঙ্গিরা৷ ওই জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারায় ২৬ জন৷ আক্রমণকারীরা অত্যাধুনিক M4 রাইফেল ব্যবহার করেছিল৷ এমন কৌশলে তা ব্যবহার করেছিল যা পেশাদার সামরিক প্রশিক্ষণ ছাড়া সম্ভব নয়। এখানেই মুসার পূর্ব প্রশিক্ষণের কথা সামনে আসে৷ তদন্তকারীরা পরে বুঝতে পারেন এই মুসাই পহেলগাঁও হামলার মূল পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নের পিছনে ছিল।
advertisement
২০২৪ সালের অন্তত তিনটি হামলার সাথে মুসার যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করা হয়৷ যার মধ্যে রয়েছে গান্ডেরওয়াল এবং বারামুল্লায় হামলা, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী এবং অসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করা হয়েছিল। কয়েক মাস ধরে সংগৃহীত ডিজিটাল গোয়েন্দা তথ্য এবং মানুষের থেকে জানা তথ্যের মাধ্যমে ওই অঞ্চলগুলিতে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছিল।
advertisement
পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরে, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ মুসা সহ তিন সন্দেহভাজনের স্কেচ প্রকাশ করে এবং কার্যকর তথ্যের জন্য ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। তথ্য সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে পোস্টার ছড়িয়ে দেওয়া হয়। দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে , এই মামলায় কমপক্ষে ১৫ জন ওভারগ্রাউন্ড কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।