Meerut Murder Case: মেরঠ হত্যাকাণ্ডের জের, নীল রঙের ড্রাম কিনতেই চাইছেন না কেউ! মেরঠে লাটে উঠতে বসেছে ড্রাম ব্যবসা!
- Published by:Soumendu Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
সৌরভের দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে তা নীল রঙের একটি ড্রামে ভরে দিয়েছিল মুসকান এবং সাহিল। আর তার জেরেই এখন ড্রামের ব্যবসা প্রায় উঠে যাওয়ার উপক্রম উত্তরপ্রদেশের মেরঠে।
advertisement
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মেরঠের ঘণ্টাঘর এলাকায় বেশ কিছু বড় বড় ড্রামের দোকান রয়েছে। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে সৌরভকে হত্যা করার পর ব্যবহৃত নীল ড্রামটি কেনা হয়েছিল ওই এলাকারই জলি কোঠী নামের এলাকা থেকে। প্রসঙ্গত, ঘণ্টাঘর এবং জলি কোঠী এলাকায় এইরকম প্রচুর ড্রামের দোকান রয়েছে । কিন্তু, সৌরভের এমন নৃশংস হত্যার ঘটনা সামনে আসার পর থেকে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, আগের থেকে ক্রেতার সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। লোকে এখন নীল রঙের ড্রাম কিনতে ভয় পাচ্ছেন বলেও জানান তাঁরা।
advertisement
ওই এলাকার ড্রাম ব্যবসায়ীরা জানান, ক্রেতাদের বার বার বলা হচ্ছে, সৌরভ হত্যার সঙ্গে নীল ড্রামের কোনও যোগই নেই। যারা এই নৃশংস ঘটনায় অভিযুক্ত তাঁরা জেলে। তবুও ভয় কাটছে না সাধারণ মানুষের মন থেকে। অনেক ব্যবসায়ীদের প্রশ্নে আফসোস ঝরে পড়ছে, এক ব্যবসায়ীর সটান প্রশ্ন ‘‘এখানে আমাদের অপরাধ কী? এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই নীলরঙের ড্রাম ব্যবহারে অনীহা দেখা দিচ্ছে মানুষের ফলে ব্যবসা ভীষণ মার খাচ্ছে। ক্রেতাদের বার বার বলা হলেও তাঁরা কিছুতেই বুঝতে চাইছেন না।’’
advertisement
বাড়িতে ড্রামের প্রয়োজনীয়তা মোটামুটি সকলেরই জানা। কিন্তু, এই হত্যাকাণ্ড সামনে আসার পর থেকেই ড্রাম কেনা কার্যত এড়িয়ে যাচ্ছেন গ্রাহকেরা। ব্যবসায়ীদের দাবি, এইরকম একটা হত্যাকাণ্ডই তাঁদের রুটিরুজি বন্ধ করে দিতে চলেছে। সেক্ষেত্রে ড্রাম বিক্রি করার জন্য তাঁরাও সতর্কতামূলক কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছেন। ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, ড্রাম বিক্রি করার আগে ক্রেতাদের পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখা হবে। বৈধ পরিচয়পত্র ছাড়া ড্রাম বিক্রি করা হবে না।
advertisement
advertisement
গত ৪ মার্চ মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে বুকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তাঁরই স্ত্রী মুসকান রাস্তোগি। এরপরে মুসকান ডেকে আনে তাঁর প্রেমিক সাহিল শুক্লকে। দুজনে মিলে সৌরভের দেহ ১৫ টুকরো করে তা ভরে ফেলে ৫৫০ লিটারের ওই নীল রঙের ড্রামে। এরপরে তাতে সিমেন্ট দিয়ে 'সিল' করে দেয় তাঁরা। এই নৃশংসতার পর থেকেই নীল ড্রাম ঘিরে মেরঠবাসীর মনে একটি চাপা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সেখানকার ড্রাম ব্যবসায়ীরা।