Meerut Murder Case: মেরঠ হত্যাকাণ্ডের জের, নীল রঙের ড্রাম কিনতেই চাইছেন না কেউ! মেরঠে লাটে উঠতে বসেছে ড্রাম ব্যবসা!

Last Updated:
সৌরভের দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে তা নীল রঙের একটি ড্রামে ভরে দিয়েছিল মুসকান এবং সাহিল। আর তার জেরেই এখন ড্রামের ব্যবসা প্রায় উঠে যাওয়ার উপক্রম উত্তরপ্রদেশের মেরঠে।
1/6
মেরঠে নিহত সৌরভ রাজপুত এবং তাঁর স্ত্রী মুসকান এবং তার প্রেমিক সাহিল৷
মেরঠ হত্যা মামলার ভয়াবহতা সামনে আসার পর থেকেই বারবার শিউরে উঠছে গোটা দেশ। মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতের তাঁরই স্ত্রী মুসকান এবং তাঁর প্রেমিক সাহিলের হাতে এমন নৃশংস পরিণতিতে কার্যত হতবাক আপামর দেশবাসী।
advertisement
2/6
মেরঠ কাণ্ডে কি আরও চাঞ্চল্যকর মোড় নিতে চলেছে? আজ, সোমবার মেরঠের জেলা সংশোধনাগারে মৃত মার্চেন্ট অফিসার সৌরভ চৌধুরীর স্ত্রীর একটি শারীরিক পরীক্ষার ফলাফলের উপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে৷
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মেরঠের ঘণ্টাঘর এলাকায় বেশ কিছু বড় বড় ড্রামের দোকান রয়েছে। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে সৌরভকে হত্যা করার পর ব্যবহৃত নীল ড্রামটি কেনা হয়েছিল ওই এলাকারই জলি কোঠী নামের এলাকা থেকে। প্রসঙ্গত, ঘণ্টাঘর এবং জলি কোঠী এলাকায় এইরকম প্রচুর ড্রামের দোকান রয়েছে । কিন্তু, সৌরভের এমন নৃশংস হত্যার ঘটনা সামনে আসার পর থেকে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, আগের থেকে ক্রেতার সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। লোকে এখন নীল রঙের ড্রাম কিনতে ভয় পাচ্ছেন বলেও জানান তাঁরা।
advertisement
3/6
navy-officer-murdered-meerut-wife-lover-cut-body-15-pieces-saurabh-murder-case-body-found-in-drum
ওই এলাকার ড্রাম ব্যবসায়ীরা জানান, ক্রেতাদের বার বার বলা হচ্ছে, সৌরভ হত্যার সঙ্গে নীল ড্রামের কোনও যোগই নেই। যারা এই নৃশংস ঘটনায় অভিযুক্ত তাঁরা জেলে। তবুও ভয় কাটছে না সাধারণ মানুষের মন থেকে। অনেক ব্যবসায়ীদের প্রশ্নে আফসোস ঝরে পড়ছে, এক ব্যবসায়ীর সটান প্রশ্ন ‘‘এখানে আমাদের অপরাধ কী? এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই নীলরঙের ড্রাম ব্যবহারে অনীহা দেখা দিচ্ছে মানুষের ফলে ব্যবসা ভীষণ মার খাচ্ছে। ক্রেতাদের বার বার বলা হলেও তাঁরা কিছুতেই বুঝতে চাইছেন না।’’
advertisement
4/6
 বাড়িতে ড্রামের প্রয়োজনীয়তা মোটামুটি সকলেরই জানা। কিন্তু, এই হত্যাকাণ্ড সামনে আসার পর থেকেই ড্রাম কেনা কার্যত এড়িয়ে যাচ্ছেন গ্রাহকেরা। ব্যবসায়ীদের দাবি, এইরকম একটা হত্যাকাণ্ডই তাঁদের রুটিরুজি বন্ধ করে দিতে চলেছে। সেক্ষেত্রে ড্রাম বিক্রি করার জন্য তাঁরাও সতর্কতামূলক কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছেন। ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, ড্রাম বিক্রি করার আগে ক্রেতাদের পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখা হবে। বৈধ পরিচয়পত্র ছাড়া ড্রাম বিক্রি করা হবে না।
বাড়িতে ড্রামের প্রয়োজনীয়তা মোটামুটি সকলেরই জানা। কিন্তু, এই হত্যাকাণ্ড সামনে আসার পর থেকেই ড্রাম কেনা কার্যত এড়িয়ে যাচ্ছেন গ্রাহকেরা। ব্যবসায়ীদের দাবি, এইরকম একটা হত্যাকাণ্ডই তাঁদের রুটিরুজি বন্ধ করে দিতে চলেছে। সেক্ষেত্রে ড্রাম বিক্রি করার জন্য তাঁরাও সতর্কতামূলক কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছেন। ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, ড্রাম বিক্রি করার আগে ক্রেতাদের পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখা হবে। বৈধ পরিচয়পত্র ছাড়া ড্রাম বিক্রি করা হবে না।
advertisement
5/6
হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আসক্তি, বিশ্বাসঘাতকতা এবং নির্মমতার এক ভয়াবহ কাহিনী উঠে এসেছে
এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মিম। অনেক মিমেই দেখা যাচ্ছে, ঘরে নীলরঙের ড্রাম থাকলেই তা সটান ফেলে দিয়ে আসতে। আর মেরঠে এই মিমের বাস্তবে প্রভাব পড়েছে ড্রামের ব্যবসায়।
advertisement
6/6
বেশিরভাগ সময় মুখ ঢেকেই রাখে মুসকান, আর মাদক না পাওয়ায় রীতিমতো অস্থির হয়ে উঠছে সাহিল; কারাবাসের ৬ দিন কেমন কাটল মেরঠ হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্তদের?
গত ৪ মার্চ মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে বুকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তাঁরই স্ত্রী মুসকান রাস্তোগি। এরপরে মুসকান ডেকে আনে তাঁর প্রেমিক সাহিল শুক্লকে। দুজনে মিলে সৌরভের দেহ ১৫ টুকরো করে তা ভরে ফেলে ৫৫০ লিটারের ওই নীল রঙের ড্রামে। এরপরে তাতে সিমেন্ট দিয়ে 'সিল' করে দেয় তাঁরা। এই নৃশংসতার পর থেকেই নীল ড্রাম ঘিরে মেরঠবাসীর মনে একটি চাপা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সেখানকার ড্রাম ব্যবসায়ীরা।
advertisement
advertisement
advertisement