৩ বড় Scam! টালমাটাল ভারতের অর্থনীতি! কী কী সামলেছিলেন মনমোহন? জানুন তাঁর জীবনকাহিনী

Last Updated:
Manmohan Singh Life and legacy: ড. সিং একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ। দেশের অর্থনীতি বিশেষ করে ২০০০-এর দশকে অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময়ে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন তিনি।
1/19
গত বৃহস্পতিবার দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস)-এ প্রয়াত হয়েছেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং। তিনি ভারতের ১৪-তম প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনিই প্রথম শিখ, যিনি এই পদে আসীন হয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস)-এ প্রয়াত হয়েছেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং। তিনি ভারতের ১৪-তম প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনিই প্রথম শিখ, যিনি এই পদে আসীন হয়েছিলেন।
advertisement
2/19
একটি বিবৃতি দিয়ে এইমস-এর তরফে জানানো হয় যে, গভীর দুঃখের সঙ্গে আমরা জানাতে চাই যে, ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণ হয়েছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তাঁর বার্ধক্যজনিত রোগের চিকিৎসা করা চলছিল। গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে বাড়িতেই আচমকা সংজ্ঞা হারান তিনি।
একটি বিবৃতি দিয়ে এইমস-এর তরফে জানানো হয় যে, গভীর দুঃখের সঙ্গে আমরা জানাতে চাই যে, ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণ হয়েছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তাঁর বার্ধক্যজনিত রোগের চিকিৎসা করা চলছিল। গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে বাড়িতেই আচমকা সংজ্ঞা হারান তিনি।
advertisement
3/19
সেখানেই অবিলম্বে তাঁর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। এরপর রাত ৮টা ৬ মিনিট নাগাদ তাঁকে নয়াদিল্লির এইমস-এর মেডিকেল এমার্জেন্সিতে আনা হয়। সমস্ত রকম চেষ্টা সত্ত্বেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। রাত ৯টা ৫১ মিনিট নাগাদ তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
সেখানেই অবিলম্বে তাঁর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। এরপর রাত ৮টা ৬ মিনিট নাগাদ তাঁকে নয়াদিল্লির এইমস-এর মেডিকেল এমার্জেন্সিতে আনা হয়। সমস্ত রকম চেষ্টা সত্ত্বেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। রাত ৯টা ৫১ মিনিট নাগাদ তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
advertisement
4/19
ড. সিং একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ। দেশের অর্থনীতি বিশেষ করে ২০০০-এর দশকে অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময়ে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমহা রাওয়ের অধীনে অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর যুগান্তকারী অবদানের জন্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবেন ড. মনমোহন সিং।
ড. সিং একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ। দেশের অর্থনীতি বিশেষ করে ২০০০-এর দশকে অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময়ে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমহা রাওয়ের অধীনে অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর যুগান্তকারী অবদানের জন্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবেন ড. মনমোহন সিং।
advertisement
5/19
আসলে সেই সময় তিনি অর্থনৈতিক সংস্কারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যা বিশ্বের জন্য ভারতের অর্থনীতির দ্বারকে উন্মুক্ত করেছিল। তাঁর প্রচেষ্টা উল্লেখযোগ্য ভাবে দারিদ্র্য হ্রাস করেছে এবং চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে ভারতকে বিশ্ব অর্থনৈতিক বিশিষ্টতার পথে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।
আসলে সেই সময় তিনি অর্থনৈতিক সংস্কারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যা বিশ্বের জন্য ভারতের অর্থনীতির দ্বারকে উন্মুক্ত করেছিল। তাঁর প্রচেষ্টা উল্লেখযোগ্য ভাবে দারিদ্র্য হ্রাস করেছে এবং চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে ভারতকে বিশ্ব অর্থনৈতিক বিশিষ্টতার পথে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।
advertisement
6/19
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রাজ্যসভা থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন ড. সিং। নিজের চূড়ান্ত মেয়াদে রাজস্থানের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। এর আগে সেই ১৯৯১ সাল থেকে টানা ৬ বার আপার হাউজে অসমের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই একঝলকে শুনে নেওয়া যাক, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন এবং বর্ণময় রাজনৈতিক কেরিয়ারের গল্প।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রাজ্যসভা থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন ড. সিং। নিজের চূড়ান্ত মেয়াদে রাজস্থানের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। এর আগে সেই ১৯৯১ সাল থেকে টানা ৬ বার আপার হাউজে অসমের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই একঝলকে শুনে নেওয়া যাক, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন এবং বর্ণময় রাজনৈতিক কেরিয়ারের গল্প।
advertisement
7/19
১৯৩২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর অবিভক্ত ভারতের পঞ্জাব প্রদেশের (বর্তমানে পাকিস্তানে) গাহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মনমোহন সিং৷ তাঁর মা-বাবা হলেন অমৃত কৌর এবং গুরমুখ সিং। ছোটবেলায় মায়ের মৃত্যুর পরে ঠাকুরমার কাছেই বেড়ে উঠেছিলেন তিনি। এরপর ১৯৪৭ সালে দেশভাগের কালে ড. সিংয়ের পরিবার অমৃতসরে চলে আসে।
১৯৩২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর অবিভক্ত ভারতের পঞ্জাব প্রদেশের (বর্তমানে পাকিস্তানে) গাহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মনমোহন সিং৷ তাঁর মা-বাবা হলেন অমৃত কৌর এবং গুরমুখ সিং। ছোটবেলায় মায়ের মৃত্যুর পরে ঠাকুরমার কাছেই বেড়ে উঠেছিলেন তিনি। এরপর ১৯৪৭ সালে দেশভাগের কালে ড. সিংয়ের পরিবার অমৃতসরে চলে আসে।
advertisement
8/19
পরের বছর অর্থাৎ ১৯৪৮ সালে পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজের ম্যাট্রিকুলেশন পাঠ শেষ করেন। এরপর ১৯৫২ থেকে ১৯৫৪ সালের মধ্যে ওই একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পাঠ সম্পন্ন করেন। ১৯৫৭ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইকোনমিকসে ফার্স্ট ক্লাস অনার্স ডিগ্রি পান। কেমব্রিজের পর্ব সাঙ্গ করে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন।
পরের বছর অর্থাৎ ১৯৪৮ সালে পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজের ম্যাট্রিকুলেশন পাঠ শেষ করেন। এরপর ১৯৫২ থেকে ১৯৫৪ সালের মধ্যে ওই একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পাঠ সম্পন্ন করেন। ১৯৫৭ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইকোনমিকসে ফার্স্ট ক্লাস অনার্স ডিগ্রি পান। কেমব্রিজের পর্ব সাঙ্গ করে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন।
advertisement
9/19
১৯৫৮ সালে গুরুশরণ কৌরের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ড. সিং। এই দম্পতির তিন কন্যাসন্তান - উপিন্দর, দমন এবং অমৃত। এরপর ডি. ফিলের জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পাড়ি দেন তিনি। ১৯৬২ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নাফিল্ড কলেজ থেকে ডি.ফিল সম্পূর্ণ করেন। এরপর ১৯৬৩ সালে পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৬৬ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা দিল্লি স্কুল অফ ইকোনমিকসের সম্মানিত অধ্যাপকের দায়িত্ব পান তিনি।
১৯৫৮ সালে গুরুশরণ কৌরের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ড. সিং। এই দম্পতির তিন কন্যাসন্তান - উপিন্দর, দমন এবং অমৃত। এরপর ডি. ফিলের জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পাড়ি দেন তিনি। ১৯৬২ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নাফিল্ড কলেজ থেকে ডি.ফিল সম্পূর্ণ করেন। এরপর ১৯৬৩ সালে পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৬৬ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা দিল্লি স্কুল অফ ইকোনমিকসের সম্মানিত অধ্যাপকের দায়িত্ব পান তিনি।
advertisement
10/19
১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৬৯ সালে ট্রেড এবং ডেভেলপমেন্টে রাষ্ট্রপুঞ্জের সম্মেলনে কাজ করার দায়িত্ব পান ড. সিং। এরপর ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৭১ সাল নাগাদ তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিল্লি স্কুল অফ ইকোনমিকসে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডের অধ্যাপকের দায়িত্ব পান। এরপর ১৯৭১ সালে ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রকে আর্থিক উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন ড. মনমোহন সিং।
১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৬৯ সালে ট্রেড এবং ডেভেলপমেন্টে রাষ্ট্রপুঞ্জের সম্মেলনে কাজ করার দায়িত্ব পান ড. সিং। এরপর ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৭১ সাল নাগাদ তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিল্লি স্কুল অফ ইকোনমিকসে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডের অধ্যাপকের দায়িত্ব পান। এরপর ১৯৭১ সালে ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রকে আর্থিক উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন ড. মনমোহন সিং।
advertisement
11/19
১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সাল নাগাদ অর্থ মন্ত্রকের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এরপর ১৯৭৬ সালে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানীয় অধ্যাপক এবং অর্থ মন্ত্রকের সচিব হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮০-র মধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর পদে আসীন হন ড. সিং। এরপর ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮২ সাল নাগাদ তিনি প্ল্যানিং কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর হন তিনি। ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে প্ল্যানিং কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব পান।
১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সাল নাগাদ অর্থ মন্ত্রকের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এরপর ১৯৭৬ সালে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানীয় অধ্যাপক এবং অর্থ মন্ত্রকের সচিব হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮০-র মধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর পদে আসীন হন ড. সিং। এরপর ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮২ সাল নাগাদ তিনি প্ল্যানিং কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর হন তিনি। ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে প্ল্যানিং কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব পান।
advertisement
12/19
১৯৮৭ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন ড. মনমোহন সিং। ১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে সাউথ কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পান তিনি। এরপর ১৯৯০ থেকে ১৯৯১ সালের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক বিষয়ক উপদেষ্টার পদে আসীন হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্টস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন ড. সিং। ১৯৯১ সালের জুন মাসে পিভি নরসিমহা রাও যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখন ড. মনমোহন সিংকে তিনি নিজের অর্থমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।১৯৮৭ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন ড. মনমোহন সিং। ১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে সাউথ কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পান তিনি। এরপর ১৯৯০ থেকে ১৯৯১ সালের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক বিষয়ক উপদেষ্টার পদে আসীন হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্টস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন ড. সিং। ১৯৯১ সালের জুন মাসে পিভি নরসিমহা রাও যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখন ড. মনমোহন সিংকে তিনি নিজের অর্থমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
১৯৮৭ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন ড. মনমোহন সিং। ১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে সাউথ কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পান তিনি। এরপর ১৯৯০ থেকে ১৯৯১ সালের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক বিষয়ক উপদেষ্টার পদে আসীন হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্টস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন ড. সিং। ১৯৯১ সালের জুন মাসে পিভি নরসিমহা রাও যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখন ড. মনমোহন সিংকে তিনি নিজের অর্থমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
advertisement
13/19
১৯৯১ সালে অসমের আইনসভা দ্বারা রাজ্যসভার আপার হাউজে প্রথম বার নির্বাচিত হন ড. মনমোহন সিং। এরপর ১৯৯৫, ২০০১, ২০০৭, ২০১৩ এবং ২০১৯ সালেও একই অবস্থানে পুনর্নিবার্চিত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে গুরুতর অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। সেই সময় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং উদারীকরণ প্রশস্ত করার জন্য অর্থনৈতিক সংস্কার করেছিলেন ড. মনমোহন সিং। এরপর ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল নাগাদ রাজ্যসভায় বিরোধী নেতা হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি।
১৯৯১ সালে অসমের আইনসভা দ্বারা রাজ্যসভার আপার হাউজে প্রথম বার নির্বাচিত হন ড. মনমোহন সিং। এরপর ১৯৯৫, ২০০১, ২০০৭, ২০১৩ এবং ২০১৯ সালেও একই অবস্থানে পুনর্নিবার্চিত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে গুরুতর অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। সেই সময় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং উদারীকরণ প্রশস্ত করার জন্য অর্থনৈতিক সংস্কার করেছিলেন ড. মনমোহন সিং। এরপর ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল নাগাদ রাজ্যসভায় বিরোধী নেতা হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি।
advertisement
14/19
২০০৪ সালের ২২ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন ড. মনমোহন সিং। তিনিই ছিলেন দেশের প্রথম নন-হিন্দু প্রধানমন্ত্রী। ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ সালের মেয়াদে ভারতীয় বাজারে ক্রমাগত অগ্রগতির জন্য উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন তিনি। অর্থমন্ত্রী পি. চিদম্বরমের সঙ্গে মিলে সেই সময় এমন কাজ করেছিলেন, যখন ৮ থেকে ৯ শতাংশ আর্থিক হারে ভারতীয় অর্থনীতি উর্ধ্বমুখী হয়েছিল। ২০০৫ সালে ন্যাশনাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট প্রণয়ন করেছিলেন। সেই সঙ্গে চালু করেছিলেন ন্যাশনাল রুরাল হেলথ মিশন।
২০০৪ সালের ২২ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন ড. মনমোহন সিং। তিনিই ছিলেন দেশের প্রথম নন-হিন্দু প্রধানমন্ত্রী। ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ সালের মেয়াদে ভারতীয় বাজারে ক্রমাগত অগ্রগতির জন্য উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন তিনি। অর্থমন্ত্রী পি. চিদম্বরমের সঙ্গে মিলে সেই সময় এমন কাজ করেছিলেন, যখন ৮ থেকে ৯ শতাংশ আর্থিক হারে ভারতীয় অর্থনীতি উর্ধ্বমুখী হয়েছিল। ২০০৫ সালে ন্যাশনাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট প্রণয়ন করেছিলেন। সেই সঙ্গে চালু করেছিলেন ন্যাশনাল রুরাল হেলথ মিশন।
advertisement
15/19
২০০৫ সালের ১৮ জুলাই ড. সিং এবং তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ মিলে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে ভারত-মার্কিন সিভিল পরমাণু চুক্তির জন্য ফ্রেমওয়ার্ক ঘোষণা করা হয়। ২০০৫ সালের ১৫ জুন ড. মনমোহন সিংয়ের সরকার আরটিআই চালু করেছিলেন। অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষরা যাতে এইমস, আইআইটি, আইআইএম এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পান, এর জন্য ২০০৬ সালে ড. মনমোহন সিংয়ের সরকারই ২৭ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করেছিল। ২০০৭ সালে ভারত ৯ শতাংশ হারে সর্বোচ্চ জিপিডি-র অগ্রগতি দেখতে পায়। সেই সঙ্গে সারা বিশ্বে ভারত দ্রুত গতির দ্বিতীয় প্রধান অর্থনীতির স্থান লাভ করে।
২০০৫ সালের ১৮ জুলাই ড. সিং এবং তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ মিলে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে ভারত-মার্কিন সিভিল পরমাণু চুক্তির জন্য ফ্রেমওয়ার্ক ঘোষণা করা হয়। ২০০৫ সালের ১৫ জুন ড. মনমোহন সিংয়ের সরকার আরটিআই চালু করেছিলেন। অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষরা যাতে এইমস, আইআইটি, আইআইএম এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পান, এর জন্য ২০০৬ সালে ড. মনমোহন সিংয়ের সরকারই ২৭ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করেছিল। ২০০৭ সালে ভারত ৯ শতাংশ হারে সর্বোচ্চ জিপিডি-র অগ্রগতি দেখতে পায়। সেই সঙ্গে সারা বিশ্বে ভারত দ্রুত গতির দ্বিতীয় প্রধান অর্থনীতির স্থান লাভ করে।
advertisement
advertisement
advertisement