Love Story: বিয়ের এক বছরের মধ্যেই ইন্দিরা গান্ধির থেকে মন উঠেছিল ফিরোজের, প্রেমে পড়েছিলেন অন্য ধর্মের সুন্দরীর সঙ্গে, তারপর...

Last Updated:
Love Story: ইন্দিরা গান্ধি প্রেমের পরেও এ কী হয়েছিল, এভাবে নষ্ট হয়ে যায় দাম্পত্য...
1/8
জওহরলাল নেহরুর মেয়ে ইন্দিরা বিয়ের বিরোধিতা করেছিলেন, ফিরোজ গান্ধির সঙ্গে ইন্দিরার বিয়েটা মোটেই পছন্দ ছিল না নেহেরুর।  ইন্দিরা-ফিরোজ দুজনেই লন্ডনে পড়ার সময় প্রেমে পড়েন এবং বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু নেহেরু মেয়ের  বিয়েতে রাজি হননি। কিন্তু, ইন্দিরা তাঁর বাবার কথা শোনেননি।
জওহরলাল নেহরুর মেয়ে ইন্দিরা বিয়ের বিরোধিতা করেছিলেন, ফিরোজ গান্ধির সঙ্গে ইন্দিরার বিয়েটা মোটেই পছন্দ ছিল না নেহেরুর।  ইন্দিরা-ফিরোজ দুজনেই লন্ডনে পড়ার সময় প্রেমে পড়েন এবং বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু নেহেরু মেয়ের  বিয়েতে রাজি হননি। কিন্তু, ইন্দিরা তাঁর বাবার কথা শোনেননি।
advertisement
2/8
১৯৪২ সালে, ইন্দিরা গান্ধি একজন পারসি ফিরোজ গান্ধীকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের এক বছর পর থেকেই তাদের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। ইন্দিরা গান্ধি তার স্বামী ফিরোজকে ছেড়ে বাবা জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। ফিরোজ গান্ধি লখনউতে থাকতেন এবং ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার কাজ দেখাশোনা করতেন।
১৯৪২ সালে, ইন্দিরা গান্ধি একজন পারসি ফিরোজ গান্ধীকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের এক বছর পর থেকেই তাদের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। ইন্দিরা গান্ধি তার স্বামী ফিরোজকে ছেড়ে বাবা জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। ফিরোজ গান্ধি লখনউতে থাকতেন এবং ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার কাজ দেখাশোনা করতেন।
advertisement
3/8
ফিরোজ গান্ধি এক মুসলিম মহিলাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেনইন্দিরা যখন তাঁর থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন, তখন তাঁর নাম জড়িয়ে যায় বহু মহিলার সঙ্গে। প্রবীণ সাংবাদিক কুমি কাপুরের লেখা "দ্য টাটাস, ফ্রেডি মার্কারি অ্যান্ড আদার বাওয়াস" বইতে ফিরোজের এইসব বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের গল্প লেখা রয়েছে৷ একটি প্রেমে এতটাই মাতোয়ারা হয়েছিলেন ফিরোজ গান্ধি যে সরকারিভাবে ইন্দিরা গান্ধিকে ডিভোর্স  দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং তারপর লখনউতে একজন মুসলিম মহিলাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন৷ শোনা যায় সেই মুসলিম মহিলা ছিলেন  অল্পবয়সী এবং খুব সুন্দরী।
ফিরোজ গান্ধি এক মুসলিম মহিলাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেনইন্দিরা যখন তাঁর থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন, তখন তাঁর নাম জড়িয়ে যায় বহু মহিলার সঙ্গে। প্রবীণ সাংবাদিক কুমি কাপুরের লেখা "দ্য টাটাস, ফ্রেডি মার্কারি অ্যান্ড আদার বাওয়াস" বইতে ফিরোজের এইসব বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের গল্প লেখা রয়েছে৷ একটি প্রেমে এতটাই মাতোয়ারা হয়েছিলেন ফিরোজ গান্ধি যে সরকারিভাবে ইন্দিরা গান্ধিকে ডিভোর্স  দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং তারপর লখনউতে একজন মুসলিম মহিলাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন৷ শোনা যায় সেই মুসলিম মহিলা ছিলেন  অল্পবয়সী এবং খুব সুন্দরী।
advertisement
4/8
পন্ডিত নেহেরু কী বলেছিলেন?বইটিতে বলা হয়েছে, ফিরোজের এই প্রেমের সম্পর্কের কথা জওহরলাল নেহরু যখন বিষয়টি জানতে পারেন, তখন তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন৷
পন্ডিত নেহেরু কী বলেছিলেন?বইটিতে বলা হয়েছে, ফিরোজের এই প্রেমের সম্পর্কের কথা জওহরলাল নেহরু যখন বিষয়টি জানতে পারেন, তখন তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন৷
advertisement
5/8
সিনিয়র সাংবাদিক রশিদ কিদওয়াইও এক সাক্ষাৎকারে এই খবরটিকে সত্যি বলে দাবি  করেছেন। কিদওয়াই বলেন, ফিরোজ গান্ধি বুদ্ধিমান, সুমিষ্টভাষী এবং খুবই রসিক  ছিলেন। তিনি বলেছিলেন এই গুণগুলির কারণে মহিলারা খুবই সহজেই তাঁর  প্রতি আকৃষ্ট হতেন। নেহরু পরিবারের এক মেয়ের সঙ্গে তার সম্পর্কের গুজব ছিল যে সে সময় তিনি ন্যাশনাল হেরাল্ডে কাজ করেছিল। উত্তর প্রদেশের একজন প্রবীণ মুসলিম মন্ত্রীর মেয়ের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ছিল৷ যা নিয়ে প্রচুর গসিপও তৈরি হয়েছিল সেই সময়ে৷  নেহরু একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে বুঝিয়ে পাঠিয়েছিলেন বিষয়টি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য৷
সিনিয়র সাংবাদিক রশিদ কিদওয়াইও এক সাক্ষাৎকারে এই খবরটিকে সত্যি বলে দাবি  করেছেন। কিদওয়াই বলেন, ফিরোজ গান্ধি বুদ্ধিমান, সুমিষ্টভাষী এবং খুবই রসিক  ছিলেন। তিনি বলেছিলেন এই গুণগুলির কারণে মহিলারা খুবই সহজেই তাঁর  প্রতি আকৃষ্ট হতেন। নেহরু পরিবারের এক মেয়ের সঙ্গে তার সম্পর্কের গুজব ছিল যে সে সময় তিনি ন্যাশনাল হেরাল্ডে কাজ করেছিল। উত্তর প্রদেশের একজন প্রবীণ মুসলিম মন্ত্রীর মেয়ের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ছিল৷ যা নিয়ে প্রচুর গসিপও তৈরি হয়েছিল সেই সময়ে৷  নেহরু একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে বুঝিয়ে পাঠিয়েছিলেন বিষয়টি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য৷
advertisement
6/8
কিদওয়াই বলেছিলেন যে পন্ডিত নেহেরু যখন ফিরোজ গান্ধি এবং যুবতী মুসলিম মহিলার সম্পর্কের বিষয়ে  তখনিই রফি আহমেদ কিদওয়াইকে ডেকে পাঠান, যিনি কেন্দ্রীয় সরকারের একজন মন্ত্রী ছিলেন। রফি আহমেদ কিদওয়াই যখন মুসলিম মন্ত্রী, তাঁর মেয়ে এবং ফিরোজকে নেহরুর মত জানান এবং এই এক্সট্রা ম্যারিটাল অ্যাফেয়ার থেকে জামাইকে নিরস্ত করেন৷
কিদওয়াই বলেছিলেন যে পন্ডিত নেহেরু যখন ফিরোজ গান্ধি এবং যুবতী মুসলিম মহিলার সম্পর্কের বিষয়ে  তখনিই রফি আহমেদ কিদওয়াইকে ডেকে পাঠান, যিনি কেন্দ্রীয় সরকারের একজন মন্ত্রী ছিলেন। রফি আহমেদ কিদওয়াই যখন মুসলিম মন্ত্রী, তাঁর মেয়ে এবং ফিরোজকে নেহরুর মত জানান এবং এই এক্সট্রা ম্যারিটাল অ্যাফেয়ার থেকে জামাইকে নিরস্ত করেন৷
advertisement
7/8
ফিরোজ গান্ধির জীবনী- 'ফিরোজ: দ্য ফরগটেন গান্ধি'-তে লেখক বার্টিল ফক লিখেছেন যে ফিরোজ যত বেশি তার বিষয়গুলি লুকানোর চেষ্টা করেছিলেন, ততই তিনি সেগুলি সামনে চলে আসত৷
ফিরোজ গান্ধির জীবনী- 'ফিরোজ: দ্য ফরগটেন গান্ধি'-তে লেখক বার্টিল ফক লিখেছেন যে ফিরোজ যত বেশি তার বিষয়গুলি লুকানোর চেষ্টা করেছিলেন, ততই তিনি সেগুলি সামনে চলে আসত৷
advertisement
8/8
স্ত্রী-র  থেকে দূরত্ব১৯৫৫তে ইন্দিরা গান্ধি প্রথমবারের মতো কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির সদস্য হন, লিখেছেন বার্টিল ফক। একই সঙ্গে ফিরোজ গান্ধী দলের দুর্নীতির প্রসঙ্গও সামনে এনেছিলেন। এতে তাঁদের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। ফিরোজ গান্ধি মারা যান ১৯৬০ সালে। তার মৃত্যুর ১৫ বছর পরে ইন্দিরা গান্ধি প্রধানমন্ত্রী হন।
স্ত্রী-র  থেকে দূরত্ব১৯৫৫তে ইন্দিরা গান্ধি প্রথমবারের মতো কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির সদস্য হন, লিখেছেন বার্টিল ফক। একই সঙ্গে ফিরোজ গান্ধী দলের দুর্নীতির প্রসঙ্গও সামনে এনেছিলেন। এতে তাঁদের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। ফিরোজ গান্ধি মারা যান ১৯৬০ সালে। তার মৃত্যুর ১৫ বছর পরে ইন্দিরা গান্ধি প্রধানমন্ত্রী হন।
advertisement
advertisement
advertisement