IAS চাকরি প্রত্যাখ্যান করে প্রতিদিন ৫ কিমি হেঁটে স্কুলে যাওয়া, ৩৫ বছর বয়সে জগদীপ ধনখড় এমন কিছু করেছিলেন যা ইতিহাস তৈরি করেছে

Last Updated:
Jagdeep Dhankhar Resignation: খুব কম লোকই জানেন যে জগদীপ ধনখড় সিভিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আইএএস পাস করার পরেও তিনি কোনও পদ গ্রহণ করেননি।
1/5
উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় পদত্যাগ করেছেন। তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। খুব কম লোকই জানেন যে জগদীপ ধনখড় সিভিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আইএএস পাস করার পরেও তিনি কোনও পদ গ্রহণ করেননি। পরিবর্তে তিনি আইনজীবী হিসেবে তাঁর পেশা বেছে নিয়েছিলেন। (Photo: PTI)
উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় পদত্যাগ করেছেন। তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। খুব কম লোকই জানেন যে জগদীপ ধনখড় সিভিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আইএএস পাস করার পরেও তিনি কোনও পদ গ্রহণ করেননি। পরিবর্তে তিনি আইনজীবী হিসেবে তাঁর পেশা বেছে নিয়েছিলেন। (Photo: PTI)
advertisement
2/5
১৯৭৯ সালে রাজস্থান বার কাউন্সিলে নাম লেখানোর পর তিনি রাজস্থান হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে অনুশীলন শুরু করেন। ১৯৯০ সালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি রাজস্থান হাই কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সর্বকনিষ্ঠ সভাপতি হন। একই বছরে তিনি সিনিয়র অ্যাডভোকেটের মর্যাদা অর্জন করেন। এই আইনি দক্ষতা জগদীপ ধনখড়কে রাজস্থানে জাট সম্প্রদায়কে ওবিসি মর্যাদা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সাহায্য করেছিল।
১৯৭৯ সালে রাজস্থান বার কাউন্সিলে নাম লেখানোর পর তিনি রাজস্থান হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে অনুশীলন শুরু করেন। ১৯৯০ সালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি রাজস্থান হাই কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সর্বকনিষ্ঠ সভাপতি হন। একই বছরে তিনি সিনিয়র অ্যাডভোকেটের মর্যাদা অর্জন করেন। এই আইনি দক্ষতা জগদীপ ধনখড়কে রাজস্থানে জাট সম্প্রদায়কে ওবিসি মর্যাদা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সাহায্য করেছিল।
advertisement
3/5
ঝুনঝুনুর একটি গ্রাম থেকে উপরাষ্ট্রপতির পদে যাত্রা: ভারতের ১৪তম উপরাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং আইনজীবী, যাঁর জীবন সংগ্রাম, শিক্ষা এবং নিষ্ঠার এক উদাহরণ। তিনি ১৯৫১ সালের ১৮ মে রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলার একটি ছোট্ট গ্রাম কিথানার একটি জাট কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা গোকুল চাঁদ এবং মা কেশরী দেবী তাঁকে সরলতা এবং কঠোর পরিশ্রমের মূল্যবোধ শিখিয়েছিলেন। চার ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় জগদীপ শৈশবে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর অধ্যবসায় তাকেঁ দেশের শীর্ষ পদে নিয়ে গিয়েছিল।
ঝুনঝুনুর একটি গ্রাম থেকে উপরাষ্ট্রপতির পদে যাত্রা: ভারতের ১৪তম উপরাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং আইনজীবী, যাঁর জীবন সংগ্রাম, শিক্ষা এবং নিষ্ঠার এক উদাহরণ। তিনি ১৯৫১ সালের ১৮ মে রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলার একটি ছোট্ট গ্রাম কিথানার একটি জাট কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা গোকুল চাঁদ এবং মা কেশরী দেবী তাঁকে সরলতা এবং কঠোর পরিশ্রমের মূল্যবোধ শিখিয়েছিলেন। চার ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় জগদীপ শৈশবে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর অধ্যবসায় তাকেঁ দেশের শীর্ষ পদে নিয়ে গিয়েছিল।
advertisement
4/5
জগদীপ কিথানার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন: জগদীপ প্রতিদিন ৪-৫ কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে যেতেন। পঞ্চম শ্রেণীর পর তিনি ঘরধানার সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এর পর তিনি চিতোরগড়ের সৈনিক স্কুলে ভর্তি হন, যেখানে সামরিক-কেন্দ্রিক শিক্ষা তাঁর ব্যক্তিত্বকে উন্নত করে। সৈনিক স্কুলে পড়াশোনার সময়ে তিনি আইআইটি এবং এনডিএ-তে নির্বাচিত হন, কিন্তু তিনি এই পথগুলি ছেড়ে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করেন। তিনি ১৯৭৮-৭৯ সালে জয়পুরের মহারাজা কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যায় বিএসসি (অনার্স) এবং রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সম্পন্ন করেন। তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষাও পাস করেন, কিন্তু আইএএসের পরিবর্তে আইন বেছে নেন।
জগদীপ কিথানার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন: জগদীপ প্রতিদিন ৪-৫ কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে যেতেন। পঞ্চম শ্রেণীর পর তিনি ঘরধানার সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এর পর তিনি চিতোরগড়ের সৈনিক স্কুলে ভর্তি হন, যেখানে সামরিক-কেন্দ্রিক শিক্ষা তাঁর ব্যক্তিত্বকে উন্নত করে। সৈনিক স্কুলে পড়াশোনার সময়ে তিনি আইআইটি এবং এনডিএ-তে নির্বাচিত হন, কিন্তু তিনি এই পথগুলি ছেড়ে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করেন। তিনি ১৯৭৮-৭৯ সালে জয়পুরের মহারাজা কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যায় বিএসসি (অনার্স) এবং রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সম্পন্ন করেন। তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষাও পাস করেন, কিন্তু আইএএসের পরিবর্তে আইন বেছে নেন।
advertisement
5/5
রাজনৈতিক যাত্রাপথ: জগদীপ ধনখড় ১৯৮৯ সালে জনতা দলের টিকিটে ঝুনঝুনু থেকে লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেন এবং প্রথমবারের মতো সাংসদ হন। ১৯৯০-৯১ সালে তিনি চন্দ্রশেখর সরকারের সংসদীয় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯১ সালে জনতা দল তাঁকে টিকিট না দিলে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন এবং ১৯৯৩ সালে আজমেরের কিষাণগড় থেকে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তিনি ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলেন, যে সময়ে তাঁর এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে মতবিরোধ সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে বার বার। ২০২২ সালে এনডিএ তাঁকে উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী করে এবং তিনি মার্গারেট আলভাকে ৭৪.৩৭% ভোট পেয়ে পরাজিত করে জয়লাভ করেন।
রাজনৈতিক যাত্রাপথ: জগদীপ ধনখড় ১৯৮৯ সালে জনতা দলের টিকিটে ঝুনঝুনু থেকে লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেন এবং প্রথমবারের মতো সাংসদ হন। ১৯৯০-৯১ সালে তিনি চন্দ্রশেখর সরকারের সংসদীয় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯১ সালে জনতা দল তাঁকে টিকিট না দিলে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন এবং ১৯৯৩ সালে আজমেরের কিষাণগড় থেকে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তিনি ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলেন, যে সময়ে তাঁর এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে মতবিরোধ সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে বার বার। ২০২২ সালে এনডিএ তাঁকে উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী করে এবং তিনি মার্গারেট আলভাকে ৭৪.৩৭% ভোট পেয়ে পরাজিত করে জয়লাভ করেন।
advertisement
advertisement
advertisement