Indian Railways: সুন্দরী মহিলা, AC কোচে বসেও ঘামছিলেন! TTE এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী করছেন?’ তারপরই শুরু বিরাট গন্ডগোল

সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল৷ AC কোচের ভিতর নিজেদের জিনিসপত্র নিয়ে রীতিমতো গুছিয়েই বসেছিলেন যাত্রীরা৷ ধীরে ধীরে দ্রুতগতি নিতে শুরু করেছিল ট্রেন৷ এমন সময়ই কোচে টিকিট চেক করতে এলেন TTE৷ Generated image

অসুবিধা কিছু নেই৷ প্রতি আসন ধরে ধরেই টিকিট পরীক্ষা করতে করতে এগোচ্ছিলেন ওই TTE৷ এমন সময় তাঁর চোখ পড়ে AC কোচের এক মহিলার উপরে৷ আর দেখেই তাঁর মনে হয়, কিছু একটা সমস্যা নিশ্চই রয়েছে৷ Generated image

সুন্দরী সেই মহিলা সিটে বসেছিলেন বটে৷ কিন্তু ছিলেন একা৷ আর তার চোখেমুখে ছিল ভয় এবং অস্বস্তির ছাপ৷ AC-র ভিতরেও তাঁর কপালে জমছিল বিন্দু বিন্দু ঘাম৷ Generated image

এরপর মহিলার দিকে এগিয়েই তাঁকে TTE জিজ্ঞেস করেন, তাঁর সাথ কেউ আছে কি না৷ বলেন, ‘‘দেখি আপনার টিকিটটা৷’’ তবে এর উত্তরের জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না ওই টিকিট পরীক্ষক৷ Generated image

অভিযোগ, কপালের ঘাম মুছতে মুছতে ওই মহিলা জানান, ‘‘আমার টিকিট নেই... তবে আমার স্বামী জিআরপিতে আছেন। ’’ এরপর কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিশাল বচসা শুরু হয়ে যায় ট্রেনের মধ্যে৷ Generated image

মঙ্গলবার বিশাখাপত্তনমগামী হিরাকুণ্ড এক্সপ্রেসে ট্রেনে টিকিট চেকিংরত টিটিই এবং একজন মহিলা যাত্রীর মধ্যে বিবাদ শুরু হলে বড় হট্টগোল শুরু হয়, যা পরে ওই মহিলার জিআরপি-তে কর্মরত স্বামীর হস্তক্ষেপে আরও বেড়ে যায়। ঘটনাটি এতটাই উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে যে ট্রেনটি ঝাঁসি স্টেশনে পৌঁছনোর সাথে সাথেই বেশ কয়েকজন জিআরপি জওয়ান ট্রেনে উঠে টিটিইকে জোর করে নামিয়ে দেন। এর পরে, টিটিই ছাড়াই ট্রেনটি ছেড়ে যায়। Generated image

জব্বলপুর ডিভিশনের কাটনি স্টেশনে সংযুক্ত টিটিই দীনেশ কুমার ট্রেনের টিকিট পরীক্ষা করছিলেন। বি-১ কোচের ৩৮ নম্বর বার্থে বসে থাকা এক মহিলাকে টিকিট দেখাতে বলা হলে তিনি বলেন যে তার কোনও রিজার্ভেশন নেই এবং তার স্বামী সন্দীপ কুমার, যিনি জিআরপিতে কনস্টেবল, একই কোচের অন্য সিটে বসে আছেন। দীনেশ যখন নিয়ম অনুসারে টিকিট দেখানোর জন্য জোর দেন, তখন তর্ক শুরু হয়। Generated image

সাথে সাথেই মহিলার স্বামী সন্দীপ কুমার টিটিই-এর সাথে তর্ক শুরু করেন । টিটিই বলেন যে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কিন্তু সন্দীপ সহযোগিতা করতে অস্বীকার করেন৷ ট্রেনটি ললিতপুর এবং পরে ঝাঁসি স্টেশনে পৌঁছনোর সাথে সাথে জিআরপির অন্যান্য কর্মীরা ট্রেনে উঠে দীনেশ কুমারকে জোর করে ট্রেন থেকে নামিয়ে থানায় নিয়ে যান।Generated image

টিটিই দীনেশ কুমার তাঁর লিখিত অভিযোগে দাবি করেছেন, জিআরপি স্টেশনে তাঁকে কেবল মারধর করা হয়নি, বরং একটি মীমাংসাপত্রে স্বাক্ষর করতেও বাধ্য করা হয়েছিল। তিনি বলেছেন যে পুরো ঘটনাটি কেবল রেল কর্মীদের মর্যাদার বিরুদ্ধে নয়, বরং একটি ব্যবস্থা হিসেবে নিয়মের লঙ্ঘনও। Generated image

কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় টিটিই অ্যাসোসিয়েশন ডিআরএম-এর সাথে দেখা করে পুরো ঘটনাটিকে অপমানজনক এবং অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করে অভিযুক্ত জিআরপি জওয়ানদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। বুধবার রেল প্রশাসন, আরপিএফ এবং জিআরপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি৷ Generated image