বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ! বৃষ্টিতে ভাসবে ৭ রাজ্য, বঙ্গেও বিপদ! কতদিন দুর্ভোগ? দেখুন আবহাওয়ার আপডেট
- Published by:Tias Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
২১ এবং ২২ ডিসেম্বর দক্ষিণ ওডিশা উপকূল ধরে নিম্নচাপটি অবস্থান করবে, যেখানে বায়ুর গতি ৩৫-৪৫ কিমি/ঘণ্টা এবং দমকা হাওয়া ৫৫ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে।
শীতের দিনে বৃষ্টিতে ভেজার দুর্ভোগ দেশবাসীর। বঙ্গোপসাগরে ঘনিয়েছে গভীর নিম্নচাপ, সঙ্গে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এর জেরেই এমন হাল আবহাওয়ার। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (IMD) শুক্রবার জানিয়েছে যে বঙ্গোপসাগরের উপর একটি নিম্নচাপের এলাকা গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এর ফলে ওডিশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে সপ্তাহান্তে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
advertisement
দক্ষিণ ভারতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উত্তর তামিলনাড়ুর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই আবহাওয়া ব্যবস্থার কারণে অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং ওডিশার অনেক অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণকে সতর্ক থাকার এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
advertisement
শুক্রবার রাতে, এই গভীর নিম্নচাপটি অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল থেকে প্রায় ৩৭০ কিমি দূরে, চেন্নাই থেকে ৪৫০ কিমি দূরে, এবং ওডিশার গোপালপুর থেকে ৬৪০ কিমি দূরে অবস্থান করছিল। আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, এটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর দিকে অগ্রসর হবে, যার ফলে উভয় রাজ্যে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত এবং শনিবার থেকে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
advertisement
**বায়ুর গতিবিধি সতর্কবার্তা** বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম এবং মধ্য অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাবে, যার গতিবেগ ৪৫-৫৫ কিমি/ঘণ্টা এবং দমকা হাওয়ার গতি ৬৫ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে। এই অবস্থা ২৩ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উত্তর তামিলনাড়ু উপকূল অঞ্চলে বায়ুর গতি কিছুটা কম হবে, ৪০-৫০ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত এবং দমকা হাওয়া ৬০ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
advertisement
২১ এবং ২২ ডিসেম্বর দক্ষিণ ওডিশা উপকূল ধরে নিম্নচাপটি অবস্থান করবে, যেখানে বায়ুর গতি ৩৫-৪৫ কিমি/ঘণ্টা এবং দমকা হাওয়া ৫৫ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে। সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাসরত মানুষ এবং জেলেদের সতর্ক করা হয়েছে, কারণ বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ ও উত্তর তামিলনাড়ু উপকূলে সমুদ্র খুবই উত্তাল থাকবে। স্থানীয় প্রশাসনের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
advertisement
**উত্তর ভারতের আবহাওয়া পরিস্থিতি** অন্যদিকে, উত্তর ভারত কাঁপছে ঠান্ডায়। হিমাচল প্রদেশ এবং পশ্চিম রাজস্থানে ঠান্ডা থেকে চরম ঠান্ডা আবহাওয়ার পরিস্থিতি থাকবে বলে সতর্কতা জারি করেছে IMD। ২০ এবং ২১ ডিসেম্বর পশ্চিম রাজস্থানের কিছু এলাকায় এই ঠান্ডা থাকবে। অন্যদিকে, হিমাচল প্রদেশে ১৯ থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ঠান্ডা থেকে চরম ঠান্ডা আবহাওয়া থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
advertisement
রাজধানী দিল্লিতে শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকা শহরের বাতাসের মান ‘চরম’ অবস্থায় রয়েছে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) সকাল ৮টায় শহরের বায়ু মান সূচক (AQI) ৪৩৪ হিসেবে রেকর্ড করেছে। উত্তরপ্রদেশের সাম্ভল অঞ্চলে ঘন কুয়াশার একটি স্তর বিরাজ করছে, যেখানে তাপমাত্রা ক্রমশ নিচে নামছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ওই অঞ্চলের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে।
advertisement
**ডিসেম্বরের শুরুতে পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি ও তুষারপাত** ডিসেম্বরের শুরু থেকেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি এবং তুষারপাত দেখা গেছে। এর ফলে উত্তর ভারতের আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে। তুষারে ঢাকা পাহাড় থেকে প্রবাহিত শীতল বাতাস উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য ভারতের তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছে। শীতের এই আগমন পুরো অঞ্চলকে কাঁপিয়ে তুলেছে।
advertisement
**উত্তর ভারতে শৈত্যপ্রবাহ ও শুষ্ক ঠান্ডা** বর্তমানে, নতুন এবং শক্তিশালী কোনও পশ্চিমী ঝঞ্ঝা না থাকায় উত্তর ভারতের অনেক রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়সহ দেশের অনেক স্থানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক নিচে রেকর্ড করা হচ্ছে। স্কাইমেট ওয়েদার অনুযায়ী, একটি দুর্বল পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পশ্চিম হিমালয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, তবে এর প্রভাব খুবই সীমিত হবে।
advertisement
**ঠান্ডা থেকে স্বল্প-মেয়াদী স্বস্তির সম্ভাবনা** দুর্বল পশ্চিমী ঝঞ্ঝাগুলি ঠান্ডা বাতাসের গতিবেগ কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে, যা উত্তর ভারতের সমতল অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য বাড়াতে পারে। তবে, আগামী দিনে শীত আরও তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঠান্ডা পূর্ব ভারতের দিকেও ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা পুরো অঞ্চলে শীতের পরিস্থিতি আরও গুরুতর করে তুলবে।
advertisement
অন্য দিকে, পশ্চিমবঙ্গেও কার্যত শীত উধাও। সকালে ঘন কুয়াশা; দিনভর মেঘলা আকাশ। আগামী সপ্তাহে ফের নামবে পারদ। বড়দিনে শীতের আমেজ থাকলেও জাঁকিয়ে শীত নয়। এছাড়াও, দক্ষিণবঙ্গে কলকাতা-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনি ও রবিবার, হালকা বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া ও হুগলি-তে। দুই চব্বিশ পরগনা, দুই মেদিনীপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা।