প্রবল শক্তিতে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Cyclone Yaas)। আর সেই সূত্রেই ফের আলোচনায় উঠে এসেছে তাঁর নাম। তিনি নাকি নির্ভুলভাবে তিনি বলে দিতে পারেন যে কোনও ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ। অনেকেই বলে থাকেন, ঘূর্ণিঝড়কে বশ করার মতন ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। সেই ২০০৮ সাল থেকে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে তাঁর পূর্বাভাস এখনও পর্যন্ত ভুল প্রমাণিত হয়নি। তাঁর আগাম পূর্বাভাসের কারণেই সর্তকতা গ্রহণ করতে পেরেছে ঘূর্ণিঝড় কবলিত রাজ্যগুলি, যার ফলে বেঁচে গিয়েছে বহু মানুষের প্রাণ।
তিনি হলেন মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র (Mrutyunjay Mohapatra)। গোটা দেশ তাঁকে সাইক্লোন ম্যান বলেই চেনে। ১৯৭১ সালে যখন প্রবল ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে ওড়িশায়, তখন ৬ বছরের এক শিশু চোখের সামনে সব ধ্বংস হয়ে যেতে দেখেছিল। সেদিনই সে পণ করেছিল, ঝড়ের আগাম পূর্বাভাস বলে দিয়ে মানুষের প্রাণ বাঁচাবেন তিনি। বাস্তবে করেছেনও তাই।
আবহাওয়া বিজ্ঞান যেন মৃত্যুঞ্জয় বাবুর একেবারে বা হাতের খেল। ফাইলিন, হুদহুদ, তিতলি, মেকুনু, ফণি ইত্যাদি ঘূর্ণিঝড়গুলির ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে সঠিক পূর্বাভাস দিয়ে তিনি যে কত মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন, তার ইয়ত্তা নেই। গত বছর তাঁর দেওয়া আমফান ঘূর্ণিঝড়ের সঠিক পূর্বাভাস এবং ঝড়ের গতি প্রকৃতি নির্ধারণের ফলেও ঝড় মোকাবিলায় আগাম সতর্ক হওয়া গিয়েছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষ থেকে প্রশংসিত হয়েছেন সাইক্লোন ম্যান মৃত্যুঞ্জয় বাবু।
মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্রের কর্মজীবন শুরু পুনের আবহাওয়া অফিস থেকে। এরপর ওড়িশার বালাসোরে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনে কিছুকাল কাজ করেন তিনি। ২০০৮ সাল থেকে ভারতীয় আবহাওয়া বিজ্ঞানের আঞ্চলিক শাখার প্রধান হিসেবে তিনি নিযুক্ত হন। আর এই পদে বসার পর থেকে ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ গতিবেগ নিয়ে নির্ভুল আপডেট দিয়ে আসছেন তিনি।